IPL 2025: গত মরসুমে তিন বার ২০ ওভারে ২৫০’র বেশী রান তুলে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলো সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ (SRH)। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে চিনাস্বামীতে এক ইনিংসে ২৮৭ রান তুলে নতুন রেকর্ডও গড়েছিলো তারা। ১০ ওভারের মধ্যে তাড়া করেছিলো ১৬১ রান। এবার কি তাহলে ২০ ওভারে ৩০০ তুলবে ‘অরেঞ্জ আর্মি?’ জল্পনা ছিলো আইপিএল (IPL) শুরুর আগে। গত বছর যেখানে শেষ করেছিলো তারা, এবার শুরুটা করেছিলো ঠিক সেখান থেকেই। হোমগ্রাউন্ড রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে তুলেছিলো ২৮৬। ফের একবার মাথাচাড়া দিয়েছিলো ৩০০’র জল্পনা। কিন্তু পরবর্তী তিন ম্যাচে তার আশেপাশেও পৌঁছতে পারে নি সানরাইজার্স। যে ব্যাটিং নিয়ে এত উন্মাদনা ছিলো, তারাই যেন হঠাৎ ম্রিয়মান আইপিএলের (IPL) মঞ্চে। ঈশান কিষণ, অভিষেক শর্মা, হেনরিখ ক্লাসেনরা রান পান নি। ব্যাট হাতে হতাশ করেছেন ট্র্যাভিস হেড’ও (Travis Head)।
Read More: IPL 2025 LSG vs MI Dream 11 Prediction: মর্যাদার লড়াইতে মুখোমুখি মুম্বই ও লক্ষ্ণৌ, ফ্যান্টাসি ক্রিকেটের খুঁটিনাটি জেনে নিন এক ক্লিকে !!
হেডের ব্যাটে হঠাৎ’ই রান খরা-

২০২৪-এর আইপিএলে (IPL) ১৫ ম্যাচ খেলে ৪০.৫০ গড়ে ৫৬৭ রান করেছিলেন ট্র্যাভিস হেড (Travis Head)। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিলো ১৯১.৭৮। ১টি শতরান ও ৪টি অর্ধশতক এসেছিলো তাঁর ব্যাট থেকে। অভিষেক শর্মার (Abhishek Sharma) সাথে তাঁর ওপেনিং জুটি ভয় ধরিয়েছিলো প্রতিপক্ষের মনে। ২০২৫-এও শুরুটা ঝড়ের গতিতেই করেছিলেন অস্ট্রেলীয় তারকা। হোমগ্রাউন্ডে রাজস্থান রয়্যালসের (RR) বিরুদ্ধে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিলো ৩১ বলে ৬৭ রান। স্ট্রাইক রেট ছিলো ২১৭-এর কাছাকাছি। ৯টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কায় ইনিংস সাজিয়েছিলেন তিনি। লক্ষ্ণৌর (LSG) বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে সানরাইজার্স হারলেও ৪৪ রান করেন হেড (Travis Head)। জায়গা করে নিয়েছিলেন কমলা টুপির দৌড়ে। কিন্তু পরবর্তী দু’টি ম্যাচে চেনা ছন্দে পাওয়া যায় নি অ্যাডিলেডের বাম হাতিকে। রানের মুখ দেখেন নি তিনি।
মিচেল স্টার্কের (Mitchell Starc) বিরুদ্ধে বরাবরই সমস্যায় পড়তে হয় ট্র্যাভিস হেড’কে (Travis Head)। জাতীয় দলের সতীর্থকে নানা সময় ‘আউট’ করেছেন বাম হাতি পেসার। এবারও দিল্লী বনাম সানরাইজার্স (DC vs SRH) ম্যাচে দেখা গেলো সেই একই দৃশ্য। থার্ড ম্যান অঞ্চল দিয়ে বল বাউন্ডারিতে পাঠাতে চেষ্টা করেছিলেন ‘অরেঞ্জ আর্মি’র ওপেনার। স্টার্কের (Mitchell Starc) ডেলিভারি হেডের ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক কে এল রাহুলের (KL Rahul) দস্তানায়। ২২ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। আর গতকাল নাইট রাইডার্সের (KKR) বিরুদ্ধে ইনিংসের শুরুটা বাউন্ডারি হাঁকিয়ে করলেও দ্বিতীয় বলেই হেড (Travis Head) আউট হন বৈভব আরোরার বলে। ২০১ তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই যে ধাক্কা খেয়েছিলো হায়দ্রাবাদ, তা থেকে আর বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় নি তারা।
টানা তিন হার সানরাইজার্সের-

গত বছর অনবদ্য ক্রিকেট খেলেছিলো সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ (SRH)। পৌঁছেছিলো ফাইনালে। কিন্তু অষ্টাদশতম মরসুমে এখনও অবধি হতাশই করেছে তারা। ৪৪ রানে রাজস্থানকে হারিয়ে অভিযান শুরু করলেও হারতে হয়েছে পরের তিনটি ম্যাচই। লক্ষ্ণৌর বিরুদ্ধে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করে হায়দ্রাবাদ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯০ রান তোলে তারা। মিচেল মার্শ ও নিকোলাস পুরানের ধুন্ধুমার ব্যাটিং-এ ২৩ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে সুপারজায়ান্টস (LSG) শিবির। একানার পরাজয়ের পর বিশাখাপত্তনমেও সাফল্যের মুখ দেখে নি ‘অরেঞ্জ আর্মি।’ স্টার্কের পাঁচ উইকেটের ধাক্কায় বেসামাল সানরাইজার্স তোলে ১৬৩ রান। চার ওভার বাকি থাকতেই সেই রান তাড়া করে ফেলে দিল্লী ক্যাপিটালস (DC)। গতকাল ইডেনেও ২০১ তাড়া করতে নেমে হায়দ্রাবাদ গুটিয়ে গেলো ১২০তে। ৮০ রানে হেরে আপাতত লীগ টেবিলে সবার নীচে তারা।