IPL 2024: এগিয়ে আসছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (IPL) সপ্তদশ মরসুম। ভারতের ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা বিসিসিআই-এর তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে যে আগামী ২২ মার্চ থেকে শুরু হবে টুর্নামেন্ট। প্রতিবারের মত এই বছর সম্পূর্ণ টুর্নামেন্টের সূচি অবশ্য প্রকাশ করা সম্ভব হয় নি বোর্ডের পক্ষে। ২০২৪ সালে দেশে রয়েছে সাধারণ নির্বাচন। নিরাপত্তাব্যবস্থা সংক্রান্ত সমস্যা এড়ানোর জন্যই আংশিক সূচি প্রকাশে বাধ্য হয়েছেন জয় শাহ (Jay Shah), রজার বিনি’রা। আপাতত আইপিএলের প্রথম ১৭ দিনের সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। থাকছে ২১টি ম্যাচ। বাকি ম্যাচগুলির সূচি ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশের পর জানানো হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আংশিক সূচি প্রকাশিত হলেও অবশ্য উন্মাদনা বিন্দুমাত্র কমে নি আইপিএল (IPL) নিয়ে। আট থেকে আশি, সকলেই অপেক্ষা করে রয়েছেন মরসুম শুরুর।
Read More: টি-২০ বিশ্বকাপে নেই বিরাট কোহলি, ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে দেখা যেতে পারে এই তিন তারকাকে !!
IPL আয়োজন নিয়ে বিপাকে BCCI-

সাধারণত মার্চ মাসের শেষ থেকে মে মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে আয়োজিত হয় আইপিএল (IPL)। তবে এই বার টুর্নামেন্ট আয়োজন ঘিরে বেশ বিপাকে ভারতের ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা বিসিসিআই। একদিকে নির্বাচনের কারণে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা, অন্যদিকে থাকছে টি-২০ বিশ্বকাপের আগে টুর্নামেন্ট শেষ করার চাপ। মার্চ মাসের ১৪ তারিখ হয়ে গিয়েছে, এখনও অবধি লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ সম্পর্কে কোনো রকম তথ্য পাওয়া যায় নি। আইসিসি যে সূচি ঘোষণা করেছে তা অনুযায়ী ১ জুন থেকে শুরু হচ্ছে কুড়ি-বিশের বিশ্বযুদ্ধ। তার আগে যে কোনো মুল্যে আইপিএল (IPL) শেষ করতে হবে বোর্ডকে।
প্রথম পর্বের যে সূচি প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে ২২ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল অবধি প্রথাগত হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ফর্ম্যাটই ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু বাকি টুর্নামেন্টে সেই পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে কিনা তা নিয়ে থাকছে চিন্তা। ২০২৪-এর প্রতিযোগিতা দেশের বাইরে আয়োজন করার পরিকল্পনা এখনও নেই বোর্ডের। সংবাদসংস্থা ইনসাইড স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তা স্পষ্ট করেছিলেন এক বিসিসিআই কর্তা। কিন্তু অনিশ্চয়তা এড়াতে জয় শাহ (Jay Shah), রজার বিনি’দের সেই পথে হাঁটতে বাধ্য হতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।
দেশের বাইরে সরতে পারে টুর্নামেন্ট-

ভোটের কারণে আইপিএল-এর (IPL) ভারত ত্যাগ এই প্রথম নয়। এর আগে ২০০৯ সালে সম্পূর্ণ টুর্নামেন্ট ভারত থেকে সরে গিয়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিকাতে। ২০১৪ সালে টুর্নামেন্টের প্রথম ২০টি ম্যাচ আয়োজিত হয়েছিলো সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে, বাকি অংশ আয়োজিত হয়েছিলো ভারতে। ২০১৯ সালে অবশ্য তেমন কিছু দেখা যায় নি। দেশে সাধারণ নির্বাচন হলেও সমান্তরাল ভাবে আইপিএলের (IPL) আসর বসেছিলো দেশেই। ২০২৪ সালে ফের আয়োজন নিয়ে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। ভারতের নির্বাচন কমিশন কবে নির্বাচনের দিনক্ষণ প্রকাশ্যে আনে সেই জন্য অপেক্ষা করা সমীচীন হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বোর্ডের অন্দরেই। এই জটিলতার আবহেই সামনে এসেছে বড় তথ্য। দেশের বাইরে আইপিএল (IPL) খেলার প্রস্তুতি নাকি নিতে শুরু করে দিয়েছে দলগুলি।
সংবাদপত্র দৈনিক জাগরণ-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী আইপিএল-এর (IPL) বাকি অংশ দেশের বাইরে খেলার জন্য নাকি প্রস্তুত থাকতে ক্রিকেটারদের জানিয়ে দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। সাংবাদিক অভিষেক ত্রিপাঠী রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন, কোনো এক ফ্র্যাঞ্চাইজির কোচ নাকি তাঁকে জানিয়েছেন যে ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যকলাপ দ্রুত শেষ করার জন্য ক্রিকেটারদের পাসপোর্ট’ও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নি বলেই উল্লেখ করা হয়েছে সেই রিপোর্টে। বিসিসিআই এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সম্পূর্ণ টুর্নামেন্ট দেশের অভ্যন্তরেই আয়োজন করার। তবে কোনো সম্ভাবনাই সম্পূর্ণ খারিজ এখনই করা যাচ্ছে না। এর আগে শোনা গিয়েছিলো আইপিএল আয়োজনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। টুর্নামেন্টের ঠিকানা শেষমেশ কি হয়, তা নিয়ে জল্পনা অব্যাহত।