কলকাতার ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেন্স স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত IPL-2022-এর প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাট টাইটান্স রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে। এর মাধ্যমে সরাসরি ফাইনালের টিকিট পেয়ে গেল গুজরাট। শেষ ওভারে গুজরাটের জয়ের জন্য ১৬ রান দরকার ছিল। কিন্তু ডেভিড মিলার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার প্রথম তিন বলে ছয়টি ছক্কা মারেন। রাজস্থান ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৮ রান করে। জবাবে গুজরাট ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯.৩ ওভারে জয়ের লক্ষ্য অর্জন করে।
গুজরাটের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন ডেভিড মিলার এবং জয়ের পর অপরাজিত ফিরেন। মিলার ৩৮ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১০৬ রানের অপরাজিত জুটি গড়েন তিনি। হার্দিক পান্ডিয়া ২৭ বলে ৪০ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৫টি চার মারেন। রাজস্থানের হয়ে পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ও ওবেদ ম্যাককয় ১টি করে উইকেট নেন।
এ দিন প্রথমে টস জিতে রাজস্থানকে প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় গুজরাট টাইটান্স। রাজস্থান রয়্যালস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান করে। ওপেনার জস বাটলারের অবদান সর্বোচ্চ ৮৯ রান। ৫৬ বলের ইনিংসে ১২টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। ইনিংসের শেষ ওভারে রানআউট হন তিনি। ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসন ২৬ বলে ৪৭ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন। মারেন ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। দেবদত্ত পাডিক্কল ২৮ রানের অবদান রাখেন। গুজরাটের হয়ে মোহাম্মদ শামি, যশ দয়াল, আর সাই কিশোর এবং অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ১টি উইকেট নেন। রশিদ খান ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিলেও কোনো সাফল্য পাননি।
ম্যাচ জিতিয়ে কী বললেন মিলার?
এ দিন দলকে ম্যাচ জেতার পুরস্কার হিসেবে সেরার তকমা পান ডেভিড মিলার। ম্যাচের পর এহেন মিলার বলেন, “দলে আমার কাজটা সত্যি উপভোগ করছি। অনেক বছর ধরে আমি খেলছি। চাপের পরিস্থিতিতে অনাক সময় গেমপ্ল্যান থেকে দূরে চলে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। কিন্তু আমার মনে হয় আমি গেমপ্ল্যানের কাছাকাছি থেকে কাজটা করার চেষ্টা করেছি। আমাকে অফ-সাইডে অনেক বেশি বল করা হয়েছে, তাই আমি খুব সাবধালে পা ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে পরের দিকে যতটা সম্ভব জোরে বল মারার চেষ্টা করেছি। আইপিএলের ভালো বিষয় হল – একজন খেলোয়াড় বিভিন্ন দলের হয়ে খেলেন, বিভিন্ন খেলোয়াড়ের সাথে দেখা করেন। এটি একটি নতুন দল ছিল তাই এই সাফল্য পেয়ে খুব আনন্দ হচ্ছে।”