ভারত আর ইংল্যান্ডের মধ্যে ৪ টেস্ট ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ চেন্নাইয়ের মাঠে খেলা হচ্ছে। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ভারতীয় দল প্রথম উইকেট হারানোর পর দুর্দান্ত ব্যাটিং করে প্রথম ইনিংসে ৩২৯ রানের স্কোর করে। যারপর ইংলিশ দল প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। চেন্নাই টেস্টে অ্যাম্পায়ারিংও ম্যাচের প্রথম দিন থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। প্রথম দিন ভারতীয় সহঅধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানের ক্যাচ আউট নিয়ে অ্যাম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সমস্ত প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটাররা প্রশ্ন তুলেছিলেন। অ্যাম্পায়ারিংয়ে এমনই একটি টেকনিক্যাল ত্রুটি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনও দেখা গেলো। যার পর ক্রিকেট জগতে আরও একবার ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজে অ্যাম্পায়ারিংয়ের স্তর নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
রোহিতকে নটআউট দেওয়ার পর তৈরি হল বিতর্ক
এই ঘটনা দ্বিতীয় টেস্টে ভারতীয় দলের দ্বিতীয় ইনিংসের। যে সময় রোহিত শর্মা ব্যাটিং করছিলেন, মইন আলির বল খেলার চেষ্টায় বল রোহিতের পায়ে এসে লাগে। যারপর ইংলিশ খেলোয়াড়রা অ্যাম্পায়ারের কাছে এলবিডব্লিউর আবেদন জানান। অ্যাম্পায়ার নট আউট দেওয়ার পর ইংলিশ অধিনায়ক রিভিউ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি তৃতীয় অ্যাম্পায়ারের কাছে গেলে থার্ড অ্যাম্পায়ার অনিল চৌধুরী মাঠের অ্যাম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে বজায় রেখে রোহিতকে নটআউট দেন। এরপর পুরো ক্রিকেট জগত চেন্নাই টেস্টে হওয়া অ্যাম্পায়ারিংয়ের স্তর নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু করে দিয়েছে।
বলের ইম্প্যাক্ট এর টেকনিক্যালিটিস নিয়ে তর্ক শুরু
আসলে এই বিষয়টি নিয়ে টেকনিক্যাল হিসেবেও বিচার বিমর্শ শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ থার্ড আম্পায়ার অনিল চৌধুরী রোহিত শর্মাকে বলের ইম্প্যাক্ট অফ সাইডের বাইরে হওয়ার আধারে নট আউট দিয়েছিলেন। যতদূর বলের ইম্প্যাক্টের বাইরের দিকে হওয়ার প্রশ্ন তো তার সিদ্ধান্ত ব্যাটসম্যানের শট খেলা আর না খেলার পরিস্থিতিতে হয়। যদি কোনো ব্যাটসম্যান শট খেলার জন্য এগোন আর এলবিডব্লিউ আউট হয়ে যান, তো বলের ইম্প্যাক্টকে মাপদণ্ড মনে করা হয়। অন্যদিকে যদি কোনো ব্যাটসম্যান শট খেলার চেষ্টা না করেন তো সেই পরিস্থিতিতে বলের ইম্প্যাক্ট কোনো গুরুত্ব রাখে না। কিন্তু রোহিতের ব্যাপারে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন যা হয়েছে তার বির্তকিত হওয়ার একটা প্যাঁচালো কারণ রয়েছে।
মাঠের অ্যাম্পায়ারের ভুলই হল পুরো বির্তকের কারণ
ডিআরএসের বিষয়ে তৃতীয় অ্যাম্পায়ার যেই সিদ্ধান্ত নেন তা বেশিরভাগ মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত আর বিবেকের আধারেই নেন। ভারত আর ইংল্যান্ডের মধ্যে রোহিত শর্মার ব্যাপারে মাঠের অ্যাম্পায়ার বীরেন্দ্র শর্মার যে ভুল হয়েছিল তা হল তিনি থার্ড অ্যাম্পায়ারকে নিজের কলে জানান যে রোহিত বলকে ব্যাটে খেলার চেষ্টা করেছিলেন। এর পর তৃতীয় অ্যাম্পায়ার অনিল চৌধুরী বলের ইম্প্যাক্টকে মাপদণ্ড করেন। এখন যেহেতু ইম্প্যাক্ট স্ট্যাম্পের বাইরে ছিল তো তিনি রোহিতকে নটআউট দেন। কিন্তু এই পুরো সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের তীব্রতা সেই সময় বাড়ে যখন রিপ্লেতে দেখা যায় যে রোহিত কোনো শট খেলার চেষ্টাই করেননি।