ভারতীয় দলকে জুলাইতে ইংল্যান্ড সফরে যেতে হবে। এই সফর শুরু হবে ৩ জুলাই থেকে। ইংল্যান্ড সফরে প্রথমে তিনটি টি২০ ম্যাচের সিরিজ খেলা হবে। এরপরে আবারও তিন ম্যাচেরই ওয়ান ডে সিরিজও খেলা হবে। ওয়ানডেতে ইংল্যান্ড আসিসির র্যােঙ্কিয়ে এক নম্বরে রয়েছে। ভারতীয় দল এই কম্বিনেশনে মাঠে নামতে পারে।
ওপেনার
বর্তমান সময়ে ভারতীয় দলে শিখর ধবন এবং রোহিত শর্মার মত সেরা ওপেনিং জুটি আর হোতেই পারে না। রোহিত এবং ধবনের জুটি ধারাবাহিকভাবে ভারতকে দুর্দান্ত শুরুয়াত দিয়ে এসেছে। এই দুজনের রেকর্ড ইংল্যান্ডেও বেশ ভাল। অন্যদিকে যদি কোনও সমস্যা দেখা দেয় এই জুটি নিয়ে তাহলে ওপেনিংয়ে আসতে পারেন কে এল রাহুল।
মিডল অর্ডার
বিরাট কোহলি ২০১৪ মরশুমকে ভুলে এখানে দুর্দান্ত প্রদর্শন করতে চাইবেন। ওয়ানডের অন্যতম সেরা প্লেয়ার তিনি। তার জন্য এটা করা খুব একটা মুশকিল হবে না। সেই সঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্টকে ধোনির নাম্বারকেও দেখতে হবে। আইপিএলে ধোনি উপরের দিকে এসে দারুন ব্যাটিং করেছিলেন। ফলে যদি ইংল্যান্ডেও তিনি উপরের দিকে ব্যাটিং করতে আসেন তাহলে মিডল অর্ডারে তার জায়গা গুরুত্বপূর্ণ হবে। সেই সঙ্গে সুরেশ রায়না কেএল রাহুলের মত ব্যাটসম্যানরাও মিডল অর্ডারকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে চাইবে।
লোয়ার মিডল অর্ডার
নিদাহাস ট্রফিতে দুর্দান্ত ব্যাট করা দীনেশ কার্তিক এই জায়গায় একজন গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার হতে পারেন। সেই সঙ্গে অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং দীনেশ কার্তিককে নিয়ে সামান্য অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে। যদিও ২০১৯ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ভারতীয় দল দীনেশ কার্তিকের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চাইবে।
স্পিনার
এখনও পর্যন্ত কুলদীপ যাদব এবং যজুবেন্দ্র চহেল ওয়ানডে ক্রিকেটে দুর্দান্ত প্রদর্শন দেখিয়েছেন। ইংল্যান্ড সফরে খেলে এই দুজন আসন্ন ওয়ার্ল্ডকাপের জন্য অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চাইবেন। ইংল্যান্ডের পরিস্থিতি সামান্য আলাদা হয়। ফলে সেখানকার আবহাওয়াকে বোঝা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়।
জোরে বোলার
ভারতের কাছে ভুবনেশ্বর কুমার এবং জসপ্রীত বুমরাহের মত দুর্দান্ত জোরে বোলার রয়েছে। দুজনে গত বেশ কিছু সময় ধরে ওয়ানডেতে ভারতের হয়ে দুর্দান্ত প্রদর্শন করে দেখিয়েছেন। সেই সঙ্গে আইপিএলেও দুর্দান্ত প্রদর্শন করা উমেশ যাদবকেও সুযোগ দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও বিকল্প হিসেবে মজুত থাকবে শার্দূল ঠাকুরও।