শনিবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে পাঁচ ম্যাচের টি- ২০ সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ ছিল। শুরুতে দুর্দান্ত ব্যাটিং প্রদর্শন দিয়ে শুরু করর ভারত ম্যাচটি ৩৬ রানে জিতে নেয় এবং সিরিজটি ৩-২ ব্যবধানে জিতল। টিম ইন্ডিয়া নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রান করেছিল। জবাবে ইংল্যান্ড দল 20 ওভারে আট উইকেটে ১৮৮ রান করতে পেরেছে।
এদিন ম্যাচে ওপেন করেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। বিরাট ৫২ বলে অপরাজিত ৮০ রান করে নট আউট থাকেন। তিনি ৭ টি চার এবং দুটি ছক্কা মারেন। রোহিত শর্মা ৩৪ বলে ৬৪ রান করেন। তিনি নিজের ইনিংসে ৪ টি চার এবং ৫ টি ছক্কা মারেন। হার্দিক পাণ্ডিয়া ১৭ বলে ৩৯ এবং সূর্যকুমার যাদব ১৭ বলে ৩২ রান করেছিলেন। ইংল্যান্ড ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে ফিরে যান জেসন রয়। শূন্য রানে রয়কে ফেরান ভুবনেশ্বর কুমার। তারপর শুরুর দিকে বোলিং ভালো না হলেও ইংল্যান্ডের ১৩০ রানের মাথায় আবারও উইকেট তুলে নেন ভুবি।
ম্যাচে ৪ ওভার বল করে ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ভুবি। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন তিনিই। সিরিজ জিতে গোটা দলের সঙ্গে বিরাট কোহলিও খুশি। সেই সঙ্গে ম্যান অফ দ্য সিরিজও হন অধিনায়ক বিরাট। এদিন ম্যাচ জেতার পর বিরাট বলেন, “আমি মনে করি এটি আমাদের জন্য একটি সম্পূর্ণ গেম ছিল এবং এতটা শিশির আসার পরেও বিরোধী দলকে ছাপিয়ে গিয়েছি ঋষভ এবং শ্রেয়াস ব্যাট করতেও আসেনি এবং আমরা ২৩০-এ পৌঁছে যাচ্ছিলাম। ব্যাটিং পারফরম্যান্স দারুন। আমাদের জন্য ভাল। আমরা আমাদের উদ্দেশ্যতে ইতিবাচক ছিলাম এবং আমরা গেমটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। আজ রাতের সময় ক্লাসিক রোহিত শর্মা এবং যদি আরও নির্দ্বিধায় এ জাতীয় ব্যাটিং হয় … শেষ পর্যন্ত সূর্যকুমার ও হার্দিক – আমি পার্টনারশিপ উপভোগ করেছি।”
আপনি কি ভারতে হয়ে ওপেনিং করা চালিয়ে যাবেন? এর উত্তর তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি আইপিএলেও ওপেন করতে চলেছি। আমাদের কাছে এখন একটি শক্তিশালী মিডল অর্ডার রয়েছে – এটি টি- ২০ ক্রিকেট, শীর্ষ দুই খেলোয়াড়ের ওপেনিংয়ে থাকবে। আমি শীর্ষে রোহিতকে পার্টনার করতে চাই এবং আমাদের মধ্যে কেউ যখন উপস্থিত হয় তখন অন্য ছেলেরা আত্মবিশ্বাসী বোধ করে, আমি এটি চালিয়ে যেতে চাই। কিশান এবং সূর্যের আসার পর আমাকেও সন্তুষ্ট করেছে যে কীভাবে শ্রেয়াস প্রথম দিকে এবং শেষ দিকে ব্যাট করেছে। ইশান উজ্জ্বল, তবে আমি সূর্যকে নিয়ে বিশেষভাবে সন্তুষ্ট ছিলাম। হার্দিক ও ভুবি ভালভাবে ফিরে এসেছেন। নাট্টু ফিরে এসে আজ দুটি গুরুত্বপূর্ণ ওভার বোলিং করেছে। পন্থ কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাটিংয়ের জন্য পরিপক্কতা দেখিয়েছে এবং এটি আমাদের জন্য একের পর এক সিরিজে হয়েছে। টেস্ট সিরিজের পরে ঠাকুরের আত্মবিশ্বাসের মাত্রা অনেক বেড়েছে-এমনকি ব্যাটিংয়েও।”