IND vs ZIM: মেলবোর্নেই গ্রুপ-২ এর যাত্রা শুরু করেছিলো ভারত, সেই মেলবোর্নেই গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেললো ‘টিম ইন্ডিয়া।’ প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান’কে হারিয়ে যে জয়যাত্রা শুরু হয়েছিলো, মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তা খানিক হোঁচট খেলেও দলের অগ্রগতি’তে বিশাল বাধা হয়ে দাঁড়ায় নি। আজ জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে যোগ্য দল হিসেবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ চারে প্রবেশ করলেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি’রা। দিনের প্রথম ম্যাচে অ্যাডিলেডে নেদারল্যান্ডস দক্ষিণ আফ্রিকা’কে হারাতে আগেই শেষ চারের টিকিট কনফার্ম হয়ে গিয়েছিলো ভারতের। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান জেতায়, রানের রেটের হিসেবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিষয়ে ছিলো খানিক সংশয়। ‘শেভ্রন’দের ৭১ রানে উড়িয়ে দিয়ে সেসব সংশয় তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলো টিম ইন্ডিয়া। কে এল রাহুলের ৩৫ বলে ৫১ ও সূর্যকুমার যাদবের ২৫ বলে ৬১* ইনিংসে ভর করে ভারত প্রথমে ব্যাট করে ১৮৬ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতের বোলিং আক্রমণে দিশাহারা জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে যায় ১১৫ রানে। সিকান্দার রাজা’র ৩৪ এবং রায়ান বার্লের ৩৫ ছাড়া বলার মত রান পান নি কেউই। ভারতের মত প্রবল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হারতে হলেও দলের পারফর্ম্যান্সের ভালো দিকগুলি নিয়েই ভাবতে চান জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেগ এরভিন। ম্যাচ শেষে জানালেন সেই কথা।
হারলেও সূর্যকুমারে মজেছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক এরভিন-

পাকিস্তান’কে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ১ রানে হারিয়েছিলো তাঁর দল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও লড়াই করেছিলো মরনপণ, তাই উপমহাদেশের আরেক ক্রিকেট শক্তি ভারতের বিরুদ্ধে জিম্বাবুয়ের কাছ থেকে লড়াই আশা করেছিলেন অনেক। বাস্তবে তা আর হলো না। সহজেই ৭১ রানে ম্যাচ জিতে নিলো ভারত। শুধু ম্যাচ জিতলো না, গ্রুপ-২ এর শীর্ষস্থানে থেকে জায়গা করে নিলো শেষ চারে। ম্যাচ হেরে স্বভাবতই হতাশ জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেগ এরভিন। তবে দলের হারে ভেঙে না পড়ে হার থেকে ‘পজিটিভ’ খুঁজছেন তিনি। এমনটাই জানালেন ইয়ান বিশপ’কে। ম্যাচের শেষে ‘শেভ্রন’ অধিনায়ক জানান, ” হ্যাঁ আমরা দুই-একটা পরিকল্পনায় বদল হয়ত আনতে পারতাম আজ। কিন্তু সূর্যকুমার যেভাবে রিচি’র(Richard Ngarava) ওয়াইড ইয়র্কারগুলোর মোকাবিলা করেছে, এক কথায় অনবদ্য। হয়ত আমরা ওকে খানিক গতি কমিয়ে বল করতে পারতাম। তবে ওকে(সূর্যকুমার যাদব) কৃতিত্ব দিতেই হবে। সূর্য মাঠে নেমে পুরো খেলাটাই বদলে দিলো।” শেষ দুই ম্যাচে তাঁদের খেলাএ ধরণে পরিবর্তন এসেছে বলে মেনে নিয়েছেন এরভিন। বিশপ’কে তিনি জানান, ” আমরা যে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে চাইছিলাম, শেষ দুই ম্যাচে তা ছেড়ে কেমন যেন খোলসে ঢুকে পড়েছি।” এই পরিবর্তন দলের ক্ষতিই করেছে বলে মত তাঁর। “আপনি যদি ক্রিজে দাঁড়িয়ে শুধু ব্যাট চালাতে থাকেন, বোলার’দের সুযোগ দেন স্যুইং করানোর, একটা না একটা বল ঠিক আপনার ব্যাটের কোণায় লাগবে। অথবা উইকেট ভেঙে দেবে। তাই হয়েছে আমাদের সাথে।” নিজের দলের ব্যাটিং নিয়ে অসন্তষ্ঠ অধিনায়ক, তা বলাই যায়। “যা চেয়েছিলাম সেভাবে শেষ কয়েকটা ম্যাচে খেলতে পারি নি। তবে সুপার টুয়েলভ পর্বে যোগ্যতা লাভ করার জন্য আমরা অনেক খেটেছি। গোটা টুর্নামেন্টেই আমরা বেশ ভালো ফিল্ডিং করেছি, বিশেষ করে বেশ ভালো ক্যাচ নিয়েছে ফিল্ডার’রা। এই ছোটোখাটো আশার আলোগুলো’কে সাথে নিয়েই বিশ্বকাপ’কে বিদায় জানাতে চাই।” ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন এরভিন।