suryakumar yadav

IND vs WI: ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের মধ্যে চলতি পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ শনিবার ফ্লোরিডার লডারহিলের সেন্ট্রাল ব্রোওয়ার্ড রিজিওনাল পার্ক স্টেডিয়াম টার্ফ গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে। এই ম্যাচে ভারতীয় দল যখন মাঠে নামবে, তখন সবার চোখ থাকবে ৩১ বছর বয়সী তারকা ব্যাটসম্যান সূর্যকুমার যাদবের দিকে। প্রকৃতপক্ষে, আজকের ম্যাচে যদি যাদবের ব্যাটে আরও ৫০ রান আসে, তাহলে তিনি টি ২০ র‌্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান বাবর আজমকে পিছনে ফেলে এক নম্বর ব্যাটসম্যান হয়ে যাবেন।

বাবর আজম বর্তমানে ৮১৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রথম স্থানে রয়েছেন। অন্যদিকে, ৮১৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান সূর্যকুমার যাদব। বাবর ও সূর্যকুমারের মধ্যে বর্তমানে দুই রেটিং পয়েন্টের ব্যবধান রয়েছে। সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে বাবর আজমের সতীর্থ মোহাম্মদ রিজওয়ানকে পেছনে ফেলেছেন যাদব। যাদবের আগে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন রিজওয়ান, কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরির পর যাদব দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছেন। তবে এর আগে আরও দুই ভারতীয় ক্রিকেটার র‍্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে যাওয়ার সুযোগ পেলেও সেটা করে দেখাতে পারেননি। দেখে নেওয়া যাক এই তালিকায় কাদের নাম রয়েছে।

গৌতম গম্ভীর

IND vs WI: আইসিসি টি-২০ র‍্যাঙ্কিয়ে এই দুই ব্যাটসম্যান দুই নম্বরে উঠলেও এক নম্বর হতে পারেননি, এবার সূর্যের পালা 1

২০০৭ সালের টি ২০ বিশ্বকাপের পর র‍্যাঙ্কিংয়ে তরতর করে উঠে আসেন গৌতম গম্ভীর। সেই সময় গ্রায়েম স্মিথ (৬৪৭) ম্যাথু হেডেন (৬৩৮) গৌতম গম্ভীর (৫৩৮) আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে ছিলেন। তবে এখানেই শেষ নয়, ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে, গৌতম গম্ভীর (৬১২) টি ২০ র‌্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বরে চলে আসেন। সেই সময় পাকিস্তানের মিসবাহ-উল-হকের (৬৫৭) থেকে ৪৫ পয়েন্ট দূরে। এরপর ২০০৯ সালে, তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে ১৩ রান করতে পারেন। তারপরই নিউজিল্যান্ড সফরে ২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে যথাক্রমে ৬ এবং ১০ রান করেন। তিনি ২০০৯ বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে পারেননি। ফলে, এক নম্বরে ওঠার বদলে আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে নেমে আসতে হয় গম্ভীরকে।

কেএল রাহুল

KL Rahul

টি ২০ র‍্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে ওঠার সুযোগ পেয়েধিলেন কেএল রাহুলও। তবে তিনি সেই কাজটা করে দেখাতে ব্যর্থ হন। ২০১৮ সালে তিনি এর খুব কাছাকাছিও চলে এসেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সেই কাজটা তিনি করে দেখাতে পারেননি। তালিকার এক নম্বরে থাকা অ্যারন ফিঞ্চের রেটিং পয়েন্ট তখন ছিল ৯০০। অন্যদিকে, দুরন্ত ছন্দে থালা কেএল রাহুলের রেটিং ছিল ৮৫৪৷ অজি তারকার থেকে সেই মুহুর্তে ৪৬ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিলেন তিনি। তবে এরপর অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে রাহুলের ব্যাট থেকে বড় রান আসেনি। ফলস্বরূপ, তারপর যত দিন গেছে ততই তালিকার নীচে নামতে শুরু করেন ভারতীয় ওপেনার।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *