IND vs SA: অবশেষে আইসিসির আরও একটি শিরোপা জয় করলো টিম ইন্ডিয়া। পরস্পর দুইবার ফাইনালে পরাজিত হওয়ার পর তৃতীয় বারের মাথায় বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করলো টিম ইন্ডিয়া। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। প্রথমে ব্যাটিং করতে এসে দ্বিতীয় ওভারে নিজের উইকেট হারিয়ে ফেলেন রোহিত, এবং একই ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান পন্থ। বড় মঞ্চে ব্যার্থ হন সূর্যকুমার যাদবও। তবে বাংলায় একটি প্রবাদ বাক্য রয়েছে, যেটি হলো ‘ওস্তাদের মার শেষ রাতে।’ ঠিক সেটাই করে দেখালেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)।
পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ফ্লপ প্রদর্শন করা বিরাট কোহলি আজকের বড় মঞ্চে জ্বলে উঠলেন। তার ব্যাট থেকে ৫৯ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কার বিনিময়ে ৭৬ রান এসেছে। পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারানোর পর ব্যাটিং করতে আসেন অক্ষর প্যাটেল (Axar Patel)। পাওয়ার প্লে থেকে মিডিল ওভার পর্যন্ত দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনিংস খেলেন অক্ষর, ৩১ বলে ১টি চার ও ৪টি ছক্কার বিনিময়ে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন অক্ষর। তাছাড়া আজকের ম্যাচে কিছুটা ছন্দ দেখান শিবম দুবের (Shivam Dube)। তার ব্যাট থেকে ১৬ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কার বিনিময়ে ২৭ রান এসেছে। যার দৌলতে টিম ইন্ডিয়া নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারতীয় দল ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান বানাতে সক্ষম হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে পরাস্ত করলো টিম ইন্ডিয়া
বিশ্বকাপের ফাইনালের ইতিহাসে আজ ভারতীয় দল সর্বাধিক রান বানালো। রান তাড়া করতে এসে, বুমরাহের দুরন্ত ইনসুইংয়ে পরাস্ত হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রেজা হেন্ড্রিক্স (Reeza Hendricks), এমনকি তৃতীয় ওভারেই অর্ষদীপের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে উইকের হারান এইডেন মার্করাম (Aiden Markram)। যদিও মিডিল ওভারে ভারতীয় দলের স্পিন আক্রমনকে বেশ ভালোভাবে সামাল দিতে দেখা যায় কুইন্টন ডি কক (Quinton De Kock) ও ট্রিস্টান স্টাবস (Tristan Stubbs)।
২১ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কার বিনিময়ে ৩১ রান বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন স্টাবস। অক্ষরের বলার ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতে গিয়ে উইকেট হারিয়ে ফেলেন তিনি। এরপর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের দুই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানকে একসাথে ব্যাটিং করতে দেখা যায়। তবে মিডিল ওভারে আবার অর্ষদীপ সিংকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন রোহিত এবং তার ওভারেই ৩১ বলে ৩৯ রান বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ডি কক।
তবে অক্ষর প্যাটেলের শেষ ওভারে তাকে টার্গেট করেন হেনরিখ ক্লাসেন। অক্ষরের ওভার থেকে ২৪ রান সংগ্রহ করেন ক্লাসেন, খেলা প্রায় প্রায় দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে চলে আসে আর এই পরিস্থিতিতে ক্যাপ্টেন রোহিত তার সেরা চালটি চলেন এবং হার্দিক পান্ডিয়াকে বোলিং দেন। বল হাতে হার্দিক ক্লাসেনকে আউট করে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। এরপর বুমরাহ ও অর্ষদীপের দুরন্ত স্পেলে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে যেতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। শেষ ওভারে জেতার জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ১৬ রানের।
হার্দিক পান্ডিয়ার হাতেই ম্যাচ নির্ধারিত হয় এবং প্রথম বলেই ডেভিড মিলারকে প্যাভিলিয়নে ফেরান হার্দিক। ফুলটস বলে ছক্কা হাঁকানোর প্রচেষ্টায় বাউন্ডারি লাইনে থাকা সূর্যকুমার যাদব একটি দুর্দান্ত ক্যাচ ধরে ভারতের জয় সুনিশ্চিত করেন। ৭ রানে ম্যাচ জয় করে টিম ইন্ডিয়া দ্বিতীয় বারের জন্য এই শিরোপা নিজেদের নামে করে নিলো।