দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ম্যাচে ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে (IND vs SA) ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে। ২১২ রানের লক্ষ্য রক্ষা করতে পারেনি ঋষভ পন্থের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। র্যাসি ভ্যান ডার ডুসেন এবং ডেভিড মিলার সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ ভাগাভাগি করে আফ্রিকাকে জয় এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই ম্যাচে ভারতীয় একাদশে ফেরেন হার্দিক পান্ডিয়া ও দিনেশ কার্তিক। আইপিএলে দুজনেই দুর্দান্ত ক্রিকেট উপহার দেন। তারই পুরস্কার হিসেবে এই দু’জনকেই ভারতীয় দলে জায়গা করে দেওয়া হয়।
আইপিএলে ভালো ছন্দে ছিলেন দীনেশ কার্তিক
দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রথম ম্যাচে হার্দিক পান্ডিয়া ২১ বলে ৩১ রান করেন। যখন ইনিংসের মাত্র ৫ বল বাকি, তখন ক্রিজে আসেন দিনেশ কার্তিক। দুই বলে এক রান করেন তিনি। আইপিএল ২০২২ তে তার দুর্দান্ত পারফরমেন্সের কারণে কার্তিক ভারতীয় দলে ফিরে এসেছেন। তিনি ১৬ ইনিংসে ১৮৩.৩৩ স্ট্রাইক রেটে ৩৩০ রান করেন। ম্যাচের পরে, যখন গৌতম গম্ভীরকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি কটকে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে ভারতীয় দলে পরিবর্তন দেখতে চান কিনা। গম্ভীর বলেছিলেন যে তিনি একই দলের সঙ্গে যেতে চান। তবে তিনি জোর দিয়েছিলেন যে কার্তিকের জায়গায় ভারত দীপক হুডাকে সুযোগ দিতে পারে।
কী বললেন গম্ভীর ?
গৌতম গম্ভীর বলেছিলেন, “আপনি যখন দীনেশকে দলে নিয়েছেন তখন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে আরও বেশি ব্যাট করার সুযোগ দিতে হবে। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি দীপক হুডাকেও সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। আইপিএলে তিনি যেরকম ফর্মে ছিলেন তা বিবেচনা করতেই হবে। মনে রাখতে হবে হুডা তরুণ ক্রিকেটার। বড় বড় শট খেলার ক্ষমতা রয়েছে তার। তবে উইকেট খুব শুষ্ক না হলে, পরের ম্যাচগুলোতে পরিবর্তনের বিশেষ প্রয়োজন নেই। তিনি যোগ করেছেন, “উইকেট যদি শুষ্ক হয় তাহলে একজন জোরে বোলারকে বাদ দেওয়া যেতে পারে। সেই জায়গায় বিষ্ণোইকে লেগ-স্পিনার হিসাবে নিতে পারে এবং হার্দিক তখন তৃতীয় সিমারের কাজটা করবে। আক্রমণ করার বিকল্প হিসাবে আপনার কাছে দুটি রিস্ট স্পিনার থাকবে। তবে যদি মাঠ ছোট হয় এবং উইকেটে খুব বেশি স্পিন না থাকে তবে আপনি সম্ভবত একই দল দেখতে পাবেন। আশা করছি এই ম্যাচ থেকে জয় তুলে নেবে ভারত।”