IND vs NZ: ঘরের মাঠে বিপর্যয়ের মুখে টিম ইন্ডিয়া। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে (IND vs NZ) সিরিজের প্রথম ম্যাচেই জুটলো ৮ উইকেটে হার। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে প্রথম ব্যাটিং করে ভারত। তারকাখচিত ব্যাটিং লাইন-আপ ভাঙে তাসের ঘরের মত। ম্যাট হেনরী-উইলিয়াম ও রোর্ক জুটির সৌজন্যে ৪৬ রানে গুটিয়ে যায় ‘মেন ইন ব্লু।’ জবাবে স্কোরবোর্ডে ৪০২ রান যোগ করে নিউজিল্যান্ড। ঘুরে দাঁড়াতে হলে দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাটিং করতেই হত ভারতকে। দুই তুরুণ তুর্কি সরফরাজ খান ও ঋষভ পন্থের ১৭৭ রানের জুটির সুবাদে ৪৬২ রান তুলতে সক্ষম হয় তারা। শেষ ইনিংসে কিউইদের সামনে লক্ষ্য ছিলো ১০৭। পঞ্চম দিনের শুরুতে জোড়া উইকেট হারালেও উইল ইয়ং ও রচিন রবীন্দ্রের জুটি প্রথম সেশনেই জয় এনে দেয় ‘ব্ল্যাক ক্যাপস’দের। ম্যাচ বিশ্লেষণ করতে বসে টিম ইন্ডিয়ার তিন তারকাকে ভিলেন ঠাওরাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
Read More: “আমরা বাউন্স ব্যাক করতে জানি…” নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩৬ বছর পর হোম টেস্ট হেরে আশা হত ক্যাপ্টেন রোহিত, করলেন এই মন্তব্য !!
রোহিত শর্মা-
তালিকায় প্রথম নামটিই হবে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা’র (Rohit Sharma)। ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২ রান করেন তিনি। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ান হিটম্যান। ৫২ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। অর্ধশতকের পরেও ভিলেন তকমা এড়াতে পারছেন না তিনি। নেপথ্যে অধিনায়ক হিসেবে তাঁর একটি ভুল সিদ্ধান্ত। বেঙ্গালুরুতে টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনটি ভেস্তে গিয়েছিলো বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় দিন যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখনও আকাশ মেঘলা। আগের দিন ঢাকা থাকার কারণে পিচে রয়ে গিয়েছিলো ভিজে, স্যাঁতস্যাঁতে ভাব। এই আবহাওয়ায় স্যুইং-এর সম্ভাবনা সত্ত্বেও টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন রোহিত (Rohit Sharma)। এই সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিলো তা সাংবাদিক সম্মেলনে স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। পরিস্থিতি দেখার পরেও কোন ভাবনা থেকে তিন স্পিনারকে প্রথম একাদশে রাখা হলো পরিষ্কার নয় তাও।
কে এল রাহুল-
এই তালিকায় দ্বিতীয় নামটি থাকবে কে এল রাহুলের (KL Rahul)। কর্ণাটকের ক্রিকেটারের উপর আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। বাংলাদেশ সিরিজ শুরুর আগেই অধিনায়ক রোহিত শর্মা জানিয়েছিলেন যে মিডল অর্ডারের স্তম্ভ হিসেবে রাহুলকেই ভাবছেন তাঁরা। দলে তাঁর কি ভূমিকা তা স্পষ্ট করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন রোহিত। এরপর টাইগারদের বিপক্ষে দুই টেস্টেই খেলেছেন রাহুল। এমনকি সুযোগ পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও (IND vs NZ)। দলের হয়ে নজরকাড়া পারফর্ম্যান্স উপহার দিতে পারেন নি তিনি। বেঙ্গালুরুতে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস চলাকালীন সরফরাজ খান ও ঋষভ পন্থ দৃঢ় প্রতিরোধ গড়েছিলেন। তাঁরা আউট হওয়ার পর রাহুলের কাছে সুযোগ ছিলো ‘ঘরের মাঠে’ সেরাটা দিয়ে ভারতকে বিপন্মুক্ত করার। কিন্তু পারেন নি তিনি। ১২ রান করেই ফেরেন সাজঘরে।
রবিচন্দ্রণ অশ্বিন-
সাধারণত ম্যাচ উইনারদের তালিকায় দেখা যায় রবিচন্দ্রণ অশ্বিনকে (Ravichandran Ashwin)। ভারতের মাঠে একের পর এক দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স করে দলকে টেস্টে জয় এনে দেন তামিলনাড়ুর তারকা। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে স্বভাববিরুদ্ধে ক্রিকেট দেখা গেলো তাঁর তরফ থেকেও। বল হাতে দুই ইনিংসেই দাগ কাটতে ব্যর্থ অশ্বিন। প্রথম ইনিংসে ১৬ ওভার হাত ঘোরান তিনি। খরচ করেন ৯৪ রান। ইকোনমি ৫.৯০, যা তাঁর কেরিয়ার ইকোনমি রেট ২.৮২-এর দ্বিগুণেরও বেশী। একমাত্র ডেভন কনওয়েকে বোল্ড করা ছাড়া কোনো সাফল্য পান নি তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ২ ওভারের বেশী তাঁকে ব্যবহার করতে পারেন নি রোহিত। ৬ রান খরচ করেন। কোনো উইকেট পান নি। বোলিং-এ সাফল্য না পেলে অতীতে ব্যাটিং দিয়ে তা পুষিয়ে দিতে দেখা গিয়েছে অশ্বিনকে। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে দুই ইনিংসে করেন ০ ও ১৫। তাঁর ব্যর্থতা ভারতের হারের অন্যতম কারণ।