IND vs ENG: এক কথায় ইংল্যান্ডের কাছে দাঁড়াতেই পারলো না ভারত। ইংলিশদের বিরুদ্ধে উড়ে গেল রোহিত শর্মা দল। ব্যাটে-বলে কোন সুযোগই ছিল না ভারতের। ভারতকে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। ফলে আগামী ১৩ নভেম্বর মেলবোর্নে ট্রফি জয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-পাকিস্তান। শুরুটা করেছিলেন জশ বাটলার। তবে সময়ের সাথে সাথে নিয়ন্ত্রণটা নিজের করে নেন অ্যালেক্স হেলস। ১০ বলে যখন ১৭ রান বাটলারের, হেলস নামের পাশে তখন ২ বলে ২। আর যখন ২৮ বলে অর্ধশতক ছুঁয়ে ফেললেন হেলস, তখন ২০ বলে ৩০ রানে অপরাজিত জশ বাটলার।
শুরু থেকেই দুর্দান্ত ইংল্যান্ড
তবে রান যার ব্যাটেই আসুক না কেন, ইংল্যান্ডই এ দিন জয়ের কাছে পৌঁছে গেল খুব তাড়াতাড়ি। এদিকে যখন দু’জনের জুটিতে সাচ্ছন্দ্যে ইংলিশ শিবির, ভারত দল তখন জুটি ভাঙতে মরিয়া। হেলস-বাটলারের উদ্বোধনী জুটিতে নাভিশ্বাস উঠে যায় ভারতের। কোন উইকেট না হারিয়েই ১০ ওভারে আসে ৯৮ রান। শেষ পর্যন্ত ২৪ বল হাতে রেখেই উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড। রেকর্ড গড়েই ভারতকে বিদায় করলো জশ বাটলারের দল।
কী বললেন জস বাটলার?
অ্যাডিলেড ওভালে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েই ফাইনালে ইংল্যান্ড। জশ বাটলার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪৯ বলে ৮০ রানে, হার না মানা ৪৭ বলে ৮৬ রানের ইনিংস খেলেছেন এলেক্স হেলস। একটি উইকেটও নিতে পারেননি ভারতের কোন বোলার। এ দিন ম্যাচ জেতার পর জস বাটলার বলেন, “জিততে হলে যত রান তুলতে হবে, সেটাই হবে নিরাপদ স্কোর। এটাই জানতাম। এটা বড় ম্যাচ। হারলেই বিদায়। মাঠে দর্শকদের চিৎকার থাকবে, যেগুলো হজম করে খেলতে হয়তো অসুবিধা হয়। তবে সেমিফাইনাল জেতার জন্য নিজেদের সেরাটা দিয়েছি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এটা আমাদের তরফ থেকে একটি উজ্জ্বল পারফরম্যান্স ছিল। আমি মনে করি আমাদের জর্ডানকে বিশেষ কৃতিত্ব দিতে হবে। ও শেষদিকে যেভাবে বোলিং করেছে সেটা এক কথায় অসাধারণ। কাজটা সত্যিই শক্ত ছিল। তবে ও যেভাবে বোলিং করেছে তার তারিফ করতেই হবে।”