IND vs ENG: টেস্ট ম্যাচের জন্য বর্তমানে তিন ধরণের বল ব্যবহার করা হয়। ভারতে আয়োজিত ম্যাচ গুলিতে দেখা যায় এস জি বল। অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড-সহ অধিকাংশ টেস্টখেলিয়ে দেশ ব্যবহার করে অস্ট্রেলিয়ায় নির্মিত কুকাবুরা বল। আর ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে দীর্ঘতম ফর্ম্যাটের জন্য ব্যবহৃত হয় ডিউক সংস্থার বল। ভারত বনাম ইংল্যান্ড (IND vs ENG) সিরিজ জুড়ে এই ‘ডিউক’ বলই বিতর্কের কেন্দ্রে। সাধারণত ৮০ ওভার অন্তর বল বদলের নিয়ম রয়েছে টেস্টে। কিন্তু এবার অল্প সময়ের মধ্যেই ডিউক বল ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে, অভিযোগ এসেছে ভারত ও ইংল্যান্ড-দুই শিবির থেকেই। এর আগে হেডিংলেতে বল বদল নিয়ে আম্পায়ারের সাথে একপ্রস্থ বাগবিতণ্ডা চলেছিলো টিম ইন্ডিয়ার খেলোয়াড়দের। একই ছবি দেখা গেলো লর্ডসেও। দ্বতীয় দিনের সকালে অসন্তোষ ব্যক্ত করতে দেখা গেলো শুভমান গিল’কে।
Read More: W, W, W, W, W…আগুনে বোলিং আইরিশ অলরাউন্ডারের, টানা পাঁচ বলে নিলেন পাঁচ উইকেট !!
বল নিয়ে চললো চাপান-উতোর-

গতকাল ৮০ ওভার সম্পূর্ণ হওয়ার পর নতুন বল নিয়েছিলো ভারতীয় দল। বল বদলের পর মাত্র ৩ ওভারই খেলা এগিয়েছিলো। অর্থাৎ আজ সকালে প্রায় নতুন বল হাতেই দিনের সূচনা করেছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah)। সাফল্যও পান তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সাজঘরে ফেরান বেন স্টোকস, জো রুট ও ক্রিস ওকস’কে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই বল নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ‘মেন ইন ব্লু’কে। বদলে গিয়েছে বলের আকৃতি, অভিযোগ তুলে সরব হন অধিনায়ক শুভমান গিল (Shubman Gill)। ৯১তম ওভারের মাঝপথে বল বদলের জন্য আবেদন করেন তিনি।
কিছুক্ষণ আলোচনা চলার পর তাঁর দাবী মেনে নেন আম্পায়ার শরফুদৌলা সৈকত ও পল রাইফেল। ক্রিকেটের নিয়ম বলছে নির্দিষ্ট সময়ের আগে বল খেলার অযোগ্য হয়ে পড়লে নতুন বল ব্যবহার করা যায় না। বরং বাতিল বলটির সবচেয়ে নিকটবর্তী অবস্থায় থাকা অন্য একটি বল বেছে নেন আম্পায়াররা।লর্ডসে ‘বিকল্প’ হিসেবে দুই আম্পায়ার যে বলটি বেছে নেন তা নিয়েও খুশি ছিলেন না শুভমান (Shubman Gill)। ৯১তম ওভারের মাঝপথেই আম্পায়ারদের সাথে আরেকপ্রস্থ বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান তিনি।
অসন্তোষ ব্যক্ত করেন পেসার মহম্মদ সিরাজ’ও। “এটা ১০ ওভার পুরনো বলের মত? সত্যি বলছেন?” তাঁর উত্তেজিত প্রশ্ন ধরা পড়ে স্টাম্প মাইকে। ফের বল বদলের দাবী অবশ্য মেনে নেন নি আম্পায়াররা। বাধ্য হয়েই বোলিং রান-আপে ফিরতে হয় হায়দ্রাবাদের পেসারকে। ৯৪তম ওভারের পর ড্রিঙ্কস বিরতির সময় বল প্রসঙ্গে ফের একবার পল রাইফেল ও শরফুদৌলা সৈকতের কাছে অভিযোগ জানাতে দেখা যায় শুভমান’কে (Shubman Gill)। যে বল’টি ‘বিকল্প’ হিসেবে দেওয়া হয়েছে তা যে মোটেই আদর্শ নয় তা আরও একবার স্পষ্ট করেন তিনি। সাধারণত মাঠে ঠাণ্ডা মেজাজেই দেখা যায় ফাজিলকার তরুণকে। আজ বল বিতর্কের পর মেজাজ ধরে রাখতে পারেন নি তিনিও।
ডিউক বল নিয়ে খুশি নন পন্থ-স্টোকস-

ডিউক বলে আকার বদল যে তাঁরা বিশেষ ভালো চোখে দেখছেন না তা লর্ডস টেস্ট (IND vs ENG) শুরুর আগেই সাফ জানিয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। “অবশ্যই, আমার মনে হয় এটা বড়সড় একটা সমস্যা কারণ বলের আকার বদলে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের এতে কিছুই করার নেই। কারণ যখন আপনি বলটা দেখবেন, মনে হবে আকৃতি ঠিকই রয়েছে কিন্তু ঐ রিংগুলো (বল গেজ) ওমনই। যদি না কেউ (সংস্থা) কোনো বদল না আনে তাহলে খেলোয়াড়দের কিছুই করার নেই এতে,” বলেন তিনি। “ক্রিকেটারদের জন্য এটা বিরক্তিকর। কারণ বল নরম হয়ে খেলে বিশেষ নড়াচড়া করে না। আবার বদলানোর সাথে সাথে আলাদা ব্যবহার করতে থাকে। তখন ব্যাটার হিসেবে মানিয়ে নিতে হয়। ক্রিকেটের জন্য এটা ঠিক নয়,” সংযোজন তাঁর। “এটা মোটেই আদর্শ নয়। কিন্তু আমাদের মেনে নিতেই হয়,” জানিয়েছেন স্টোকসও।