IND vs ENG: পরাজয় দিয়েই ইংল্যান্ড সফরের শুরুটা করেছে টিম ইন্ডিয়া (IND vs ENG)। প্রথম ম্যাচে তারা বেন স্টোকসবাহিনীর বিরুদ্ধে হেরেছে ৫ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। প্রথম চার দিন লড়াই চালিয়েছিলো শুভমান গিলের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। কিন্তু অন্তিম দিনের চ্যালেঞ্জ সামলাতে পারে নি তারা। হেডিংলের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এজবাস্টনে আদৌ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ‘মেন ইন ব্লু?’ সেদিকেই তাকিয়ে ছিলো সকলে। আজ টসের পর প্রথম একাদশ সামনে আসতেই স্পষ্ট হলো ছক বদল। প্রত্যাশামতই জসপ্রীত বুমরাহকে (Jasprit Bumrah) বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তাঁর বদলে খেলছেন বাংলার আকাশ দীপ। পাশাপাশি ছেঁটে ফেলা হয়েছে শার্দুল ঠাকুর ও সাই সুদর্শনকে। শার্দুলের বদলে নীতিশ কুমার রেড্ডি’র অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিশেষ প্রশ্ন নেই। তবে কোন যুক্তিতে সাইয়ের (Sai Sudharsan) বদলি হিসেবে একাদশে ওয়াশিংটন সুন্দর? নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা।
Read More: বাংলাদেশ যাচ্ছে না টিম ইন্ডিয়া, আন্তর্জাতিক আঙিনায় কোহলি-রোহিতের প্রত্যাবর্তন ঘিরে সংশয় !!
সাই বাদ পড়ায় কাঠগড়ায় গিল-গম্ভীর-

হেডিংলতে টেস্ট (IND vs ENG) অভিষেক হয়েছিলো তামিলনাড়ুর সাই সুদর্শনের। সদ্য আইপিএলের কমলা টুপিজয়ী তারকা লাল বলের ফর্ম্যাটে কেরিয়ারের শুরুটা আশানুরূপ করতে পারেন নি। বেন স্টোকসের নির্বিষ ডেলিভারি ফ্লিক করতে গিয়ে ধরা পড়েন উইকেটরক্ষক জেইমি স্মিথের দস্তানায়। প্রথম ইনিংসে খাতা খোলারই সুযোগ পান নি তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য খানিক সামলে ওঠেন বাম হাতি ব্যাটার। তিন নম্বরে নেমে খেলেন ৩০ রানের ইনিংস। ফের একবার ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকসই (Ben Stokes) সাজঘরে ফেরত পাঠান সাই’কে। এরপর তাঁকে আর দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবে নি ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। এজবাস্টনের একাদশ থেকে সরাসরি ছেঁটে ফেলা হয়েছে ২৩ বছরের তরুণ’কে। মাত্র একটি ম্যাচের পারফর্ম্যান্স কি যোগ্যতা বিচারের মাপকাঠি হতে পারে? উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
সাই সুদর্শন বাদ পড়ায় কাঠগড়ায় উঠেছেন অধিনায়ক শুভমান গিল (Shubman Gill) ও কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। ইংল্যান্ড সফর (IND vs ENG) শুরুর আগে মুম্বইতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন নবনির্বাচিত অধিনায়ক। সেখানে ফাজিলকার তরুণ জানিয়েছিলেন, “দলের সকলকে নিরাপদ অনুভব করানোই লক্ষ্য থাকবে।” প্রত্যেককে প্রাপ্য সুযোগ দেওয়া হবে বলেও অঙ্গীকার করেন তিনি। কিন্তু একটি টেস্টের পরেই সাই’কে বাদ দিয়ে কথার খেলাপ করেছেন শুভমান, ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে অভিযোগ। আঙুল উঠেছে কোচ গম্ভীরের দিকেও। মুম্বইয়ের সাংবাদিক বৈঠকে করুণ নায়ারের প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, “কাউকে একটি বা দু’টি টেস্টের নিরিখে বিচার করা হবে না। যদি কেউ প্রচুর রান করে থাকে, তাহলে তাঁকে পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হবে…” সাইয়ের (Sai Sudharsan) ক্ষেত্রে কেন নেওয়া হলো অন্য পন্থা? উড়ে এসেছে কটাক্ষের তীর।
নতুন পজিশনেও ব্যর্থ করুণ-

লিডস টেস্টে করুণ নায়ারকে (Karun Nair) খেলানো হয়েছিলো ছয় নম্বরে। আট বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় ফিরেছিলেন তিনি। কিন্তু সুখের হয় নি সেই অভিজ্ঞতা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে (IND vs ENG) প্রথম ইনিংসে শূন্য করেন কর্ণাটকের ক্রিকেটার। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর দিকে তাকিয়ে ছিলো দল। কিন্তু ২০ করে সাজঘরে ফেরেন তিনি, ডোবান দল’কে। সেই ব্যর্থতার পরেও এজবাস্টনে করুণের অভিজ্ঞতার উপর আস্থা রেখেছেন শুভমান-গম্ভীর জুটি। ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বর পজিশন থেকে সাই সুদর্শনকে সরিয়ে সেখানে খেলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কিন্তু পছন্দের পজিশনেও হতাশই করেছেন ডান হাতি ব্যাটার। শুরুটা ভালো করেছিলেন ঠিকই। কিন্তু ৫০ বলে ৩১ করেই ফেরেন ব্রাইডন কার্সের শিকার হয়ে। আজ তাঁর ব্যর্থতার পর সাইয়ের পক্ষে সমর্থন আরও জোরালো হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।