IND vs ENG: সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আজ ইংল্যান্ডের মুখোমুখি টিম ইন্ডিয়া (IND vs ENG)। রাজকোটের পরাজয়ের পর প্রথম একাদশে একসাথে তিনটি রদবদলের পথে হেঁটেছেন ভারতীয় কোচ গৌতম গম্ভীর। জুড়েল, ওয়াশিংটন ও শামিকে ছেঁটে ফেলে জায়গা দেওয়া হয়েছে রিঙ্কু, আর্শদীপ ও শিবম দুবেকে। সিরিজে (IND vs ENG) এর আগে প্রত্যেকটি খেলায় টসভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়েছিলো সূর্যকুমার যাদবের। আজ পুনেতে যদিও দেখা গেলো উলটো ছবি। প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। পাওয়ার প্লে’তে পরপর তিন উইকেট তুলে নিয়ে ’মেন ইন ব্লু’কে খাদের কিনারে ঠেলে দিতেও সক্ষম হয়েছিলো থ্রি লায়ন্স। কিন্তু চাপের মুখে অনড় থেকে ভারতকে লড়াইয়ের রসদ যোগালেন হার্দিক (Hardik Pandya) ও শিবম দুবে। তাঁদের বিক্রমেই ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৮১ তুললো স্বাগতিক দেশ।
Read More: IND vs ENG 4th T20i: “ক্যাপ্টেনই ডুবিয়ে চলেছে…” শূন্য করে সাজঘরে সূর্যকুমার, ক্ষোভে ফুঁসছেন নেটিজেনরা !!
সাকিবের তোপে ছিন্নভিন্ন টপ-অর্ডার-
গোটা সিরিজ (IND vs ENG) জুড়ে ভারতকে ভুগিয়ে চলেছে টপ-অর্ডার। রাজকোটেও পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিলো অভিষেক, সঞ্জু, সূর্যদের ব্যর্থতা। আজ পুনেতেও দেখা গেলো একই চিত্র। জোফ্রা আর্চারকে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে যেভাবে শুরুটা করেছিলেন অভিষেক শর্মা তা আশা জাগালেও অচিরেই সেই দীপ নিভিয়ে দেন সাকিব মাহমুদ। ভিসা সমস্যা মিটিয়ে ভারতে আসতে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিলো পাক বংশোদ্ভূত পেসারকে। প্রথম তিনটি ম্যাচে খেলেনও নি তিনি। আজ মাঠে নেমেই জ্বলে উঠলেন সাকিব (Saqib Mahmodd)। নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই শর্ট পিচ লেন্থকে অস্ত্র করে ইংল্যান্ডকে সাফল্য এনে দেন তিনি। ৩ বলে ১ রান করে স্কোয়্যার লেগে ধরা পড়েন সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson)। চলতি সিরিজে চতুর্থ বার শর্ট বলের বিরুদ্ধে উইকেট ছুঁড়ে এলেন তিনি। পরের বলেই আউট হন তিলক বর্মা’ও। খাতাই খুলতে পারেন নি তিনি।
তিলকের মত সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) ব্যাটেও রানের দেখা মিললো না আজ। প্রথম তিনটি বল রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলে সম্ভবত অধৈর্য্য হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সাকিবের শেষ ডেলিভারিটিকে বাউন্ডারিতে পাঠাতে গিয়ে ধরা পড়লেন শর্ট মিড অনে ব্রাইডন কার্সের (Brydon Carse) হাতে। রোহিত শর্মা’র পর দ্বিতীয় ভারত অধিনায়ক হিসেবে একই সিরিজে একাধিক ম্যাচে শূন্য করার অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডের মালিক হলেন তিনি। ট্রিপল উইকেট মেডেন নিয়ে সাড়া ফেলে দেন সাকিব। তাঁর ধাক্কায় একটা সময় ১২/৩ হয়ে গিয়েছিলো টিম ইন্ডিয়া। রিঙ্কুর সাথে জুটি বেঁধে প্রতিরোধের শুরুটা করেছিলেন অভিষেক শর্মা। ১৯ বলে ২৯ করেন তিনি। চোট সারিয়ে ফিরে ভারতীয় ইনিংসকে খানিক স্থায়িত্ব দিলেন রিঙ্কু সিং-ও (Rinku Singh)। কঠিন সময়ে ২৬ বল খেলে ৩০ রান করে যান উত্তরপ্রদেশের তারকা।
হার্দিক-শিবম ঝড়ে বড় রান ভারতের-
রিঙ্কু সিং যখন আউট হন তখন টিম ইন্ডিয়ার স্কোরবোর্ডে ৭৯ রান। একাদশতম ওভারেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলার পরেও শেষমেশ মোট রান সংখ্যা যে ১৮১ অবধি পৌঁছালো তার পিছনে বড় অবদান হার্দিক পান্ডিয়া ও শিবম দুবের (Shivam Dube)। পুনের বাইশ গজে আজ রীতিমত ঝড় তুললেন দুই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। তাড়াহুড়োর পথে হাঁটেন নি তাঁরা। প্রথমে খানিক সময় নিয়ে থিতু হন ক্রিজে। পরে হাত খুলতে দেখা গেলো দুজনকেই। জেমি ওভারটন’কে ফ্রি-হিটে ‘নো লুক’ ছক্কা হাঁকিয়ে আন্তর্জাতিক টি-২০তে পঞ্চম অর্ধশতকটি সম্পূর্ণ করেন হার্দিক (Hardik Pandya)। ৩০ বলে ৪টি চার ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৫৩ করে আউট হন তিনি। অক্ষর-আর্শদীপরা আউট হলেও স্কোরবোর্ডকে সচল রেখেছিলেন শিবম। শেষমেশ ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫৩ করেন তিনিও। ইনিংসের একদম শেষ বলে হন রান-আউট।