IND vs ENG: ম্যাঞ্চেস্টারে দাপট অব্যাহত ইংল্যান্ডের (IND vs ENG)। তৃতীয় দিনের শেষে তাদের ঝুলিতে ছিলো ৭ উইকেটের বিনিময়ে ৫৪৪ রান। আজ সকালেও ভারতীয় বোলারদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেন বেন স্টোকস (Ben Stokes)। গতকাল অপরাজিত ছিলেন ৬৬ রানে। আজ শতকের মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। টেস্ট কেরিয়ারে ১৪তম শতরানের মালিক হলেন তিনি। লিয়াম ডসন, ব্রাইডন কার্সরাও কার্যকরী ভূমিকা রাখেন ব্যাট হাতে। শেষমেশ ইংল্যান্ড যখন অল-আউট হয়, তখন তাদের স্কোরবোর্ডে ৬৬৯ রান। ৩১১ রানের বিশাল লিড পায় তারা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়েছিলো ‘মেন ইন ব্লু।’ শূন্য রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিলো তারা। এরপর হাল ধরেন কে এল রাহুল (KL Rahul) ও শুভমান গিল। শেষ অবধি অপরাজিত রয়েছেন দু’জনে। তাঁদের দাপটেই ভারতের স্কোর ১৭৪/২।
Read More: Asia Cup 2025: ঘোষিত এশিয়া কাপের সূচি, এই দিনে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান !!
অসামান্য পারফর্ম্যান্স স্টোকসের-

ম্যাঞ্চেস্টারে ব্যাটে-বলে দাপট ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকসের (Ben Stokes)। প্রথম ইনিংসে সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন পাঁচ ভারতীয় ব্যাটারকে। আট বছর পর ‘ফাইফার’ জমা পড়েছিলো তাঁর ঝুলিতে। জ্বলে উঠলেন ব্যাট হাতেও। ম্যাচের তৃতীয় দিন পেশীর টানকে উপেক্ষা করে অপরাজিত ছিলেন ৬৬ রানে। চতুর্থ দিনের সকালে রীতিমত ঝড় তোলেন তিনি। সম্পূর্ণ করেন শতরান। টেস্টে ৭০০০ রানের ক্লাবেও জায়গা করে নিলেন তিনি। ইংল্যান্ড জার্সিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় স্টোকস উঠে এলেন ১৩ নম্বরে। পিছনে ফেললেন কিংবদন্তি লেন হাটন’কে। তিন অঙ্কে পৌঁছানোর পর হাত খুলেছিলেন তারকা অলরাউন্ডার। বেশ কয়েকটি বড় শট হাঁকান। শেষমেশ ১৪১ করে থামেন রবীন্দ্র জাদেজার বলে। লিয়াম ডসনের ২৬, ব্রাইডন কার্সের ৪৭ রানের ইনিংস-ও ইংল্যান্ডের লিড ৩০০ পেরোনোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছে আজ।
ইনিংসের শুরুতেই কাঁপুনি ভারতীয় শিবিরে-

লর্ডসে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করতে নেমে শূন্য করে সাজঘরে ফিরেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)। ম্যাঞ্চেস্টারেও শূন্যের গেরো কাটাতে পারলেন না তিনি। ক্রিস ওকসের হাতে নতুন ডিউক বল তুলে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। প্রথম ওভারেই যশস্বীকে সাজঘরের পথ দেখান ডান হাতি পেসার। তাঁর চতুর্থ ডেলিভারিটি শেষ মুহূর্তে কাঁটা বদলায়। লেট স্যুইং-এ বিভ্রান্ত হন ভারতীয় ওপেনার। তাঁর বাড়িয়ে দেওয়া ব্যাটের কোণায় লেগে বল যায় স্লিপে দাঁড়ানো জো রুটের হাতে। পরেই বলেই আউট হন সাই সুদর্শন (Sai Sudharsan)। ‘লিভ’ করতে চেয়েছিলেন তামিলনাড়ুর তরুণ। ব্যাট সরিয়ে নেন বলের লাইন থেকে। কিন্তু বাড়তি বাউন্স বিপক্ষে যায় তাঁর। ব্যাটে লেগে বল জমা পড়ে হ্যারি ব্রুকের হাতে। ওভারের শেষ বলটিতেও কোনো রান হয় নি। ভারতের স্কোর দাঁড়িয়েছিলো ০/২।
দুর্দান্ত প্রতিরোধ রাহুল ও শুভমানের-

মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় ভারতের স্কোরবোর্ড বলছিলো ১ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট। মেঘলা আবহাওয়া ভয়ঙ্কর করে তুলেছিলো ইংল্যান্ড পেসারদের। ইনিংসে হারের আশঙ্কা জাঁকিয়ে বসেছিলো সমর্থকদের মধ্যে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া ভারত’কে লড়াইতে ফেরান কে এল রাহুল ও শুভমান গিল (Shubman Gill)। ইনিংসের শুরুতে ওকস, কার্সদের স্যুইং সামলাতে রক্ষণেই ভরসা রাখেন রাহুল। হাত খুললেন পিচে সড়গড় হয়ে যাওয়ার পর। দিনের শেষে অপরাজিত রয়েছেন ৮৭ করে। নজর কাড়লেন শুভমান’ও। লিডস ও বার্মিংহ্যামের পর খানিক নীচে গিয়েছিলো তাঁর পারফর্ম্যান্সের গ্রাফ। আজ সেই অন্ধকার অধ্যায় কাটিয়ে অপরাজিত রয়েছেন ৭৮ করে। এখনও ১৩৭ রানে পিছিয়ে ভারত। পন্থ আদোয় মাঠে নামতে পারবেন কিনা সে নিশ্চয়তা নেই। নিদেনপক্ষে ড্র ছিনিয়ে নিতেও তাই রাহুল-শুভমান জুটির দিকেই তাকিয়ে টিম ইন্ডিয়া।