IND vs ENG: পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারতকে ২৮ রানে হারিয়ে দিল ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে, চতুর্থ দিনের শুরু পর্যন্ত, ভারতীয় দল ভালো জায়গায় ছিল। কিন্তু শেষ দিনে ইংল্যান্ড বিস্ময়করভাবে এই ম্যাচ জিতে নিয়েছে। ১৯০ রানে পিছিয়ে থাকা এই ম্যাচে ইংল্যান্ড জয় পেল। ইংল্যান্ডের এই ঐতিহাসিক জয়ের স্থপতি ছিলেন দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৬ রান করা অলি পোপ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে সাত উইকেট নেওয়া টম হার্টলি। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং প্রথম ইনিংসে ২৪৬ রান করে। জবাবে ভারত ৪৩৬ রান করে এবং ১৯০ রানের লিড নেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড ৪২০ রান করে এবং ভারতের কাছে ২৩১ রানের লক্ষ্য রাখে। জবাবে টিম ইন্ডিয়া ২০২ রানে গুটিয়ে যায় এবং ম্যাচ হেরে যায়।
এক নজরে ম্যাচের হাল
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৭০ রানের কারণে দলটি ২৪৬ রান তুলতে সফল হয়। ভারতের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। জবাবে ভারত ৪৩৬ রান করে। যশস্বী জয়সওয়াল ৮০ রান, লোকেশ রাহুল ৮৬ রান এবং রবীন্দ্র জাদেজা ৮৭ রান অবদান রাখেন। ইংল্যান্ডের হয়ে জো রুট চারটি এবং হার্টলি ও রেহান দুটি করে উইকেট নেন। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে অলি পোপ ১৯৬ এবং বেন ডাকেট ৪৭ রান করেন। ভারতের বুমরাহ চার ও অশ্বিন তিন উইকেট নেন। ইংল্যান্ড দল ৪২০ রান করতে সফল হয় এবং ভারতের কাছে ২৩১ রানের লক্ষ্য রাখে। এর জবাবে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা পুরোপুরি ব্যর্থ। সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অশ্বিন ও ভরত ২৮ রান করে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন। ইংল্যান্ডের টম হার্টলি সাত উইকেট নিয়ে দলের জয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
ম্যাচের সেরা হয়ে কী বললেন অলি পোপ?
এই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৬ রান করা অলি পোপকে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুস্কার দেওয়া হয়। খেলা শেষ হওয়ার পর এহেন পোপ বলেন, “ভারতে এসে এমন ইনিংস খেলা মোটেও সহজ কাজ নয়। একজন ব্যাটসম্যানের জন্য সবচেয়ে কঠিন জায়গা এটা। এইভাবে সিরিজ শুরু করা তাই দুর্দান্ত ব্যাপার। দ্বিতীয় ইনিংসে আমি ভাগ্যবান ছিলাম। আমি বেশ কয়েকটি ভালো খেলেছি এবং কয়েকটি মিস করেছি। আমি সবসময় লড়াই করার মানসিকতা বজায় রেখেছিলাম এবং আমার সুইপ এবং রিভার্স সুইপ দিয়ে ইতিবাচক হতে চেয়েছি। এই সিরিজের জন্য আমি আমার কৌশল কিছুটা পরিবর্তন করেছি। এই সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিতে আমার অনেক সময় গিয়েছে। কিছু সমন্বয় তৈরি করেছি। নিজের খেলায় কঠোর পরিশ্রম করেছি। এই ইনিংসের পর আমার পরিবারের লোকও শান্তি করে ঘুমোতে পারবে। ওদের সঙ্গে এবার দেখা করতে পারবো।”