IND vs BAN: এই মুহূর্তে ভারতীয় দল রয়েছে ইংল্যান্ডে। লিডস, এজবাস্টন, লর্ডস, ম্যাঞ্চেস্টার ও ওভালে মোট পাঁচটি টেস্ট ম্যাচে বেন স্টোকসদের মুখোমুখি হওয়ার কথা তাদের। অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফি শেষ হচ্ছে ৪ঠা অগস্ট। এরপর দেশে ফিরে দিনকয়েকের বিশ্রাম পাবেন ঋষভ পন্থ, কে এল রাহুলরা। এরপর অগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে তাঁদের উড়ে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ। সেখানে সীমিত ওভারের দুই ফর্ম্যাটেই টাইগার্সদের বিপক্ষে (IND vs BAN) মাঠে নামার কথা রয়েছে ‘মেন ইন ব্লু’র। রয়েছে তিনটি একদিনের ম্যাচ। এছাড়া তিনটি টি-২০তেও মুখোমুখি হওয়ার কথা দুই উপমহাদেশীয় শক্তির। এশিয়া কাপের আগে এই বাংলাদেশ সফর প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারত টিম ইন্ডিয়ার জন্য। কিন্তু আপাতত রাজনৈতিক কারণে ভারতীয় তারকাদের পদ্মাপারে পা রাখা বিশ বাঁও জলে।
Read More: ENG vs IND 2nd TEST TOSS REPORT in BENGALI: টস জিতলো ইংল্যান্ড, এজবাস্টনে ইতিহাস গড়তে ভারতীয় দলে ৩ পরিবর্তন !!
ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ অনিশ্চিত-

১৭ অগস্ট থেকে শুরু হওয়ার কথা ভারত বনাম বাংলাদেশ (IND vs BAN) সিরিজ। প্রথমে রয়েছে তিনটি একদিনের ম্যাচ। তারপর তিনটি টি-২০ ম্যাচেও সম্মুখসমরে নামার কথা দুই পক্ষের। কিন্তু পড়শি দেশে যাওয়ার ব্যাপারে ভারত সরকার এখনও বিসিসিআই-কে সবুজ সংকেত দেয় নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতিকার রহমান (Iftikhar Rahman)। সংবাদমাধ্যম AFP-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে তাঁদের জানানো হয়েছে যে সফর কিছুদিন পিছিয়ে যেতে পারে। তবে ভারতীয় দলের বাংলাদেশ যাত্রা আপাতত স্থগিত থাকলেও বাতিল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন তিনি। “এই সফর এফটিপি (ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম)-এর অন্তর্গত। বাতিল করার সুযোগ নেই। তবে তা দুই পক্ষের সুবিধা অনুযায়ী অন্য কোনো সময়ে আয়োজন করা হতে পারে।”
সামনে ঠাসা ক্রিকেট সূচি রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার (Team India)। সেপ্টেম্বরে রয়েছে এশিয়া কাপ। তারপর টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নামছে ভারত। রয়েছে অস্ট্রেলিয়া সফর। এরপর নভেম্বরে দেশে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে বাংলাদেশ সফর (IND vs BAN) একবার স্থগিত হলে তা ফের কবে আয়োজন করা যাবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মনে। সফর স্থগিত হওয়ার ফলে ভারতের জার্সিতে প্রত্যাবর্তন পিছিয়ে যাচ্ছে রোহিত-বিরাটেরও। গত বছর টি-২০ ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন তাঁরা। চলতি বছরের মে মাসে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টেস্ট থেকেও সরে দাঁড়ানোর। আপাতত কেবল ওয়ান ডে ফর্ম্যাটেই দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তাঁরা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রায় মাস পাঁচেক পর বাংলাদেশেই (IND vs BAN) নীল জার্সিতে মাঠে নামার কথা ছিলো তাঁদের। কিন্তু সম্ভবত অগস্টে সেই সুযোগ পাচ্ছেন না তাঁরা।
বাংলাদেশের নেতৃত্ব ছাড়লেন শান্ত-

২০২৫-এর জানুয়ারিতে টি-২০তে অধিনায়ক পদ ছাড়ান নাজমুল হোসেন শান্ত (Najmul Hossain Shanto)। দায়িত্ব পান লিটন দাস। বাকি দুই ফর্ম্যাটে বাম হাতি ব্যাটারই থাকবেন দায়িত্বে, ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন বিসিবি চেয়ারম্যান ফারুখ আহমেদ। কিন্তু জুনের গোড়ায় তাঁকে সরিয়ে ওয়ান ডে’তে নতুন নেতা হিসেবে ঘোষণা করা হয় মেহদী হাসান মিরাজের নাম। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ হারের পর স্বেচ্ছায় টেস্ট অধিনায়কত্ব’ও ত্যাগ করেছেন শান্ত। ক্ষোভ বা হতাশা নয়, বরং দলের স্বার্থেই এহেন সিদ্ধান্ত, সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন শান্ত স্বয়ং। “আমার মতে তিন ফর্ম্যাটে তিন জন আলাদা অধিনায়ক রাখা বিচক্ষণতার পরিচয় নয়। আমি জানি না বোর্ড কি সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু ওনারা যে সিদ্ধান্তই নিক, আমি তার পূর্ণ সমর্থন করব। তবে আমার মতে তিন ফর্ম্যাটে তিন জন আলাদা অধিনায়ক সামলানো দলের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে,” জানিয়েছেন তিনি।