IND vs BAN: চেন্নাইতে টেস্টের লড়াইতে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছে ভারতীয় দল (IND vs BAN)। দ্বিতীয় দিনের শেষে আপাতত চালকের আসনেই রয়েছে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং বিপর্যয় তারা সামলে উঠেছিলো দুই অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রণ অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার সৌজন্যে। এরপর বোলিং বিভাগের দুর্ধর্ষ পারফর্ম্যান্স ম্যাচের রাশ তুলে দিয়েছে রোহিত শর্মা’র (Rohit Sharma) দলের হাতে। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৩০৮ রানে এগিয়ে তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ৮১ রান। যদিও ৩ উইকেট খুইয়ে বসেছে ভারত। ফিরে গিয়েছেন রোহিত শর্মা, যশস্বী জয়সওয়াল ও বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও দল অল্প রানে বেশ কিছু উইকেট হারিয়ে বসায় চিন্তার ভাঁজ গভীর হয়েছে সমর্থকদের কপালে।
Read More: IND vs BAN: ‘খেল খতম’ রোহিত শর্মা’র, দ্বিতীয় টেস্ট থেকে পড়বেন বাদ !!
নড়বড়ে দেখিয়েছে ভারতীয় ব্যাটিং-কে-
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে বেশ নড়বড়ে দেখিয়েছে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং বিভাগকে। শুরুতেই ফিরেছেন রোহিত শর্মা। শূন্য করে আউট হয়েছেন শুভমান গিল। টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে যে অফ ফর্মের শিকার বিরাট কোহলি, তা কাটে নি চেন্নাই টেস্টেও। প্রথম ইনিংসে ৬ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। পাঁচ নম্বরে কে এল রাহুলকে সুযোগ দিয়েছিলো ভারতীয় শিবির। টেস্ট শুরুর আগে এক বিসিসিআই কর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভালো খেলার পর চোট পেয়েছিলেন রাহুল। কিছুদিন থাকতে হয়েছে মাঠের বাইরে। ফিট হওয়ার পর নিজের পুরনো জায়গা ফিরে পাবেন তিনি। সেইমত মাঠে নামলেও চেন্নাইতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনিও। প্রথম ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে কেবলমাত্র ১৬ রান।
সুযোগ প্রাপ্য ছিলো সরফরাজ খানের-
শুভমান, কে এল রাহুলের ক্রমাগত ব্যর্থতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ভারতীয় মিডল অর্ডারে সরফরাজ খানের প্রয়োজনীয়তা। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর রান করা সত্ত্বেও দীর্ঘ সময় তাঁকে দলের বাইরেই রেখে দিয়েছিলেন নির্বাচকেরা। ২০২২-এর ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফরে অভিষেকের কথা থাকলেও ডাক আসে নি। শেষমেশ ২০২৪ সালে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার ছাড়পত্র পান মুম্বইয়ের ক্রিকেটার। আবির্ভাবেই জাত চিনিয়েছিলেন তিনি। তিন টেস্টে ৫টি ইনিংস খেলেন। তার মধ্যে ৩ বার পেরিয়েছেন অর্ধশতকের গণ্ডী। ৫০ গড়ে ২০০ রান করেছেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রাজকোট, রাঁচী ও মোহালিতে ভালো খেলেও পরবর্তী সিরিজেই বাদ পড়েছেন তিনি।
এর আগেও বহুবার ওঠানামা করেছে রাহুল বা শুভমানের ফর্মের গ্রাফ। পক্ষান্তরে ধারাবাহিকতা সরফরাজের অন্যতম ইউএসপি। ২০১৯ থেকে ২০২২-টানা চার বছর রঞ্জি ট্রফির আসরে ১০০’র নীচে নামে নি তাঁর ব্যাটিং গড়। মাটি কামড়ে পড়ে থেকে বড় ইনিংস খেলতে সিদ্ধহস্ত তিনি। রঞ্জির আসরে রয়েছে ত্রিশতরান’ও। চেন্নাই টেস্টের মত পরিস্থিতিতে খেলতে নামলে হয়ত উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসার বদলে সময় নিয়ে দলকে শক্তপোক্ত জায়গার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতেন সরফরাজ। অভিজ্ঞতা ও সিনিয়রিটির জন্য রাহুলকে খেলানোর যে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে তা নিয়েও আপত্তি রয়েছে অনেকের। তাঁদের দাবী অভিজ্ঞতা নয়, বিচার্য হওয়া উচিৎ ফর্ম। আর ফর্মের নিরিখে এগিয়ে থাকার কারণেই এই মুহূর্তে ভারতের মিডল অর্ডারে জায়গা প্রাপ্য সফরাজের।