IND vs BAN: অ্যাডিলেডে শেষ হাসি হাসলো টিম ইন্ডিয়া। গ্রুপ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এ দিন বাংলাদেশকে ৫ রানে হারিয়ে দিল রোহিত শর্মার দল। ভারতের দেওয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো করে বাংলাদেশ। ৭ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৬ রান তোলেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। লিটন ২৬ বলে ৫৯ ও শান্ত ১৬ বলে ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। সপ্তম ওভার শেষেই নামে বৃষ্টি। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে তখন বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল ১৭ রানে। তারপরই সব চিত্রটা যেন পাল্টে যায়।
বৃষ্টির পর ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ
বৃষ্টির পর যখন খেলা শুরু হয় তখন বাংলাদেশের সামনে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১৫১। এর পরই বদলে যায় ম্যাচের ছবি। শান্তর সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝিতে রান আউট হন ২৭ বলে ৬০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলা লিটন। তার বিদায়ের পর ধস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে। শান্ত ফেরেন ২৫ বলে ২১ রান করে। সুবিধা করতে পারেননি সাকিব (১৩), আফিফ (৩), ইয়াসির আলী রাব্বি (১), মোসাদ্দেক হোসেনরা (৬)। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান ও তাসকিন আহমেদের ব্যাটে ১৬ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৫ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
ম্যাচের পর কী বললেন রোহিত?
শেষ ওভারে ২০ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। সোহানের কল্যাণে ১৪ রান তুললেও ম্যাচটি হেরে যায় ৫ রানে। সোহান ১৪ বলে ২৫ ও তাসকিন ৭ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে বিরাট কোহলির অপরাজিত ৬৪, লোকেশ রাহুলের ৫০ ও সূর্য কুমারের ৩০ রানের ওপর ভর করে ১৮৪ রানের স্কোর পায় ভারত। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে কোহলির হাতে। ম্যাচের পর রোহিত শর্মা বলেন, “একটি দল হিসাবে আমাদের জন্য শান্ত থাকা এবং আমাদের পরিকল্পনাগুলি কার্যকর করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ১০ উইকেট হাতে থাকলে এটা যে কোন দলই জিততে পারতো। কিন্তু বিরতির পর আমরা ভালো করেছি।’
রোহিত আরও যোগ করেন, “আমাদের কখনই কোন সন্দেহ ছিল না এবং এই বিশ্বকাপে বিরাট কোহলি যেভাবে ব্যাটিং করেছে তা অসাধারণ এবং তিনি সত্যিই প্রতি ম্যাচে নিজের সেরাটা দিচ্ছে। কেএল আজ যেভাবে খেলেছে সেটাও পছন্দ হয়েছে। আমরা জানি সে কেমন ধরণের খেলোয়াড়। যদি সে এইভাবে ব্যাট করে, সে দলকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।”