IND vs BAN: হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ রীতিমত দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে গেলেন বাংলাদেশের বোলাররা (IND vs BAN)। শুরুটা অবশ্য হয়েছিলো সাফল্য দিয়েই। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে তানজিম হাসান সাকিব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিষেক শর্মা’কে (Abhishek Sharma)। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ২৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারিয়েছিলো ভারত। এরপর বাকিটা টাইগারদের জন্য শুধুই ব্যর্থতায় ভরা। তাস্কিন, মুস্তাফিজুর, রিশাদদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করলেন সূর্যকুমার যাদব ও সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson)। প্রথম দুটি টি-২০তে রান পান নি দুজনেই। আজ জ্বলে উঠতে দেখা গেলো ভারতের দুই মহাতারকাকে। বাইশ গজে ঝড় তুলে ভারতকে বিশাল রানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান দু’জনে।
Read More: “ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি…” বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২৯৭ রান বানালো টিম ইন্ডিয়া, সমাজ মাধ্যমে শুরু হয়েছে চর্চা !!
তানজিম সাকিব’কে টানা তিনটি বাউন্ডারি হাঁকানোর পর একটি ছক্কা মারেন সূর্য (Suryakumar Yadav)। রিশাদ হোসেনের উপর চড়াও হন সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson)। রিঙ্কু সিং-এর স্মৃতি ফিরিয়ে মারেন টানা পাঁচ ছক্কা। আন্তর্জাতিক টি-২০ কেরিয়ারের প্রথম শতরান’ও এলো তাঁর ব্যাট থেকে। ১১১ করে শেষমেশ আউট হন তিনি। সূর্যকুমার ফেরেন ৩৫ বলে ৭৫ রান করে। ভারতীয় ইনিংসের মাঝামাঝি পর্যায়ে পরপর দুই ‘সেট’ ব্যাটারকে আউট করে খানিক অক্সিজেন পেয়েছিলো বাংলাদেশ। আরও কিছু উইকেট তুলে নিতে পারলে ম্যাচে ফেরার একটা ক্ষীণ আশার আলোও দেখতে পেতেন মাহমুদুল্লাহ (Mahmudullah Riyad), তাস্কিন আহমেদ’রা। কিন্তু সেই পথ’ও দ্রুত বন্ধ করে দেন রিয়ান পরাগ ও হার্দিক পান্ডিয়া। সঞ্জু-সূর্যের তৈরি করা রানের ইমারতে ‘ফিনিশিং টাচ’ দিলেন দু’জনে।
আজকের ম্যাচে ২০ ওভারে ২৯৭ রান হজম করেছে বাংলাদেশ। তাদের বোলারদের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে ঠিকই, কিন্তু দলের ভরাডুবি’র দায় এড়াতে পারেন না ফিল্ডাররাও। টাইগারবাহিনীর চলতি ভারতসফরে বারবারই ফিল্ডিং-এ ঢিলেমি সমস্যায় ফেলেছে তাদের। ব্যতিক্রম দেখা গেলো না আজও। তখন ব্যাটিং করছেন হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya) ও রিয়ান পরাগ (Riyan Parag)। ১৮তম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের বল হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটের ভেতরের দিকে লেগে ধাক্কা খায় প্যাডে। তা গড়িয়ে গিয়েছিলো উইকেটরক্ষক লিটন দাসের দস্তানায়। গোটা বিষয়টি খেয়াল করার আগেই রানের জন্য দৌড়ান নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে থাকা রিয়ান। প্রায় হার্দিকের প্রান্তে চলেই এসেছিলেন তিনি। একটা সঠিক থ্রোয়ে যদি উইকেট ভাঙতে পারলেন লিটন, তাহলে তখনি আউট হতেন রিয়ান। কিন্তু পারেন নি তিনি। ছিটকে যাওয়া বল কুড়িয়ে উইকেট ভাঙার সুযোগ ছিলো শান্ত’র কাছেও। পারেন নি বাংলাদেশ অধিনায়ক’ও।