IND vs BAN: গতকাল দিনের শেষে ভারতের স্কোর ছিলো ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৩৩৯। আজ স্কোরবোর্ডে ৩৭ রানের বেশী যোগ করতে পারে নি তারা। সাংবাদিক সম্মেলনে হাসান মাহমুদ (Hasan Mahmud) জানিয়েছিলেন ৪০০ রানের নীচে টিম ইন্ডিয়াকে রুখে দিতে চান তাঁরা। টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ঘন্টায় লক্ষ্যপূরণে সক্ষম হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এরপর থেকে ক্রমেই পিছিয়ে পড়তে থাকে টাইগাররা। রাওয়ালপিন্ডির মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় ইনিংস খেলেছিলো বাংলাদেশ। রান পেয়েছিলেন সাদমান ইসলাম, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (Litton Das), মেহদী হাসান মিরাজরা। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে সেই ফর্মের ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেন নি তাঁরা। চেপকের পিচে শুরু থেকেই নড়বড়ে দেখিয়েছে তাঁদের। আড়াই সেশনের মধ্যেই মাত্র ১৪৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। বুমরাহ-সিরাজ-আকাশ দীপের পেস ত্রয়ী তুলে নিয়েছেন মোট ৮ উইকেট। বাকি ২টি সাফল্য রবীন্দ্র জাদেজার।
Read More: IND vs BAN 1ST TEST 2024: “বাকরুদ্ধকর পারফর্মেন্স…” বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়ার দুর্দান্ত বোলিং প্রদর্শনের পর সমাজ মাধ্যমে শুরু হয়েছে চর্চা !!
লাঞ্চের আগেই বিপর্যস্ত বাংলাদেশ-
লড়াইতে টিকে থাকতে গেলে বড় ওপেনিং জুটির প্রয়োজন ছিলো বাংলাদেশের। কিন্তু সেই সুযোগ দেন নি জসপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah)। তাঁর ডেলিভারির লাইন বুঝতে না পেরে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন সাদমান ইসলাম (Sadman Islam)। আউটস্যুইং আন্দাজ করে লিভ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বল অফ স্টাম্পের ঠিক বেল ছুঁয়ে যায়। ২ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা। এরপর খানিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টায় ছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (Najmul Hossain Shanto)। কিন্তু অপর প্রান্তে ভরসা যোগাতে ব্যর্থ হন তাঁর সঙ্গীরা। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির ঠিক আগের ওভারে বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন আকাশ দীপ (Akash Deep)। বঙ্গ পেসারের পরপর দুটি বল যথাক্রমে মিডল ও অফ স্টাম্প উপড়ে দেয় জাকির হাসান (৪) ও মোমিনুল হকের (০)। প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়িয়েছিলো ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২৬ রান।
লিটন-শাকিবের জুটিও ভরসা দিতে ব্যর্থ-
দিনের দ্বিতীয় সেশনেও বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারে নি বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ২০ রানের মাথায় সিরাজের (Mohammed Siraj) বলে কোহলির (Virat Kohli) হাতে ক্যাচ তুলে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়ককে হারিয়ে আরও চাপে পড়ে গিয়েছিলো টাইগারবাহিনী। বুমরাহ’র (Jasprit Bumrah) দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম’ও। করেন ৪ রান। ধুঁকতে থাকা ব্যাটিং-এর ভার কাঁধে তুলে নেন শাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan) ও লিটন দাস (Litton Das)। ক্রিজ আঁকড়ে দলকে নিরাপদ অবস্থানে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। গড়েন ৫১ রানের জুটিও। কিন্তু রবীন্দ্র জাদেজাকে (Ravindra Jadeja) স্যুইপ ও রিভার্স স্যুইপ মারতে গিয়ে পরপর উইকেট হারিয়ে আসেন তাঁরা। লিটন ৪২ বলে ২২ ও শাকিব ৬৪ বলে করেন ৩২। যথাক্রমে ৯১ ও ৯২ রানের মাথায় ষষ্ঠ ও সপ্তম উইকেট হারায় তারা।
১৫০ রান’ও তুলতে পারলো না বাংলাদেশ-
বাংলাদেশের তরী যে ডুবছে তা বোঝা গিয়েছিলো শাকিব (Shakib Al Hasan) ফেরার পরেই। একমাত্র আশার আলো ছিলেন মেহদী হাসান মিরাজ (Mehidy Hasan Miraz)। ভারতের বিরুদ্ধে তাঁর পারফর্ম্যান্স বেশ ভালো। আজও শেষের দিকে প্রায় একা কুম্ভ হয়েই লড়ে গেলেন তিনি। যদিও অবিশ্বাস্য কিছু করে দেখানো সম্ভব ছিলো না তাঁর পক্ষে। ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন বাংলাদেশী অলরাউন্ডার। অপর প্রান্তে অবশ্য নিয়মিত চলছিলো ব্যাটারদের আসা-যাওয়া। বুমরাহ’র (Jasprit Bumrah) জোড়া শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন হাসান মাহমুদ (৯) ও তাস্কিন আহমেদ (১১)। আজ ১১ ওভারে ৫০ রান খরচ করে ৪ উইকেট তুলে নিলেন ভারতের এক নম্বর পেস অস্ত্র। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে ৪০০ উইকেটেরও মালিক হলেন তিনি। শেষমেশ সিরাজের বলে নাহিদ রাণা বোল্ড হতেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। আপাতত ২২৭ রানে এগিয়ে টিম ইন্ডিয়া।