TOP 3: আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর মাঠে ফিরছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ (IND vs BAN)। চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে রয়েছে টেস্ট ম্যাচ। মুখ্য নির্বাচক অজিত আগরকার জানিয়েছিলেন যে দলীপ ট্রফির প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ শেষ হওয়ার পর দল বেছে নেওয়া হবে ভারত বনাম বাংলাদেশ (IND vs BAN) টেস্ট সিরিজের জন্য। কথা রাখলেন তিনি। গতকালই শেষ হয়েছে দলীপ ট্রফির ভারত-এ বনাম ভারত-বি ম্যাচটি, আর গতকাল রাতেই স্কোয়াড ঘোষণা করে দিয়েছে বিসিসিআই। চেন্নাইয়ের পর কানপুরে আরও একটি টেস্ট হওয়ার কথা রয়েছে দুই দলের মধ্যে। কিন্তু আপাতত প্রথম টেস্টটির জন্যই ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে। কোহলি-রোহিত’রা রয়েছেন। পাশাপাশি দলে এমন তিন নাম’ও রয়েছেন, যাঁদের হয়ত প্রাপ্য ছিলো না সুযোগ।
Read More: হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ব্যার্থ দিল্লি সুপারস্টারজ, বাদোনি’দের হারিয়ে ট্রফি সুনিশ্চিত করলো ইস্ট দিল্লি রাইডার্স !!
শুভমান গিল-
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে (IND vs BAN) প্রথম টেস্ট ম্যাচটির জন্য যে দল ঘোষিত হয়েছে সেখানে সুযোগ পেয়েছেন শুভমান গিল (Shubman Gill)। সাম্প্রতিক ফর্মের নিরিখে এই সুযোগ প্রাপ্য নয় তাঁর। জুলাই-অগস্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের দুটি সিরিজ খেলেছেন পাঞ্জাবের তরুণ। তাঁর ব্যাট থেকে আসে নি একটিও বড় রানের ইনিংস। দুটি টি-২০ ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন যথাক্রমে ৩৪ ও ৩৯। অন্যদিকে তিনটি একদিনের ম্যাচ থেকে তাঁর সংগ্রহ মাত্র ১৬, ৩৫ ও ৬।
ভারতীয় বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছিলো যে দলীপ ট্রফি’র (Duleep Trophy) পারফর্ম্যান্স টেস্ট দলে জায়গা করে নেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে। সেই পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হতে পারেন নি শুভমান। ভারত-এ দলের অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। দুই ইনিংসে করেন যথাক্রমে ২৫ ও ২১। তাঁর দল নাস্তানাবুদ হয়ে হেরেছে ভারত-বি’র বিরুদ্ধে। ফলে শুভমানের জায়গা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে।
সরফরাজ খান-
গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়েছিলো সরফরাজ খানের (Sarfaraz Khan)। ইংল্যান্ডের (IND vs ENG) বিরুদ্ধে তিনটি অর্ধশতক’ও করেন তিনি। কিন্তু তারপর থেকে টানা অফ ফর্মে রয়েছেন মুম্বইয়ের ক্রিকেটার। ঘরোয়া ক্রিকেটে যে ক’টি ম্যাচে নেমেছেন, প্রায় সবক’টিতেই জুটেছে ব্যর্থতা। দিনকয়েক আগে বুচি বাবু টুর্নামেন্টে (Buchi Babu Tournament) মুম্বইয়ের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। রান পান নি নিজে, সাফল্য পায় নি মুম্বই ক্রিকেট দল’ও।
দলীপ ট্রফিতে সরফরাজ (Safaraz Khan) খেলেছেন ভারত-বি’র হয়ে। বেঙ্গালুরুর মাঠে তাঁর দল জয় পেলেও প্রশ্নচিহ্ন রয়ে গিয়েছে সরফরাজের পারফর্ম্যান্স নিয়ে। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৯ রান করে আউট হন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা ভালো হলেও অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন ৪৬ রানের মাথায়। সরফরাজের তুলনায় সাম্প্রতিক ম্যাচগুলিতে অনেক পরিণত দেখিয়েছে তাঁর ভাই মুশির খান’কে (Musheer Khan)। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে (IND vs BAN) তাঁকেই জায়গা করে দিতে পারতেন নির্বাচকেরা।
যশ দয়াল-
তালিকায় তৃতীয় নামটি হতে পারে যশ দয়ালের (Yash Dayal)। উত্তরপ্রদেশের বাম হাতি পেসার লাইমলাইটে জায়গা করে নিয়েছিলেন রিঙ্কু সিং-এর ব্যাটে টানা পাঁচ ছক্কা হজম করে। সেই ধাক্কা সামলে তরুণ তুর্কি ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ঠিকই, ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকতাও দেখিয়েছেন। কিন্তু জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার মত আহামরি পারফর্ম্যান্স দেখা যায় নি তাঁর থেকে। এমনকি দলীপ ট্রফিতেও (Duleep Trophy) ভারত-এ বনাম ভারত-বি ম্যাচে উল্লেখযোগ্য কোনো স্পেল দেখা যায় নি তাঁর থেকে।
সেই কারণেই বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে তাঁর নাম দেখে খানিক বিভ্রান্ত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। মুকেশ কুমার (Mukesh Kumar), আবেশ খানের (Avesh Khan) মত একঝাঁক তারকা রয়েছেন যাঁরা লাল বল হাতে ঘরোয়া ক্রিকেটের আঙিনায় অনেক বেশী সফল সাম্প্রতিক কালে। এমনকি বাম হাতি পেসারদের মধ্যেও পরিসংখ্যানের বিচারে এগিয়ে খলিল আহমেদ (Khaleel Ahmed), আর্শদীপ সিং-রা (Arshdeep Singh)। তাঁদের সুযোগ না দিয়ে কেন যশ’কে বেছে নেওয়া হলো সেই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছেন তাঁরা।