IND vs AUS: আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া (IND vs AUS) বক্সিং ডে টেস্ট। ঐতিহাসিক মেলবোর্ন স্টেডিয়ামে সম্মুখসমরে নামতে চলেছে দুই দল। তিন ম্যাচের পর ফলাফল ১-১। পার্থে জয় ছিনিয়ে নিয়ে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিলো টিম ইন্ডিয়াই (Team India)। কিন্তু অগ্রগমন ধরে রাখতে পারে নি তারা। অ্যাডিলেডে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সমতা ফেরায় ব্যাগি গ্রিন বাহিনী। ব্রিসবেনে তৃতীয় টেস্ট ম্যাচটিতেও দাপট ছিলো প্যাট কামিন্সের দলেরই। কিন্তু বৃষ্টি সহায় হওয়ায় ড্র রাখতে সক্ষম রয়েছে ‘মেন ইন ব্লু।’ এক দশক বক্সিং ডে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার হারে নি ভারতীয় দল, যা মেলবোর্নের মহাযুদ্ধের আগে আশার আলো দেখাচ্ছে রোহিতদের (Rohit Sharma)। এই ম্যাচে জিতলে টানা পাঁচ বার বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি ধরে রাখার বিরল নজিরও গড়বে টিম ইন্ডিয়া।
Read More: IND vs AUS: হেড-হ্যাজেলউড বাদ, চতুর্থ ম্যাচের আগে ভারতের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া দলে জোড়া পরিবর্তন !!
সরে দাঁড়াতে পারেন বিরাট কোহলি-
আতসকাঁচের নীচে মহাতারকা বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। চলতি মরসুমে টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর পরিসংখ্যান একেবারেই কোহলিসুলভ নয়। ৯ ম্যাচ খেলে ২৫.০৬ গড়ে ঝুলিতে মাত্র ৩৭৬ রান। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এর আগে বরাবরই ভালো খেলেছেন তিনি। কিন্তু পছন্দের পরিবেশেও এবার ম্রিয়মানই দেখাচ্ছে তাঁকে। পার্থ-এর দ্বিতীয় ইনিংসে একটি শতরান করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু বাকি ইনিংসগুলির ব্যর্থতা অনেকটাই মুছে দিয়েছে সেই সাফল্যের ঔজ্জ্বল্য। অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলার দুর্বলতা আরও একবার বিরাট কোহলির (Virat Kohli) জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে (IND vs AUS)। পঞ্চম, ষষ্ঠ বা সপ্তম স্টাম্পের লাইনে পিচ করা বলে ব্যাট ঠেকানোর প্রলোভন কিছুতেই এড়াতে পারছেন না তিনি। ফলে খোঁচা দিয়ে আসছেন উইকেটরক্ষক বা স্লিপের ফিল্ডারদের হাতে।
পার্থ-এ প্রথম ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিলো ৩ রান। অ্যাডিলেডে দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে ৭ ও ১১। ব্রিসবেনেও ফের উইকেট ছুঁড়ে এসেছেন ৩ রান করেই। লাগাতার ব্যর্থতার বোঝা আর কতদিন টেনে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন কোহলি? উড়ে আসছে প্রশ্ন। বর্তমানে মহাতারকার বয়স ৩৬। কামব্যাকের সময় তাঁর হাতে আদৌ রয়েছে কিনা সে বিষয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। তাঁদের মতে মেলবোর্ন টেস্টই সফরই অন্তিম পরীক্ষা হতে পারে কোহলির (Virat Kohli)। যদি সফল হন তাহলে হয়ত কিছুটা অক্সিজেন পাবে তাঁর টেস্ট কেরিয়ার, না হলে সরে দাঁড়াতেই হবে। গাব্বা টেস্টের পর সরে দাঁড়িয়েছেন রবিচন্দ্রণ অশ্বিন। তাঁর অবসরের খবরে আবেগবিহ্বল হয়ে পড়তে দেখা গিয়েছিলো বিরাটকে (Virat Kohli)। লাল বলের ফর্ম্যাটে তাঁর নিজের কেরিয়ারও যে ফুরিয়ে আসছে দেওয়াল লিখন হয়ত পড়তে পারছেন ‘কিং’ কোহলি।
কোহলির ব্যর্থতার ময়নাতদন্তে হেডেন-গাওস্কর-
কেন বারবার একই ভাবে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসছেন কোহলির মত উঁচু মানের ক্রিকেটার? ক্রিকেটমহলের অন্দরে এখন ঘুরপাক খাচ্ছে এই একটাই প্রশ্ন। উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন অজি প্রাক্তনী ম্যাথু হেডেন। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় তিনি জানান, “আমার মতে বিরাট কোহলির টেকনিকে কোনো সমস্যা নেই। বরং ওর সমস্যাটা মানসিক। ওর অফস্টাম্প কোথায় সেটাই ও মনে রাখতে পারছে না”। অনুজকে পরামর্শ দিয়েছেন সুনীল গাওস্কর’ও। তিনি ‘আইডল’ শচীনের থেকে শিক্ষা নিতে বলেছেন বিরাটকে। ২০০৩-এর অস্ট্রেলিয়া সফরে বেশ কয়েকবার কভার ড্রাইভ মারতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন শচীন। এরপর সিডনিতে নিজের ব্যাটিং থেকে কভার ড্রাইভকে সম্পূর্ণ ছেঁটে ফেলেন তিনি। করেন ২৪১* রান। শচীনের মতই নিজেকে মানসিক ভাবে কঠিন করে তুলুন কোহলি, চান ‘লিটল মাস্টার।’