IND vs AUS: নভেম্বরের বাইশ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে মহারণ। বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির মঞ্চে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামছে টিম ইন্ডিয়া। এতদিন ভারত-অস্ট্রেলিয়া (IND vs AUS) সিরিজে থাকত চারটি টেস্ট ম্যাচ। এবার অ্যাসেজের মতই পাঁচ টেস্টে মুখোমুখি হবে ক্রিকেটদুনিয়ার দুই হেভিওয়েট। ‘ব্যাগি গ্রিন’দের ডেরায় ২০১৮-১৯ ও ২০২০-২১ মরসুমে তাদের হারিয়ে সিরিজ জিতেছে ‘মেন ইন ব্লু।’ হ্যাট্রিকের লক্ষ্য নিয়ে ক্যাঙারুর দেশে উড়ে যাবেন রোহিত-কোহলিরা। পক্ষান্তরে ছন্দে থাকা অজিরা রুখে দিতে চাইবে ভারতের বিজয়রথ। পারথ্-এর অপটাস স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে সিরিজ। দ্বিতীয় টেস্টটি অ্যাডিলেডে। ব্রিসবেনে রাখা হয়েছে তৃতীয় ম্যাচ। শেষ দুটি ম্যাচ থাকছে মেলবোর্ন ও সিডনি’তে। এই মেগা সিরিজ নিয়ে ইতিমধ্যেই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। কেমন হতে পারে ভারতীয় স্কোয়াড, সে সম্পর্কে ক্ষীণ আভাস মিললো অধিনায়ক রোহিতের (Rohit Sharma) মন্তব্যে।
Read More: IND vs NZ 1st Test Preview: বেঙ্গালুরুতে আগুনে ফর্ম ধরে রাখতে মরিয়া ভারত, নতুন নেতার অধীনে সাফল্যের সন্ধানে কিউইরা।
মহম্মদ শামি’কে নিয়ে রয়েছে সংশয়-
গত বছরের ওডিআই বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার তুরুপের তাস হয়ে উঠেছিলেন মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। তারকা পেসারকে টিম কম্বিনেশনের জন্য প্রথম চার ম্যাচে মাঠেই নামাতে পারে নি ভারত। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হার্দিক পান্ডিয়া চোট পাওয়ায় শিকে ছেঁড়ে তাঁর ভাগ্যে। সাদা বল হাতে বাইশ গজে এরপর ঝড় তোলেন শামি। প্রথম সুযোগেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তুলে নেন ৫ উইকেট। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয় নি তাঁকে। শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ডের মত দলের বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠেন। সেমিফাইনালে ফের একবার কিউইদের মুখোমুখি হয় ভারতীয় দল (Team India)। ৭ উইকেট তুলে নিয়ে রেকর্ড করেন শামি। ফাইনালে ভারত হারলেও ১টি উইকেট পান তিনি। মাত্র ৭ ম্যাচে ২৪ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়েছিলেন বাংলার ক্রিকেটার।
গোড়ালির চোটে কাবু শামি ইঞ্জেকশন নিয়ে বিশ্বকাপ (ICC World Cup) খেলেছিলেন। কিন্তু টুর্নামেন্ট মিটতেই মাঠ থেকে ছিটকে যেতে হয় তাঁকে। এরপর কেটে গিয়েছে প্রায় এক বছর। এখনও মাঠে ফিরতে পারেন নি তিনি। লন্ডনে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। দীর্ঘ সময় ধরে চলছে রিহ্যাব। বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (NCA) তত্ত্বাবধানে মাসখানেক আগে থেকে বোলিং অনুশীলন শুরু করেছেন ঠিকই, কিন্তু এখনও ম্যাচ খেলার মত অবস্থায় পৌঁছান নি তিনি। জুলাইয়ের শ্রীলঙ্কা সফরের আগে মুখ্য নির্বাচক অজিত আগরকার (Ajit Agarkar) জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ফিরতে পারেন তিনি। কিন্তু মাঠে ফেরা হয় নি তাঁর। আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে নিউজিল্যান্ড সিরিজ। সেখানেও নেই শামি (Mohammed Shami)। নভেম্বরের শেষে শুরু হতে চলা ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও (IND vs AUS) আদৌ তাঁকে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
শামি’র চোট ও প্রত্যাবর্তন নিয়ে মুখ খুললেন রোহিত-
মহম্মদ শামি’র (Mohammed Shami) প্রত্যাবর্তনের ডেডলাইন ক্রমেই পিছিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারেন নি। আশা ছিলো কিউইদের বিপক্ষে বুঝি ফিরবেন বোলিং লাইন আপে। কিন্তু তিন টেস্টের স্কোয়াডেও তাঁকে রাখা যায় নি। এমনকি বাংলার রঞ্জি স্কোয়াডেও আপাতত নেই তিনি। কবে সম্পূর্ণ সুস্থ হবেন তিনি তা নিয়ে নিশ্চিত নন খোদ অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। তিনি জানান, “সত্যি বলতে, অস্ট্রেলিয়া সিরিজে (মহম্মদ) শামি’কে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া মুশকিল। ও একটা ধাক্কা খেয়েছে। হাঁটু ফুলে উঠেছে। শামি সম্পূর্ণ প্রস্তুত না থাকলে আমরা ওকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া যেতে চাই না। আমরা আশাবাদী থাকার চেষ্টা করছি।” বঙ্গপেসারের প্রত্যাবর্তনের পথটা যে এখনও কন্টকময় তা বলাই যায়।
অস্ট্রেলিয়ার গতিশীল ও বাউন্স সমৃদ্ধ পিচে প্রথম একাদশে চার জন পেসারকে খেলানোর পরিকল্পনা নিতে পারে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। স্কোয়াডে অন্তত পাঁচ জন ফাস্ট বোলারকে রাখা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক পারফর্ম্যান্সের নিরিখে জায়গা পাকা জসপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah), মহম্মদ সিরাজ (Mohammed Siraj) ও আকাশ দীপের (Akash Deep)। শামি যদি একান্তই ফিট না হয়ে উঠতে পারেন তাহলে অস্ট্রেলিয়াগামী বিমানে জায়গা করে নিতে পারেন মায়াঙ্ক যাদব, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, মুকেশ কুমার বা যশ দয়ালের মধ্যে দু’জন। রঞ্জিতে বাংলার হয়ে মরসুমের প্রথম ম্যাচে ভালো পারফর্ম করেছেন মুকেশ। ১৬ তারিখ থেকে শুরু হতে চলা ভারত-নিউজিল্যান্ড সিরিজে (IND vs NZ) মায়াঙ্ক যাদব ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণাকে ট্র্যাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে রাখা হয়েছে। তাঁদেরও দেখে নিতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট।