IND vs AUS: মেলবোর্নে চতুর্থ টেস্ট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পরাজয়ের দোরগোড়ায় টিম ইন্ডিয়া (IND vs AUS)। আজ সকালে ভারতের জন্য ৩৪০ রানের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে অজি শিবির। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে ‘মেন ইন ব্লু।’ অধিনায়ক রোহিতের ব্যর্থতা অব্যাহত রইলো এমসিজিতেও। তিনে নামা রাহুল উইকেট হারান খাতা খোলার আগেই। বড় মঞ্চে আরও একবার ব্যর্থ বিরাট কোহলি। স্লিপে দাঁড়ানো উসমান খোয়াজার হাতে ধরা পড়েন ২৯ বলে ৫ রান করে। ৩৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বসা ভারতের হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন ঋষভ পন্থ ও যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)। তৃতীয় সেশনেই শুরুতেই আউট হন ঋষভ’ও। পরপর ফেরেন জাদেজা ও নীতিশ। জয়ের গন্ধ পেয়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একা কুম্ভ হয়ে লড়ছিলেন যশস্বী। আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে থামতে হলো তাঁকেও।
Read More: WTC Final 2025: ভারতের জন্য জটিল হলো সমীকরণ, লর্ডসের টিকিট নিশ্চিত দক্ষিণ আফ্রিকার !!
যশস্বীর আউট নিয়ে চলছে বিতর্ক-
প্রথম ইনিংসে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) সাথে ভুল বোঝাবুঝির মাশুল গুণতে হয়েছিলো যশস্বী জয়সওয়ালকে (Yashasvi Jaiswal)। ৮২ রানের মাথায় হয়েছিলেন রান-আউট। মেলবোর্ন টেস্টের (IND vs AUS) দ্বিতীয় ইনিংসেও শতকের খুব কাছে পৌঁছে তাঁকে ফিরতে হলো খালি হাতেই। ব্যক্তিগত ৮৪ রানের মাথায় প্যাট কামিন্সের বলে ধরা পড়লেন উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারির (Alex Carey) দস্তানায়। লেগ স্টাম্পের লাইনে একটি বাউন্সার করেছিলেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক। তাঁকে হুক মারতে গিয়ে আউট হন যশস্বী। মাঠে থাকা আম্পায়ার জোয়েল উইলসন নট-আউটের সিদ্ধান্ত জানানোয় রিভিউ নেয় অস্ট্রেলিয়া। ভিডিও রিপ্লে খতিয়ে দেখে তাঁকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের পরামর্শ দেন তৃতীয় আম্পায়ার সরাফৌদৌলা ইবনে সৈকত। বাংলাদেশী তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জলঘোলা।
খালি চোখে দেখে মনে হয়েছে যে যশস্বী (Yashasvi Jaiswal) গ্লাভস ছুঁয়ে গিয়েছে বল। নিশ্চিত হওয়ার জন্য স্নিকো মিটারের সাহায্য নেন সৈকত। কিন্তু সেখানে ধরা পড়ে নি কিছুই। তার পর’ও প্রযুক্তি নয়, বরং চোখের উপরেই ভরসা রাখেন তৃতীয় আম্পায়ার। জোয়েল উইলসন’কে (Joel Wilson) সিদ্ধান্ত বদলের পরামর্শ দেন। সপ্তম উইকেট হারিয়ে ভারতীয় ডাগ-আউটে নামে অন্ধকার। আর জয়ের আশায় উৎসব শুরু হয় অস্ট্রেলীয় শিবিরে। এই আউটের বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ভারতীয় ও অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটমহল। সুনীল গাওস্কর (Sunil Gavaskar) হিন্দি ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন স্টার স্পোর্টসের হয়ে। রীতিমত ক্রুদ্ধ শুনিয়েছে তাঁকে। বলের গতিপথে যে হাল্কা ‘ডিফ্লেকশন’ চোখে পড়েছে তাকে ‘দৃষ্টি বিভ্রম’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি। নট-আউট ছিলেন যশস্বী, স্পষ্ট মতামত তাঁর।
আউটের সিদ্ধান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতি-
“আপনারা প্রযুক্তির ব্যবহার তাহলে করছেন কেন? স্নিকো দেখানোর জন্যই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। দেখাই যাচ্ছে যে লাইন সম্পূর্ণ সোজা রয়েছে। প্রযুক্তি যখন ব্যবহার করা হচ্ছে, তখন তার উপরেই ভরসা রাখুন। এটা দৃষ্টি বিভ্রম ছাড়া কিছুই নয়। ব্যাটার সোজা দাঁড়িয়েছিলো। আমার মতে এটা নট-আউট। যদি চোখের উপরেই ভরসা করতে হয়, তাহলে প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনই নেই। সোজা কথা,” বলেন গাওস্কর। সহমত শুনিয়েছে আরেক হিন্দি ধারাভাষ্যকার দীপ দাশগুপ্তকেও। আবার উলটো কথা বলেছেন রিকি পন্টিং (Ricky Ponting)। সেভেন ক্রিকেটের জন্য ইংরেজিতে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক। তিনি জানিয়েছেন, “আম্পায়ার ডিফ্লেকশনটি দেখেছেন। গ্লাভসে বল রাখার মুহূর্তটি লক্ষ করেছেন। আমার মতে এখানে দ্বিধার কোনো জায়গাই নেই।” প্রথম টেস্টে রাহুলের আউট নিয়ে বিতর্ক চলেছিলো, চতুর্থ ম্যাচেও বজায় রইলো তা।