IND vs AUS: ভারত ও অস্ট্রেলিয়া-টেস্টের (IND vs AUS) ময়দানে দুই হেভিওয়েটের দ্বৈরথের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছে ক্রিকেটদুনিয়া। ২০১৮-১৯ ও ২০২০-২১ মরসুমে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অজিদের ধরাশায়ী করে সিরিজ জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। দাপট ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে ‘ব্যাগি গ্রিন’-এর ডেয়ার উড়ে যাবেন কোহলি-রোহিতরা। অন্যদিকে ঘরের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে ‘বদলা’র আগুন বুকে নিয়ে মাঠে নামবে প্যাট কামিন্সের (Pat Cummins) দল। সব মিলিয়ে এবারের ‘অস্ট্রেলিয়ান সামার’ যে জমজমাট হতে চলেছে তা নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই কারও মনেই। এতদিন বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে থাকত ৪টি করে টেস্ট। এবার অ্যাসেজের মতই ভারত-অস্ট্রেলিয়া (IND vs AUS) যুদ্ধ’ও হবে পাঁচ টেস্টের। যা বাড়তি উত্তেজনা সৃষ্টি করছে ক্রিকেট অনুরাগীদের মধ্যে। ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে পারথ্, অ্যাডিলেড, ব্রিসবেন। মেলবোর্ন ও সিডনি’কে।
Read More: দুঃস্বপ্ন যেন কাটছে না টিম ইন্ডিয়ার, বিশ্বকাপে আবারও ভরাডুবি হারমান-স্মৃতিদের !!
ক্যামেরন গ্রিন’কে পাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া-
ঘরের মাঠে ভারতের মোকাবিলা করতে নামার আগেই বড়সড় ধাক্কার সম্মুখীন অস্ট্রেলিয়া। চোটের কারণে তাঁরা গোটা সিরিজেই পাচ্ছে না তারকা অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন’কে (Cameron Green)। ব্যাট হাতে মিডল অর্ডারে অন্যতম ভরসার মুখ গ্রিন। নিয়মিত ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বা তাঁর বেশী গতিতেও বোলিং করতে সক্ষম তিনি। টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর পরিসংখ্যানও চমৎকার। আহমেদাবাদে শতরান করেছিলেন গত বছর। তাঁর ছিটকে যাওয়া চিন্তায় ফেলেছে অধিনায়ক প্যাট কামিন্স (Pat Cummins) ও কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডসকে। চেস্টার লে-স্ট্রিটে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় ওডিআই খেলার সময় পিঠে চোট পান গ্রিন। বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির (Border-Gavaskar Trophy) আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাঁকে বাকি দুটি একদিনের ম্যাচে মাঠে নামানো হয় নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও হলো না শেষরক্ষা।
গ্রিন (Cameron Green) চোট পাওয়ার পর তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। পরীক্ষানিরীক্ষার পর ২৫ বর্ষীয় অলরাউন্ডারের শিঁড়দাঁড়ায় একটি স্ট্রেস ফ্র্যাকচার দেখা গিয়েছে। পিঠের স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের জন্য ভারতীয় তারকা পেসার জসপ্রীত বুমরাহ’কে এক বছরেরও বেশী সময় মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিলো। অজি বোর্ড সূত্রে খবর দীর্ঘ সময়ের জন্য ছিটকে যাচ্ছেন ক্যামেরন গ্রিন’ও। একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে যে, “পেস বোলারদের জন্য শিঁড়দাঁড়ায় স্ট্রেস ফ্র্যাকচার কোনো নতুন জিনিস নয়। কিন্তু প্বার্শবর্তী অংশে আরও খানিক সমস্যা থাকায় চোটের অভিঘাত অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে যে অস্ত্রোপচার করালে পুনরায় আহত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমানো যাবে।” সম্ভবত ছয় মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে অজি তরুণকে। কেবল ভারত-অস্ট্রেলিয়া (IND vs AUS) সিরিজ নয়, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ও ২০২৫-এর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও খেলতে পারবেন না তিনি।
ভারতের বিরুদ্ধে পুরনো পজিশনে স্টিভ স্মিথ-
ডেভিড ওয়ার্নারের অবসরের পর ওপেনার সমস্যায় জর্জরিত অস্ট্রেলিয়া শিবির। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংসের সূচনা করতে মাঠে নেমেছিলেন স্টিভ স্মিথ (Steve Smith)। কিন্তু ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেন নি তিনি। আট ইনিংসে রান সংখ্যা মাত্র ১৭১। গড় ২৮.৫০। শতরান পান নি একটিও, অর্ধশতকের সংখ্যা ১টি। একটা সময় তাঁর টেস্ট কেরিয়ারে ব্যাটিং গড় ঘোরাফেরা করত ৬০-এর আশেপাশে। সাম্প্রতিক ব্যর্থতার ফলে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬.৯৭-এ। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটমহল সূত্রে খবর যে ভারতের বিরুদ্ধে (IND vs AUS) ব্যাটিং পজিশন নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা থেকে সরে আসতে চলেছেন তিনি। ফিরছেন নিজের পছন্দের চার নম্বরেই। কেরিয়ারে ৬৭ টেস্টে চার নম্বরে ব্যাটিং করেছেন স্মিথ। ৬১.৫০ গড়ে রান সংখ্যা ৫৯৬৬। তাঁর বদলে ওপেন করবেন ট্র্যাভিস হেড।