পাকিস্তান ক্রিকেট থেকে অসংখ্য কিংবদন্তি ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করেছেন। ১৯৯২ সালে পাক বাহিনী প্রথম ওডিআই বিশ্বকাপ জয় করে। এই টুর্নামেন্টে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইমরান খান (Imran Khan)। তার মতো সফল অলরাউন্ডার এখনও নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করে। অন্যদিকে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর নিজের রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন এই তারকা। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তাকে একাধিক মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়। জেলে থাকাকালীন এবার তার মৃত্যুর খবর সামনে এল।
Read More: ‘ভারতকে জোকার বানিয়ে ছেড়েছি..’, দঃ আফ্রিকার কোচের বিতর্কিত মন্তব্যে মুখ পুড়ল গম্ভীরদের !!
একাধিক মামলায় হয় জেল-

২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু ২০২২ সালে অনাস্থা ভোটে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। তিনি পাকিস্তানের প্রথম প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারান। এরপরই তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়। দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন, বিয়ের আইন লঙ্ঘন এবং সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন এই প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার।
২০২৩ সাল থেকে রাওয়ালপিন্ডি আদিয়ালা জেলে বন্দী ছিলেন ইমরান। এই বছরের শুরুতেই আল-কাদি ট্রাস্ট কেস অর্থাৎ ভূমি দুর্নীতি মামলায় তাকে ১৪ বছরের সাজা দেওয়া হয়। তার স্ত্রী বুশরা বিবিরও সাজা হয়েছে। তবে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়কের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (Tehreek-e-Insaf)’এর সমর্থকরা এই অভিযোগগুলি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দীর্ঘদিন থেকে দাবি করে যাচ্ছেন। জেলের মধ্যে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেও অভিযোগ করেছিলেন তারা।
উঠল মৃত্যুর জল্পনা-

জেলবন্দী ইমরান খানের মৃত্যুর খবর সম্প্রতি সামনে উঠে এসেছে। ‘আফগান টাইমস’ নামে আফগানিস্তানের জনপ্রিয় একটি সংবাদমাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে ইতিমধ্যেই এই খবর দাবি করেছে। সূত্র অনুযায়ী গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পরিবার-পরিজনদের তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। পাক সিনার মদতপুষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) সরকার জেলবিধির নিয়ম না মেনে এইরকম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ১৯ নভেম্বর পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তার তিন বোন- আলিমা, উজমা এবং নুরা খান বাধার মুখে পড়েন।
এর প্রতিবাদে তারা ধর্নায় বসলে পুলিশি অত্যাচারের শিকার হন। তারপর তেহরিক-ই-ইনসাফ’এর শীর্ষস্থানীয় নেতারা ইমরান খানের (Imran Khan) সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করলে তারও ব্যর্থ হন। এরপর ইমরান খানের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর ছড়াতে থাকে। স্বাধীনতাপন্থী বালোচ সংগঠনগুলির নির্বাচিত সরকারের পক্ষ থেকে বুধবার বিকেলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে পাক সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনি এবং আইএসআই (ISI) জেলবন্দী ইমরান খানকে খুন করেছে।