IPL: হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সাথে সরাসরি সংঘাতে এবার সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ (SRH) ফ্র্যাঞ্চাইজি। টিকিট বন্টন নিয়ে বনিবনা হচ্ছে না দুই পক্ষের মধ্যে। যে পরিমাণ টিকিট ক্রিকেট সংস্থা’কে দিয়ে এসেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি তা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় তারা। আরও বেশী টিকিটের দাবী করে রীতিমত ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে কাব্য মারান’দের, অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন সানরাইজার্সের জেনারেল ম্যানেজার শ্রীনাথ টিবি। এবার আইপিএল (IPL) চলাকালীন পরিস্থিতি এতটাই চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিলো যে হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন প্যাট কামিন্সদের একটি হোম ম্যাচে উপ্পল গ্যালারির একটা অংশই সম্পূর্ণ বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। যার ফলে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিলো তাদের। এই ঘটনার পরেই সরকারী সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছে সানরাইজার্স (SRH)।
Read More: লর্ডস টেস্ট শুরুর আগেই নক্ষত্রপতন, প্রয়াত কিংবদন্তি পেসার !!
পুলিশের জালে HCA প্রেসিডেন্ট-

অভিযোগপত্রে সানরাইজার্স ফ্র্যাঞ্চাইজির ‘জেনারেল ম্যানেজার’ শ্রীনাথ টিবি লিখেছেন, “গত ১২ বছর ধরে আমরা এই মাঠে খেলছি। কিন্তু গত বছর থেকে এইচসিএ আমাদের নানাভাবে সমস্যায় ফেলছে। প্রত্যেক বছর এফ১২র বক্সের ৫০টি টিকিট আমরা এইচসিএ-কে দিয়ে থাকি। কিন্তু এই বছর ওনারা দাবী করছেন যে ঐ বক্সে ৩০টি টিকিট দিয়ে বাকিগুলি অন্য বক্সে দিতে হবে।” বিষয়টি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চেয়েছিলো সানরাইজার্স (SRH)। কিন্তু সেই পথে হাঁটে নি হায়দ্রাবাদের ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। বরং স্টেডিয়ামের একটা গোটা বক্স বন্ধ করে দেয় তারা। তাদের এহেন পদক্ষেপ নিয়ে চূড়ান্ত বিরক্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি। আইপিএলের (IPL) সময় স্টেডিয়ামের ভাড়া দেয় তারা। সেই সময় সম্পূর্ণ মাঠের দায়িত্ব তাদেরই, দাবী তুলেছে ‘অরেঞ্জ আর্মি।’ অসহযোগিতা বরদাস্ত করা হবে না, স্পষ্ট অবস্থান তাদের।
স্টেডিয়াম সংক্রান্ত সমস্যা ও টিকিট জটিলতা নিয়ে সানরাইজার্সের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। সিডিআইডি’র অনুসন্ধানে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে যে টিকিট বন্টন ও তা বাজারে ছাড়া নিয়ে ব্যাপক কারচুপি করেছে হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। প্রেসিডেন্ট এ জগন মোহন রাও (A Jagan Mohan Rao) ও অন্যান্য কর্তারা নাকি টিকিটের জন্য সানরাইজার্স কর্তাদের রীতিমত হুমকি দিতেন টিকিটের জন্য। এছাড়াও আইপিএল (IPL) চলাকালীন ব্যক্তিগত ভাবে টিকিট বিক্রি এবং টিকিট নিয়ে কালোবাজারির প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে সভাপতি জগনের বিরুদ্ধে। সেই সকল প্রমাণের ভিত্তিতেই শেষমেশ গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে। অতীতে বেটিং-এ জড়িত থাকার জন্য হাজতবাস করতে হয়েছিলো চেন্নাই কর্তা গুরুনাথ মায়াপ্পন’কে। রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কারও জেলযাত্রা এই প্রথম।
আজহারের নাম সরিয়েছে HCA-

২০১৯ সালে এইচসিএ-এর এপেক্স কাউন্সিলের একটি বৈঠকে রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামের নর্থ স্ট্যান্ডটির নাম বদলানোর সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছিলেন তৎকালীন সভাপতি মহম্মদ আজহারউদ্দিন। ভিভিএস লক্ষ্মণ প্যাভিলিয়ন নাম বদলে তাঁর নিজের নামে স্ট্যান্ডটির নামকরণ করেছিলেন তিনি। এই নিয়ে তখন থেকেই শুরু হয়েছিলো বিতর্ক। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি হায়দ্রাবাদ শহরের লর্ডস ক্রিকেট ক্লাব এই নামবদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এইচসিএ সংবিধানের ৩৮ নম্বর ধারা অনুসারে এপেক্স কাউন্সিলের কোনো সদস্য নিজের পক্ষে এহেন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না, অভিযোগপত্রে জানায় তারা। যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন আজহার। কিন্তু কাজ হয় নি তাতে। এপ্রিলে এইচসিএ-র ওম্বুডসমান তাঁর নাম সরানোর পক্ষেই রায় দেয়। কোনো টিকিটে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের নাম ছাপানো যাবে না, জানান তিনি।