Hardik Pandya: ইংল্যান্ড সফরের জন্য ভারতীয় স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। অশ্বিন, রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির অবসরের পর কারা সুযোগ পান লাল বলের ফর্ম্যাটে তা নিয়ে আগ্রহ ছিলো ক্রিকেটমহলে। উত্তর মিলেছে যাবতীয় প্রশ্নের। নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শুভমান গিল’কে (Shubman Gill)। এর আগে সাদা বলের দুই ফর্ম্যাটে সহ-অধিনায়কের পদ পেয়েছিলেন পাঞ্জাবের তরুণ। এবার টেস্টে সরাসরি অধিনায়কের সিংহাসন উপহার দেওয়া হলো তাঁকে। স্কোয়াডে নতুন মুখ হিসেবে রয়েছেন সাই সুদর্শন, আর্শদীপ সিং-রা। এছাড়া দীর্ঘসময় পর ডাক পেয়েছেন করুণ নায়ার ও শার্দুল ঠাকুর’ও। অস্ট্রেলিয়া সফরে ভালো খেলার পুরস্কার পেয়েছেন নীতিশ কুমার রেড্ডি। তিনিও যাচ্ছেন ইংল্যান্ড। পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে হার্দিক (Hardik Pandya) নয়, নীতিশ’ই যে ভাবনায়, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন নির্বাচকেরা।
Read More: “আমি শুধু নিজের কাজ করেছি…” গাওস্কর’কে মোক্ষম জবাব গৌতম গম্ভীরের, ওড়ালেন ‘কৃতিত্ব কাড়ার’ দাবী !!
টেস্ট’কে বিদায় জানাতে পারেন হার্দিক-

২০১৭ সালে টেস্ট অভিষেক হয়েছিলো হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya)। বেশীদিন তাঁকে দেখা যায় নি লাল বলের ক্রিকেটে। ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে শেষ বার গায়ে চাপিয়েছেন সাদা জার্সি। সংক্ষিপ্ত কেরিয়ারে তিনি খেলেছেন ১১টি মাত্র টেস্ট। ৩১.২৯ গড়ে করেছেন ৫৩২ রান। এর মধ্যে রয়েছে একটি শতরান ও চারটি অর্ধশতক। নানা সময় তাঁকে দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে ফিরতে অনুরোধ করেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly), ল্যান্স ক্লুজনারের মত প্রাক্তনীরা। হার্দিকের (Hardik Pandya) ব্যাটিং ও বোলিং দক্ষতা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকার মত দেশে তফাৎ গড়ে দিতে পারে, বলেছেন তাঁরা। কিন্তু গত সাত বছরে একবারও টেস্টে প্রত্যাবর্তনের কোনো ইচ্ছা প্রকাশ করেন নি তারকা অলরাউন্ডার। বরং ফোকাস করেছেন সাদা বলের দুই ফর্ম্যাটেই। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দেশকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।
আদৌ টেস্ট ক্রিকেটে ফিরবেন তিনি? ২০২৩-এর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগে হার্দিককে (Hardik Pandya) প্রশ্ন করেছিলো সংবাদমাধ্যম। হেঁয়ালি জিইয়ে রেখে তিনি তখন উত্তর দিয়েছিলেন, “যদি আমি টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাই, তাহলে আমি পরিশ্রম করেই দলে নিজের জায়গা অর্জন করে নেবো। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল বা তার পরেও অন্য টেস্ট ম্যাচে আমি ততক্ষণ খেলতে চাই না, যতক্ষণ না আমার মনে হয় যে আমি দলে আমার জায়গা অর্জন করে নিয়েছি।” এরপর দুই বছর কেটে গেলেও লাল বলের ক্রিকেটে দেখা যায় নি হার্দিককে (Hardik Pandya)। রঞ্জি ট্রফি, দলীপ ট্রফি বা ইরানী কাপের মত ঘরোয়া টুর্নামেন্টও খেলেন নি তিনি। নিয়েই নিয়েছেন কার্যত অঘোষিত অবসর। রোহিত-কোহলিদের পথে হেঁটে যদি সরে যাওয়ার ঘোষণাও করেন তাহলেও অবাক হবে না বিশেষজ্ঞমহল।
ভারতের নতুন বাজি নীতিশ রেড্ডি-

বিদেশ সফরে একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডারের অভাব গত কয়েক বছরে বারবার ভুগিয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। বেন স্টোকস, ক্যামেরন গ্রিন বা মার্কো ইয়ানসেনের মত কারও অনুপস্থিতি দলের ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিলো। কিন্তু গত বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে নীতিশ কুমার রেড্ডির (Nitish Kumar Reddy) উত্থান স্বস্তি যুগিয়েছে ভারতীয় সমর্থকদের। নিয়মিত ১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বা তার বেশী গতিতে বোলিং করতে পারেন বিশাখাপত্তনমের অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতেও ছয় বা সাত নম্বরে হতে পারেন কার্যকরী বিকল্প। মেলবোর্নের বক্সিং ডে টেস্টে ব্যাট হাতে কার্যত একাই লড়ে গিয়েছিলেন অজি পেসারদের বিরুদ্ধে। করেছিলেন দুরন্ত শতরান। ৫টি টেস্টে প্রায় ৩৮ গড়ে ২৯৮ করেছেন নীতিশ, নিয়েছেন ৫টি উইকেটও। ইংল্যান্ডে তিনি কেমন পারফর্ম করেন সেদিকে নজর থাকবে সকলের।