IPL 2025: আইপিএল ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় দল হয়ে উঠেছে গুজরাত টাইটান্স (GT)। ২০২২ সালের আইপিএলে যখন নতুন দুটি দল সংযুক্ত করা হয়েছিল তখন একটি দল হয়েছিল গুজরাটের এই ফ্রাঞ্চাইজিটি। প্রথম মৌসুমেই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে আইপিএল শিরোপা জয় করে গুজরাত টাইটান্স। এমনকি ২০২৩ সালে গুজরাট ফ্রাঞ্চাইজি দ্বিতীয় বারের জন্য ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে মহেন্দ্র সিং ধোনি চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচের একেবারে শেষ বলেই টাইটেল ডিফেন্ড করতে ব্যর্থ হয়েছিল ফ্রাঞ্চাইজিটি। এরপর ২০২৪ সালে দেখা গিয়েছিল বেশ বড় পরিবর্তন। ২০২২ এবং ২০২৩ সালে হার্দিক পান্ডিয়ার অধিনায়কত্বে গুজরাট দলের পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। তবে ২০২৪ সালে হার্দিক পান্ডিয়া মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলে ফিরে যাওয়ার পর থেকে গুজরাট দলের পারফরম্যান্স দিনের পর দিন নিচের দিকে যেতে শুরু করেছিল।
গিল রশিদকে ছাড়তে নারাজ ফ্রাঞ্চাইজি
হার্দিক পান্ডিয়া গুজরাট টাইটান্স ছাড়ার পর দলের অধিনায়ক বানানো হয়েছিল শুভমান গিলকে (Shubman Gill) যদিও তার নেতৃত্বে দুটি কয়েক ম্যাচ দেখতেই সক্ষম হয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। তবে তার পারফরমেন্সের কথা বিচার করে গুজরাট দলের প্রথম রিটেনশন ওয়ালা প্লেয়ার হতে চলেছেন শুভমান গিল। গত তিন মৌসুম ধরে গুজরাটের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বাধিক রান তিনি বানিয়েছেন। তাছাড়া, আগামী মরশুম (IPL 2025) গুলিতেও তিনি গুজরাতকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। তাই শুভমানকে রিটেন করতে চাইবে ফ্রাঞ্চাইজি। গুজরাত দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে রশিদ খানকে (Rashid Khan) ধরে রাখতে চাইবে। আসলে রশিদ খান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম বড় একজন সুপারস্টার কেবলমাত্র ২৫ বছর বয়সেই টি-টোয়েন্টি ফরমেটে পাঁচশোর বেশি উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। আইপিএলে শুধু বল হাতে নয় ব্যাট হাতেও তান্ডব দেখাতে পারেন রশিদ। তার পারফরম্যান্সের কথা বিচার করে গুজরাট দল তাকে কোনমতে ছাড়তে চাইবে না। তিনি গত ৩ মৌসুম জুড়ে ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে সবথেকে বেশি উইকেটও নিয়েছেন।
২০২২ সালের মেগা নিলামের আগে হার্দিক, গিল এবং রশিদকে দলে শামিল করেছিল গুজরাত ফ্রাঞ্চাইজি। তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে তামিলনাড়ুর ব্যাটসম্যান সাই সুদর্শনকে রিটেন করতে চাইবে গুজরাট ফ্রাঞ্চাইজি। ২০২৩ সালের আইপিএলের মঞ্চে অসাধারণ প্রদর্শন করেছিলেন সুদর্শন। এরপর ২০২৪ সালে দলের হয়ে সর্বাধিক রান তার ব্যাট থেকে এসেছিল। তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে গুজরাট দলের একজন বড় ভবিষ্যৎ হতে পারেন তিনি। পাশাপাশি শুভমানের সঙ্গে তার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বড় বড় পার্টনারশিপ লক্ষ্য করা গিয়েছে। দলের হয়ে ইতিমধ্যেই তিনি শুভমান গিলের পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ১০০০ রান বানিয়েছেন। আইপিএল মৌসুমে দলের হয়ে আপাতত দ্বিতীয় সর্বাধিক রান এসেছে তার ব্যাট থেকেই। তার এই দুর্দান্ত পারফরমেন্সের পরে তাকে হাতছাড়া করতে চাইবে না ফ্রাঞ্চাইজি। তাছাড়া, নিলামের মঞ্চে মহম্মদ শামিকে ছাড়া হলে এবার তিনি নিলামের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিতে পারেন। ২০২৩ সালে ওডিআই ক্রিকেট বিশ্বকাপে যেভাবে শামি বোলিং করেছেন তাতে প্রতিটি ফ্রাঞ্চাইজি তার মতন একজন বোলারকে দলে সামিল করতে মুখিয়ে থাকবে। যদিও এখনো চোটের সঙ্গে লড়াই করছেন এই তারকা পেশার।
রাহুল তেওটিয়াকে আনক্যাপ্ড প্লেয়ার হিসাবে রাখবে ধরে
তবে জানা গিয়েছে শামিকে রিটেন করতে চায় ফ্রাঞ্চাইজি। মৌসুমে সর্বাধিক উইকেট নিয়েছিলেন শামি, পাশাপাশি বর্তমান সময়ে তার ফর্মের কথা বিচার করে কোন মতে এই ফ্রাঞ্চাইজি শামিকে মুক্তি দিতে চাইবে না। এই পরিস্থিতিতে মোহাম্মদ শামির উপরে কোটি টাকা খরচ করতে প্রস্তুত ফ্রাঞ্চাইজি। তাছাড়া আনক্যাপ্ড প্লেয়ারের জন্য রাহুল তেওটিয়াকে ব্যাবহার করতে পারে ফ্রাঞ্চাইজি। গত তিন মৌসুম ধরে দলের ফিনিশারের ভূমিকা পালন করছেন রাহুল, বল হাতে খুব বেশি প্রভাব না ফেললেও ব্যাট হাতে তিনি বেশ কয়েকটি ম্যাচে একা হাতেই জিতিয়েছেন।
তাই আসন্ন আইপিএলে তিনি হতে পারেন দলের একমাত্র আনক্যাপ্ড প্লেয়ার। ২০২৩ ও ২০২৪ মরশুমে মোহিত শর্মা (Mohit Sharma) গুজরাত টাইটান্স দলের জার্সিতে বেশ ভালো ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বল হাতে তৃতীয় সর্বাধিক ৪০টি উইকেট নিয়েছেন। গত দুই মরশুমে তার অসাধারণ পারফরমেন্সের জন্য তাকে নিলামের মঞ্চে আরটিএম (রাইট টু ম্যাচ) কার্ড ব্যবহার করে তাকে আবার দলে শামিল করবে ফ্রাঞ্চাইজি।