আইপিএলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB)। আর সেই ট্রফি জয় উপলক্ষেই বিজয় উৎসবে শেষপর্যন্ত বিষাদের অন্ধকার নেমে এসেছিল বেঙ্গালুরুতে। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে প্রায় ১১ জন ক্রিকেট সমর্থক। সাথে, একাধিক মানুষ চোট পেয়েছিলেন। এবার সেই ঘটনার সমস্ত দোষ পুরোপুরি ভাবে আরসিবি ফ্রাঞ্চাইজির উপর চাপিয়েছে কর্ণাটক সরকার। কর্ণাটক হাইকোর্টে পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার জন্য ব্যাঙ্গালুরু ফ্রাঞ্চাইজিকেই সম্পূর্ণ রূপে দায়ী করেছে কর্ণাটক সরকার। তাছাড়া, দলের স্টার ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলিকেও দোষারোপ করা হয়েছে। এমনকি, রাজ্য সরকার দাবি জানিয়েছে, আরসিবি’র এই বিজয়োৎসবের জন্য কোনও পুলিসের কাছে অনুমতিই চাওয়া হয়নি।
RCB ম্যানেজমেন্টের উপর দোষ চাপালো কর্ণাটক সরকার

হাইকোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে সরকার দাবি করেছে, RCB ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা ও কর্নাটকের রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা অনুষ্ঠানের জন্য পুলিসকে চিঠি দিয়েছিল। তবে তাতে পুলিসি বন্দোবস্তর কোনও আবেদন করা হয়নি। পাশাপাশি, সেই বিজয় সম্মেলনে কত মানুষের ভিড় জমবে, বা সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে কত পুলিশ বা নিরাপত্তার প্রয়জন বা নিরাপত্তার স্বার্থে কি কি ব্যাবস্থা গ্রহণ করা উচিত তা আদেও জানায়নি আরসিবি ফ্রাঞ্চাইজি। রিপোর্টে কর্ণাটক সরকার আরও দাবি জানিয়েছে যে, আরসিবি (RCB) বনাম পাঞ্জাবের আইপিএল ফাইনাল শুরু হওয়ার কিছু সময় আগেই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ কাব্বন পার্ক পুলিস স্টেশনে চিঠি দেয় কর্নাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা ডিএনএ নেটওয়াকর্স ও আরসিবি।
READ MORE: “গিলের তো দিল টুট গ্যয়া…” অন্য পুরুষে মজে সারা, ভিডিও ঘিরে চর্চা সোশ্যাল মিডিয়ায় !!
সেই আবেদন পত্রেই আরসিবির বিজয় সম্মেলনীর দাবি জানিয়েছিল তারা। আরসিবি (RCB) জিতলে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় সাফল্য উদযাপন করতে চেয়েছিল তারা। তবে, প্রশাসন দাবি জানিয়েছে যে, এব্যাপারে পুলিসের অনুমতি চাওয়া হয়নি। শুধু আরসিবি ম্যানেজমেন্ট নাকি বিজয় অনুষ্ঠান সম্পর্কেই উপরমহলকে জানিয়েছিল। এমনকি, RCB ফ্রাঞ্চাইজির নামে অভিযোগ তুলে প্রশাসন জানিয়েছে, পুলিসের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও ঘটনার দিন ‘বিজয় অনুষ্ঠান’ নিয়ে একাধিক পোস্ট করা হয়। সেদিন বিকাল ৩ টে ১৪ মিনিটে একটি পোস্টে ঘোষণা করা হয়, বিকেল পাঁচটায় অনুষ্ঠান শুরু হবে।
কোহলিকে নিয়ে ছেড়ে কথা বললো না সরকার

এমনকি, কিংবদন্তি তারকা বিরাট কোহলিও (Virat Kohli) ভক্তদের এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। বিরাটের মতন পাবলিক ফিগার ভক্তদের জড়ো হওয়ার অনুরোধ জানালে ভিড় তো বাড়বেই- এমনটা মত সরকারের। যে কারণে এই ঘটনার জন্য বিরাটকেও দায়ী করতে ছাড়ছে না কর্ণাটক সরকার। পাশাপাশি, সেদিন পুলিস মোতায়েনের আবেদনও জানায়নি আয়োজকরা এমনকি, ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও দক্ষ কর্মীও ছিল না। কোনো প্রকার লাউড স্পিকারেরও বন্দোবস্ত ছিল না। ভিড় নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি, কেবলমাত্র গাফিলতির কারণেই এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি জানিয়েছে সরকার। আদালতের পক্ষ থেকে, তিন আইপিএল সহ মোট ৫ জনকে সাসপেন্ডের কথাও আদালতে জানানো হয়েছে। আর, এই ঘটনাটি নিয়ে আরও বেশি জলঘোলা হলে আরসিবিকে (RCB) ব্যান করতে পারে বিসিসিআই।