ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অবদান কখনও ভোলার নয়।তার অধিনায়ক থাকাকালীন একাধিক প্রতিভা উঠে এসেছিলো বিশ্বক্রিকেটের মন্চে যারা পরবর্তী সময়ে করেছে বিশ্বশাসন।তালিকায় থাকা কিছু ক্রিকেটার হলেন বীরেন্দ্র শেহবাগ, হরভজন সিং, যুবরাজ সিং, জাহির খান,আশিস নেহেরা,মহেন্দ্র সিং ধোনি।তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার অদ্ভুত মেলবন্ধন সমৃদ্ধ সেই দল সেই সময় বিশ্ব ক্রিকেটের নিজেদের দাপট দেখিয়েছিলো ক্রিকেটের সব ধরনের ফর্ম্যাটে।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ফের “দাদার বন্দনা”য় দেখা গেলো অভিজ্ঞ ভারতীয় স্পিনার হরভজন সিং’কে।শোনালেন তার ক্রিকেট জীবনের প্রথম দিককার কথা, যখন তিনি ” ভাজ্জি ” হয়ে ওঠেননি।কেরিয়ারের প্রথম দিকে নির্বাচকদের সুনজরে ছিলেন না হরভজন, কিন্তু সেই সময় বরাবর তার পাশে থেকেছেন সৌরভ, উদীয়মান স্পিনারের উপর আস্থা রেখেছিলেন তিনি।জানিয়েছেন সেই সময় অধিনায়কের পূর্ণ আস্থা না থাকলে কিছুই করে উঠতে পারতেন না ক্রিকেটে।
বছর ৩৯’ এর এই স্পিনার কে প্রায়শই তার অধিনায়কের প্রতি ভালোবাসা জাহির করতে দেখা যায় বিভিন্ন মন্চে।ভাজ্জি জানিয়েছেন সেই সময় নির্বাচকরা তাকে নিয়ে এমন কিছু বলেছিলেন যা এইমুহুর্তে জনসমক্ষে বলতে পারবেন না তিনি।তবুও তখনও তার পাশে থেকেছেন দাদ।

” কেরিয়ারের সেই সময় আমি বুঝে উঠতে পারতাম না কে আমার পাশে আছে, আর কে নেই।কারণ সেই সময় একাধিক মানুষ সামনে আমাকে পাশে থাকার আস্থা দিলেও, কিন্তু বাস্তবে তা কখনও দেখা যায়নি।ঠিক সেই সময় আমার উপর আস্থা রেখেছিলো দাদা যখন কেউই ছিলোনা আমার পাশে।নির্বাচকরা আমার উপর ভরসা রাখেনি, তারা এমন কিছু কথা বলেছিলো সেই সময় যা আমি এখন বলতে পারবোনা সবার সামনে।তাই গাঙ্গুলীর জন্য কোনও কিছু বলা কম হবে।যদি সে সেইসময় দলের অধিনায়ক না থাকতো তাহলে আমি জানি না আর অন্য কোনও অধিনায়ক আমার উপর এতোটা আস্থা দেখাতে পারতো কি না ” ।আকাশ চোপড়া’কে ‘ ইউটিউব ‘ এর একটি ইন্টারভিউতে এমনটাই জানিয়েছেন হরভজন।
১৯৯৮ সালে দেশের হয়ে অভিষেক হয় হরভজনের।যদিও পরবর্তী সময়ে হারিয়ে যান তিনি।ফের তার জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হয় অধিনায়ক সৌরভের হাত ধরে।জলন্ধরের এই অফস্পিনারকে বোলিং করার পূর্ণ স্বাধীনতা দিতেন তার দাদা।বোলারদের নিজের মতো করে ফিল্ড সাজানোর সুযোগ দিতেন তিনি।এমন একজন অধিনায়ক’কেই প্রয়োজন দলে, যে প্লেয়ারদের পাশে থাকবে সব সময়।

প্রসঙ্গত, দেশের হয়ে যথাক্রমে ১০৩ টি টেস্ট এবং ২৩৬ টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন ভাজ্জি।এবং এই দুই ক্ষেত্রে তিনি উইকেট নিয়েছেন যথাক্রমে ৪১৩ এবং ২৬৯।২০১৬ সালের মার্চ মাসের পর তাকে আর দেখা যায়নি দেশের জার্সি গায়ে।তবুও দেশের হয়ে এখনো টি টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলতে চান তিনি।