বামিংহ্যাম: চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ১৫ জুন ভারত-বাংলাদেশের লড়াই। ইদানিং ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ মানেই প্রায় যুদ্ধাবস্থা। এটা তো আবার সেমিফাইনাল! তাই উত্তেজনার পারদ কয়েক গুন চড়ে গিয়েছে। দু’ দেশের মাঠের লড়াইয়ের ফলাফল কী হবে তা জানতে আমাদের আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। অনেকেই মনে করছেন, সেমির লড়াইয়ে ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামবে বিরাট কোহলির দল। তবে আশায় বুক বাঁধছে বাংলাদেশও। প্রথমবারের মত এত বড় টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে তারা। হাতছানি আছে আরও বড় প্রাপ্তির। প্রতিপক্ষ ভারত। তাই এমন একটা ম্যাচের আগে দলের ক্রিকেটার টিপস দিয়ে দিলেন প্রাক্তন বাংলাদেশ অধিনায়ক হাবিবুল বাশার।
ক্রিকেটীয় যোগ্যতায় দু’দলের মধ্যে ব্যবধান গত কয়েক বছরে কমেছে। আর তার প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটের লড়াইয়েও। এখন আর ভারত বনাম বাংলাদেশ মানে নীরব ক্রিকেট দ্বৈরথ নয়। বরং দু’দেশের সমর্থকদের তীব্র রেষারেষি আর সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা। কখন থেকে এই লড়াইয়ের শুরু? ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিশ্বকাপের ম্যাচ দিয়ে। গ্রেগ চ্যাপেল-রাহুল দ্রাবিড়ের ভারতকে হারিয়ে তাঁদের গ্রুপ লিগ থেকেই ছিটকে দেয় বাংলাদেশ।
২০১৫ বিশ্বকাপে রোহিত শর্মার বিরুদ্ধে আউটের আবেদন নাকচ হওয়া নিয়ে ফেটে পড়েন বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা। ম্যাচের সময় জায়েন্ট স্ক্রিনে ‘জিতেগা ভাই জিতেগা, ইন্ডিয়া জিতেগা’ লেখা নিয়েও নাখোশ ছিল পদ্মাপারের দেশটি। সেই উত্তেজনা বেশ কয়েক দিন চলেছিল। ধোনির ভারত এরপর বাংলাদেশে মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ে নাজেহাল হয়ে এক দিনের সিরিজ ১-২ ফলে হারে। সেই সময় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মাঠের মধ্যে ‘অতিরিক্ত উৎসব’ মোটেই ভাল চোখে দেখেনি টিম ইন্ডিয়ার খেলোয়াড়রা।
সেখানেই অবশ্য শেষ নয়। ২০১৬ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতেও ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচটি উত্তাপ ছড়িয়েছিল। জেতা ম্যাচ মুশফিকুর রহিমরা ছুড়ে দিয়ে চলে আসেন। ১ রানে ম্যাচ জেতে ভারত। আসন্ন ১৫ জুনের লড়াই সম্পর্কে বলা হয়, পরের স্টেশন বার্মিংহ্যাম। ইতিমধ্যেই একটি ব্যাপার নিয়ে খটাখটি শুরু হয়ে গিয়েছে। শিরোনামে আবার সহবাগ। রবিবার দক্ষিণ অফ্রিকার বিরুদ্ধে বিরাট কোহলিরা জেতার পর টুইটারে অভিনন্দন জানিয়ে বীরু লিখেছেন, ‘সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের জন্য ভারতীয় দলের জন্য শুভেচ্ছা রইল।’ তাঁর এহেন টুইট দেখে বাংলাদেশি ক্রিকেট ভক্তরা ফের ক্ষিপ্ত।
What a great victory for India. Solid performance. Good luck for the semi finals and finals.#INDvSA #CT17
— Virender Sehwag (@virendersehwag) June 11, 2017
এ দিকে, সহবাগের এই মন্তব্য গায়ে মাখতে নারাজ প্রাক্তন বাংলাদেশ অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। তিনি এগুলি নিয়ে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মাথা ঘামাতে নিষেধ করে ম্যাচের দিকে মন দিতে বলেছে। এই প্রসঙ্গে বাশার বলেন, ‘আমরা প্রতিপক্ষ আর উপলক্ষ্য নিয়ে ভাবছি না। শুধু ভাবছি এটা একটা সুযোগ। বিশ্বকে দেখানোর সুযোগ যে আমরা কি করতে পারি।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘ফাইনালে যাওয়ার ক্ষমতা আমাদের রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য অনেক বড়।’