৫বার যখন ভারতীয় দলের ভদ্র্র খেলোয়াড়রা মাঠে নিজেদের মেজাজ হারিয়েছিলেন 1

কথায় বলা হয় “cricket is a gentelman game ” অর্থাৎ ক্রিকেট হলো ভদ্র্র লোকেদের খেলা কিন্তু বাস্তবে তা পুরুপুরি উল্টো। খেলার মাঠে কোনো প্রতিপক্ষই একে অপরকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ তা সে ক্রিকেট হোক বা অন্য কোনো খেলা , ক্রিকেট মাঠের বাইরে একে ওপরের অভিন্ন্য বন্ধু হলেও ম্যাচে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলতে রাজি নয় সেটা আমরা অতীতেও দেখে এসেছি আর যেকোনো দেখছি আর হয়তো ভবিষতেও এমন কিছু দ্রষ্টব্ব্যের সাক্ষী আমরা থাকবো।

এখন আলোচনা করা যাক এমন কিছু ভদ্ৰ ভারতীয় ক্রিকেট খেলোয়াড় এর বেপারে যারা স্বভাবে খুবই শান্ত কিন্তু তারাও এক সময় ক্রিকেট মাঠে ঝামেলায় জড়িয়েছে। ভারতীয় দলে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের নিজ্জস সভাব সিদ্ধ আচরণ আছে যেমন বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলি হলেন আক্রমণত্মক মেজাজের ঠিক তার পূর্বসূরি অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি ছিলেন একদম শান্ত শিষ্ট চতুর মেজাজের , ঠিক এই রকম অতীতেও বেশ কিছু ভারতীয় খেলোয়াড় ছিলেন যারা কেউ ছিলেন শান্ত আবার কেউ ছিলেন আক্রমনাত্বক। কিন্তু যখন এই শান্ত স্বভাবের ক্রিকেটটার মাথা গরম করে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন ঠিক থাকেন কি হয় তার ৫টি উদাহরণ আজ আমরা এখানে জানবো।

৫বার যখন ভারতীয় দলের ভদ্র্র খেলোয়াড়রা মাঠে নিজেদের মেজাজ হারিয়েছিলেন 2

ভেঙ্কটেশ প্রসাদ : প্ৰাক্তন ভারতীয় জোরে বোলার একদম শান্ত মেজাজের বোলার ছিলেন তিনি মনে করতেন যতক্ষন তার হাতে বল আছে ততক্ষন তিনি বিপক্ষ ব্যাটসম্যানের মুখের জবাব এই বল হাতেই দেবে। কিন্তু ঘটনার সূত্রপাত ১৯৯৬ ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়াটার ফাইনালে যখন প্রসাদ বল করছিলেন পাকিস্তানের বাঁহাতি ওপেনার আমির সোহেলকে , আমির সোহেল প্রাসাদের একটি বল বাউন্ডারি পাঠিয়ে তাকে বলেন এই রকম প্রত্যেক বল তিনি বাউন্ডারি পাঠাবেন এবং ঠিক তার পরের বলেই প্রসাদ আমির সোহেলকে আউট করে তাকে মাঠের বাইরে যেতে নির্দেশ দেন এর থেকে বোজা যায় প্রসাদ সেদিন কতটা মেজাজ হারিয়েছিলেন।

ভি ভি এস লাক্সমান : ভারতীয় দলের প্রাক্তন এই নির্ভরযজ্ঞ ডানহাতি ব্যাটসম্যান বহুবার ভারতীয় দলকে ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করেছে যেমনটা করেছিল ২০১০সালে মোহালিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। কিন্তু এই ম্যাচে আমার লাক্সমান কে মেজাজ হারাতে দেকি তও আবার নিজের দলের খেলোয়াড় এর ওপরে তার জন্য তিনি ম্যাচ শেষে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন। ম্যাচ চলাকালীন লাক্সমান চোটপান থাকেন হয়ে রানার্স নামেন সুরেশ রায়না লাক্সমানের সাথে লাস্ট উইকেট হিসাবে ক্রিজে ছিলেন প্রগ্গ্যেন ওঝ। খেলা প্রায় শেষ এর দিকে সামান্য একটু ভুল বোঝাবুঝিতে লাক্সমান রান আউট হয়ে যাচ্ছিলেন এবং ভারত ম্যাচটি হেরে যাচ্ছিলো কিন্তু সুরেশ রায়না আবার ঠিক সময়ে ক্রিজে পৌঁছানোতে ম্যাচ ভারত হাথেই থাকে এবং ভারত ম্যাচ টি যেতে কিন্তু লাক্সমান থাকেন রেগে গিরে ওঝা র দিকে ব্যাট নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন যা দেখে ওঝা বেশ ভয় পেয়ে গেছিলেন।

৫বার যখন ভারতীয় দলের ভদ্র্র খেলোয়াড়রা মাঠে নিজেদের মেজাজ হারিয়েছিলেন 3

রাহুল দ্রাবিড় : প্ৰাক্তন ভারতীয় ডানহাতি ব্যাটসম্যান যিনি এক সময় ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব সামলেছেন তার ঠান্ডা মাথা দিয়ে তাই জন্য তাকে বিশ্ব ক্রিকেট চেনে ” Mr Dependable” নামে কিন্তু রাহুল দ্রাবিড় কেও আমার মাঠে মেজাজ হারাতে দেখেছি , সাল ২০০৪ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ম্যাচ ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে। ভারতীয় দল যখন খুব সমস্যাতে রয়েছে বড়ো রান গড়ার লক্ষ্যে ঠিক তখনই শোয়াইব আখতার এর এক ওভারে দুটি রান নেবার চেষ্টা করেন রাহুল দ্রাবিড় কিন্তু দ্রাবিড় এর রান নেবার সময় আখতার তার সামনে চলে আসে এই নিয়ে দুজনের মধ্যে বেশ কিছু উত্তপ্ত বাক্ক্য বিনিময় হয় এর পর তৎকালীন পাকিস্তানী অধিনায়ক ইনজামামুল হক দুজন কে আলাদা করে পরিস্থিতি ঠান্ডা করেন।

এম এস ধোনি : সদ্য প্ৰাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক এবং বিশ্বের সব থেকে অধিনায়ক যার নেতৃত্ত তে ভারতীয় ক্রিকেট দল ৩ধরণের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জিতেছে , ধোনি মাঠে এমনি একজন শান্ত ক্রিকেটার জেক গোটা বিশ্ব ” ক্যাপ্টেন কুল” হিসাবে চেনে। কিন্তু শ্রীলংকার সাথে একটি ২০ওভার ম্যাচে তিনি বাঁহাতি চায়নাম্যান স্পিনার কুলদীপ যাদব এর ওপর বেজায় চোটে যান এবং তাকে বলেন ঠিক কোথায় ফিল্ডিং সাজাতে হবে কারণ ধোনির ৩০০টি এক দিবসীয় ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাই শুনে কুলদীপ যাদব নিজের সাজানো ফিল্ড পরবর্তন করেন এবং সাফল্য পান।

৫বার যখন ভারতীয় দলের ভদ্র্র খেলোয়াড়রা মাঠে নিজেদের মেজাজ হারিয়েছিলেন 4

সচিন তেন্ডুলকর : ক্রীকেটের ভগবান হিসাবে আমরা যাকে চিনি সেই সচিন তেন্ডুলকর কিন্তু ১৯৯৮ শারজা কাপ ফাইনালে নিজের দলের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় লাক্সমান এর ওপর চিল্লেছিলেন ২রানে নেবার জন্য। পরে আমরা সবাই জানি সচিন তার ঝোড়ো শতরান করে অস্ট্রেলিয়া কে এই ম্যাচ হারতে বাধ্য করেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *