অবশেষে ট্রফির মুখ দেখলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB)। দীর্ঘ ১৭ টি মৌসুমে ট্রফি জিততে ব্যর্থ হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ফ্রাঞ্চাইজি। অবশেষে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৬ রানে মেগা ফাইনালে দুর্দান্ত কামব্যাক করে ট্রফির খরা কাটালো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ভক্তরা অপেক্ষায় ছিল আরসিবির এই জয় উপভোগ করার। গতকাল নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেই আজ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স দলের বেঙ্গালুরুতে ফিরে আসার কথা ছিল। সেখানেই হওয়ার কথা ছিল খোলা বাসে ট্রফির প্যারেড। তবে বেঙ্গালুরুর যানজটের কথা মাথায় রেখে শেষ পর্যন্ত সেই প্যারেড শো বাতিল করতে হয়।
আরসিবির প্যারেডে পদতৃষ্ঠ একাধিক ভক্ত

প্রসঙ্গত, বিধানা সৌধা থেকে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম অবধি ‘ওপেন বাস প্যারেড’ হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল আরসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে। প্যারেড শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকাল ৩:৩০ থেকে। তবে যানযটের কথা ভেবে প্রশাসনের কাছ থেকে ছাড়পত্র পাইনি আরসিবি, যদিও বিকাল পাঁচটা থেকে প্যারেডেরঅনুমতি পেয়েছিল ফ্রাঞ্চাইজি। কিন্তু ভক্তদের ভিড়ের কারণে তা সম্ভব হয়নি। শেষমেষ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের মধ্যেই ট্রফির উদযাপন করে আরসিবি দল। অন্যদিকে আরসিবির ওপেন বাস প্যারেডে অংশ নিতে ব্যাঙ্গালুরুর রাস্তায় জমায়েত হয়েছিল লক্ষাধিক ভক্তরা। জনসংখ্যা এতটাই বেশি ছিল যে নিরাপত্তা ব্যবস্থার হাল বেহাল হয়ে ওঠে। এমনকি পাঁচিল টোপকে স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করে ভক্তরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করতে থাকে পুলিশ আর তখনই হুড়োহুড়িতে পদপৃষ্ঠ হয়ে প্রাণ হারান প্রায় ১১ জন তাছাড়া ৩৩ জন আহত হয়েছেন।
আর এই মর্মান্তিক ঘটনার পরেই সমাজমাধ্যমে আরসিবিকে একহাত নিয়েছেন নেটিজেনরা। এক ভক্ত লিখেছেন, “ট্রফি তো আরো দল জিতেছে। এরকম ভাবে তারা উদযাপন করেনি।” অন্য এক ভক্ত লিখেছেন, “জঘন্যতম ঘটনা সাক্ষী থেকে গেল আরসিবি।” আর এক ভক্তের দাবি, “সব কিছুর জন্য আরসিবি ম্যানেজমেন্ট দায়ী।” কেউ কেউ আবার প্রশাসনকে টেনে নিয়ে লিখেছেন, “ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে উদযাপন করেছিল তখন কিন্তু এমন ঘটনা ঘটেনি।” আর এক ভক্তের দাবি, “এরা সত্যি সত্যি ট্রফি জেতার যোগ্য নয়।” ম্যানেজমেন্ট কে নিশানা করে এক ভক্ত লিখেছেন, “ভক্তদের মর্যাদা দিতে এরা ব্যর্থ।“