বুধবার প্রয়াত হলেন কিংবদন্তী ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যান এভার্টন উইকস।মৃত্যুকালীন তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ ।২০১৯ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।এরপর থেকেই দীর্ঘ রোগভোগ করতে হয় তাকে।
বিশ্বযুদ্ধের আগে বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করতেন উইকস।তিনি এবং তার বার্বাডোজের আরও দুই সতীর্থ ক্লাইড ওয়ালকট এবং ফ্রাঙ্ক ওরেল ক্রিকেট জগতে পরিচিত ছিলেন ” ডাব্লিউ ত্রয়ী ” নামে।এই তিন জনের মধ্যে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে গন্য করা হয় উইকস’কে।ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলেছিলেন ৪৮ টি টেস্ট ম্যাচ ।
১৯৪৮ থেকে ১৯৫৮ , দেশের হয়ে দশ বছরের কেরিয়ারে ৫৮.৬২ গড়ে উইকস করেছিলেন ৪৪৫৫ রান।করেছেন ১৫ টি সেন্চুরী।ব্যাটিংয়ে তার নিখুঁত টাইমিংয়ের প্রশংসা করা হতো গোটা বিশ্ব জুড়ে।
১৫২ টি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছেন উইকস।এক্ষেত্রে ৫৫.৩৪ গড়ে তিনি করেছিলেন ১২,০১০ রান।আছে ৩৬ টি শতরান ।সর্বোচ্চ স্কোর ৩০৪ নট আউট।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে পর পর পাঁচ ইনিংসে সেন্চুরী করার রেকর্ড আছে উইকসের দখলে।১৯৪৮ পালে ইংল্যান্ড এবং ভারতের বিপক্ষে খেলাকালীন এই রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি।প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটেও এই রেকর্ড স্পষ্ট করার সুযোগ ছিলো তাঁর কাছে যদিনা তিনি পরের ইনিংসে ৯০ রানে আউট হতেন।
তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত গোটা ক্রিকেট জগত।ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট রিক স্ক্রেরিট বলেছেন, ” ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের এক অন্যতম পুরোধা ছিলেন তিনি।কিংবদন্তী ক্রিকেটার হওয়ার পাশাপাশি ছিলেন একজন অসাধারণ মানুষ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ক্রিকেটের প্রধান স্থপতি তিনি।ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।”
তাঁর মৃত্যুর পর টুইট করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষন।
” এইমাত্র খবর পেলাম আমাদের মাঝে আর নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তী ক্রিকেটার এভার্টন উইকস।ওঁর পরিবার এবং নিকটজনদের আমার সমবেদনা জানাই ” ।
খেলা ছাড়ার পরেও খেলার সাথে সর্বাঙ্গীক ভাবে জড়িয়ে ছিলেন উইকস।কখনো কোচ,কখনও এ্যডমিনিস্ট্রেটর, কখনও ম্যাচ রেফারির ভুমিকায় দেখা গেছে তাকে মাঠে।১৯৭৯ সালের বিশ্বকাপের কানাডা ‘ দলকে কোচিং করিয়েছিলেন তিনি।
১৯৯৫ সালে “নাইটহুড ” সন্মানে সন্মানিত হয়েছিলেন উইকস।২০০৯ সালে আইসিসির ” হল অফ ফেম ” নির্বাচিত হন এক কিংবদন্তি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটার।