এজবাস্টনে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। চতুর্থ উইকেটে জো রুট আর জনি বেয়ারস্টোর অবিচ্ছিন্ন ২৬৯ রানের জুটির কারণের এই ইতিহাস গড়ে ইংরেজরা। ঋষভ পন্থ ও রবীন্দ্র জাদেজার শতরানে প্রথম ইনিংসে ভারত ৪১৬ রান তুলেছিল। ইংল্যান্ডকে ২৮৪ রানে অলআউট করে দিয়ে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে ছিল তারা ১৩২ রানে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৫ রান তুলতে পারে ভারত। চেতেশ্বর পূজারা সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন আর পন্থ করেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৭ রান। এই দু’জন ছাড়া আর কোন ভারতীয় ব্যাটসম্যানই কাজের কাজটা করতে পারেনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে ফ্লপ ভারতীয় ব্যাটিং
চতুর্থ দিনে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা যেভাবে পারফর্ম করেছে তাতে দলের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোরও হতাশ। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর বিক্রম রাঠোর জানিয়ে দিলেন ভুলটা কোথায় হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে কোচ বিক্রম রাঠর বলেন, “ব্যাটিং-এর ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা নিজেদের মান অনুযায়ী খেলতে পারিনি। এটা সময় আমরা এগিয়ে ছিলাম। আমাদের ব্যাটিং দিয়ে তাদের খেলা থেকে বাইরে করে দেওয়ার মতো জায়গায় ছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত তা ঘটেনি।” তিনি আরও বলেন, “অনেক ব্যাটসম্যান ভালো শুরু করলেও সেটাকে বড় ইনিংসে নিয়ে যেতে পারেননি। আমরা আশা করেছিলাম তাদের একজন বড় ইনিংস খেলবে এবং একটি বড় পার্টনারশিপ করবে কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়নি।”
শর্ট বলেই ছন্নছাড়া ভারত
একটা সময় এই টেস্টে টিম ইন্ডিয়াকে খুবই শক্তিশালী দেখায়। কিন্তু ম্যাচের চতুর্থ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সময় হঠাৎ একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে এবং ভারতীয় দল আর বড় স্কোর করতে পারেনি। ইংল্যান্ড শর্ট বোলিং ব্যবহার করেই কি ভারতকে দ্বিতীয় ইনিংসে আটকে দেয়? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “অবশ্যই, এই লেভেলের খেলায় এমন বল খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। শর্ট বোলিং ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিপক্ষ দল এই স্ট্র্যাটেজিতে আগেও আমাদের বিরুদ্ধে সাফল্য পেয়েছে।” রাঠোড আশাবাদী ছিলেন যে পঞ্চম দিনে শুরুর দিকে কিছু উইকেট নিয়ে ভারত এখনও ম্যাচে ফিরে আসার রাস্তা তৈরি করবে। তবে আদতে তেমনটা কিছুই হয়নি। সাত উইকেটে ম্যাচটা জিতে নিয়ে শেষ পর্যন্ত সিরিজ ড্র করে ফেলে ইংল্যান্ড দল।