এই মুহূর্তে দিশা পাটানি হলেন বলিউডের ব্যস্ততম নায়িকাদের একজন। তার ঝুলিতে ইতিমধ্যে জমা পড়েছে অনেকগুলো ভালো সিনেমা, যেগুলো তাকে নিজের সৌন্দর্য এবং অভিনয় ক্ষমতা, দুটোকেই তুলে ধরতে সাহায্য করেছে। মডেলিং দিয়ে শুরু হওয়া তার ক্যারিয়ারের প্রথম বোরো ব্রেক দিশা পান ভারতীয় ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির বায়োপিক “এম এস ধোনি – দা আনটোল্ড স্টোরি”র মাধ্যমে। এই সিনেমায় তিনি ধোনির প্রাক্তন গার্লফ্রেন্ড প্রিয়াঙ্কা ঝা’র চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চরিত্র তাকে তার অভিনয় প্রতিভাকে সর্বসমক্ষে তুলে ধরতে সাহায্য করে এবং এনে দেয় অনেক সম্মান ও সমালোচনা।
পরবর্তীকালে একটি ইন্টারভিউতে দিশা বলেন যে তিনি ভীষণ ভাবে চেয়েছিলেন যে তার অভিনয় ধোনির পছন্দ হোক। তিনি ও বলেন যে তিনি ধোনির কাছ থেকে এই সিনেমাটি এবং তার অভিনয় করা চরিত্রটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন। তিনি বলেন, “আমি জানি না কখন আমি ধোনির সাথে দেখা করতে যাচ্ছি, তবে আমি তার সাথে দেখা করার অপেক্ষায় রয়েছি। আমি তাকে চলচ্চিত্রটি এবং আমার ভূমিকা সম্পর্কে তিনি জিজ্ঞাসা করব, তিনি এটি পছন্দ করেছেন কিনা।”
দিশা আরও বলেন, “চলচ্চিত্রের কাস্টিং বাস্তব জীবনের চরিত্রগুলি দ্বারা অনুপ্রাণিত। সুতরাং, আপনি কিয়ারার মধ্যে সাক্ষীকে বা সুশান্তের মধ্যে ধোনিকে দেখতে পাবেন। আমি আশা করছি যেন ধোনি আমার মধ্যে প্রিয়াঙ্কাকে দেখেন। আমি চরিত্রটিতে আমার নিজের কিছু পরিযোজন যুক্ত করেছি। আমি মনে করি একজন অভিনেতা হিসেবে আপনি প্রতিবার প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটিতে যেতে পারবেন না এবং ঠিক এই কারণেই আপনার নিজের তরফ থেকে কিছু জিনিস প্রত্যেক চরিত্রে যোগ করা উচিত।”
পরবর্তীকালে সিনেমাটি রিলিজ হবার পরে জানা যায় যে ধোনি চাননি যে তার জীবনের এই অধ্যায়টিকে এভাবে সর্বসমক্ষে তুলে ধরা হোক। ধোনি, যিনি নিজের ৪০ বছরের জন্মদিন উদযাপন করলেন গতকাল অর্থাৎ ৭ই জুলাই, তিনি চেয়েছিলেন যে তার জীবনের এই একান্ত ব্যক্তিগত অংশটুকু তার বায়োপিক থেকে বাদ পড়ুক।
এই সিনেমায় দিশা পাটানির পাশাপাশি অভিনয় করেন অনুপম খের, কিয়ারা আডবাণী এবং সুশান্ত সিং রাজপুত। সুশান্ত গত বছর ভীষণ দুঃখজনকভাৱে আমাদের ছেড়ে চলে যান। সিনেমাটি নিঃসন্দেহে তার জীবনের সেরা চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে একটি এবং ধোনির চরিত্রে এত সাবলীলভাবে অভিনয় করার জন্য তিনি অনেক প্রশংসা পান।
এই বায়োপিকটি ধোনির জন্মের পর থেকে ২০১১ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ধোনির দুর্দান্ত কেরিয়ার এবং তার জীবনের সমস্ত ওঠাপড়ার উপরে আলোকপাত করেছিল। সিনেমাটির শেষ দৃশ্যে আমরা দেখতে পাই সেই বিখ্যাত দৃশ্য, যেখানে ধোনি শ্রীলংকান ফাস্ট বোলার নুয়ান কুলাসেকারাকে লং অনের উপর দিয়ে ছয় মেরে ভারতকে এনে দেন তার বহুকাঙ্খিত বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ। দেশের হয়ে নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের উপরে পূর্ণচ্ছেদ টেনে দিলেও ধোনি এখনো ব্যাট এবং গ্লাভস হাতে আই পি এল ফ্রাঞ্চাইসি চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে নিয়মিত খেলে চলেছেন এবং আইপিএল ২০২০র বাদবাকি যে খেলাগুলি দুবাইতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, সেগুলিতে তিনি কেমন খেলেন তা দেখার জন্য তার এবং চেন্নাইয়ের সমর্থকেরা সবাই মুখিয়ে আছেন।