ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি নিজের খেলার আর অ্যাগ্রেশন এর জন্য আলোচনাতে তো থাকেনই। কিন্তু বেশ কয়েকবার তিনি মাঠেও এমন কিছু করে বস্ন যার পর সমালোচকরা তাকে নিশানা বানিয়ে ফেলেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪ টেস্ট ম্যাচের সিরিজে বিরাট পিতৃত্বকালীন অবকাশের পর প্রত্যাবর্তন করেছেন। গতমাসে শেষ হওয়া অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম টেস্ট ম্যাচের পর তিনি নিজের মেয়ে জন্মানোর কারণে সফর মাঝপথে ছেড়েই দেশে ফিরে এসেছিলেন। যারপর প্রাক্তন তারকা ভারতীয় ওপেনার সুনীল গাভাস্কারবিরাটের সমালোচনা করেছিলেন। এরপর আরও একবার ভারত আর ইংল্যনাডের মধ্যে হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে নিজের ব্যবহারের কারণে বিরাট সমালোচকদের নিশানায় চলে এসেছেন।
বিরাটের মাঠে ব্যবহার নিয়ে লয়েড করলেন জমিয়ে সমালোচনা
ক্রিকেটার থেকে কমেন্টেটর হয়ে যাওয়া প্রাক্তন ইংলিশ তারকা ডেভিড লয়েড ভারত আর ইংল্যান্ডের মধ্যে বিরাট কোহলির মাঠের ব্যবহারের জন্য তার কড়া সমালোচনা করেছেন। যদিও দ্বিতীয় টেস্টে পাওয়া জয়ের পর বেশকিছু ক্রিকেট এক্সপার্ট বিরাটের প্রশংসা করেছিলেন। নিজের ব্যবহার নিয়ে বিরাট আগেই এইভাবে সমালোচনার শিকার হয়েছেন। আসলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সম্প্রতি শেষ হওয়া দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন বিরাট কোহলি মাঠের আম্পায়ার নীতীন মেননের সঙ্গে একটি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। এই ঘটনা ইংলিশ দলের প্রথম ইনিংসের। যখন ম্যাচের তৃতীয় দিনের শেষ ওভার বল করা হচ্ছিল। সেই সময় জো রুটের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদন করা হয়, তারপরই এই ঝামেলার সূত্রপাত হয়।
দ্বিতীয় টেস্টে অ্যাম্পায়ারের সঙ্গে অসভ্যতা করতে দেখা যায় কোহলিকে
অ্যাম্পায়ার যেমনই ইংলিশ অধিনায়ককে নটআউট দেন তো ভারত অধিনায়ক রিভিউ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু থার্ড অ্যাম্পায়ার বলের ইম্প্যাক্টের বিষয়টি মাঠের অ্যাম্পায়ারের সিদ্ধান্তের উপরই ছেড়ে দেন। যে কারণে জো রুটকে নটআউট দেওয়া হয় আর ভারত তার রিভিউ হারায়। এই পুরো ঘটনা চলাকালীন ভারতীয় অধিনায়ক কোহলিকে যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় আর মাঠের অ্যাম্পায়ার নীতীন মেননের সঙ্গেও তাকে অসভ্যতা করতে দেখা যায়। যারপর তার এই ব্যবহার নিয়ে চারদিকেই সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এই ব্যাপারে এখন আরও এক নতুন নাম যোগ হল প্রাক্তন ইংলিশ ক্রিকেটার আর কমেন্টেটর ডেভিড লয়েডের।
দ্বিতীয় টেস্টে কোহলিকে খেলে দেওয়া উচিত নয় – ডেভিড লয়েড
ডেভিড লয়েড এই ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে বলেন, “বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অনুশাসনাত্মক অ্যাকশনের কথা কেনো ভাবা হবে না? আমি অবাক আর নিরাশ দুটোই হয়েছি। ক্রিকেটে তো এমনটা তো বহু আগে থেকেই চলে আসছে, তো এমন ব্যবহার কেন। একটি জাতীয় দলের অধিনায়ককে মাঠে উপস্থিত একজন আধিকারিকের সমালোচনা, তাকে নিয়ে ঠাট্টা করা, তার সঙ্গে তর্ক আর অসভ্যতা করার অনুমতি দিয়ে দেওয়া হয়। যদি অন্য কোনো খেলা হত তো ওকে এখনও পর্যন্ত মাঠের বাইরে বের করে দেওয়া হত। নিশ্চিতভাবে ওকে আহমেদাবাদ টেস্টে খেলতে দেওয়া উচিত নয়”।