CT 2025: দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (CT 2025) অভিযান শুরু করলো টিম ইন্ডিয়া। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বাংলাদেশ। পিঠের চোটে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নেই জসপ্রীত বুমরাহ। সেরা পেস অস্ত্রের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও বল হাতে শুরুটা বেশ ভালো করেছিলো ‘মেন ইন ব্লু।’ খাতা খোলার আগেই আউট হন সৌম্য সরকার ও শান্ত। এরপর মেহদী , মুশফিকুররাও বিন্দুমাত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেন নি আজ। পিছিয়ে পড়া টাইগারদের লড়াইতে ফেরালেন জাকের আলি অনীক (Jaker Ali) ও তৌহিদ হৃদয় (Towhid Hridoy)। কঠিন পরিস্থিতিতে ঢাল হয়ে দাঁড়ান দুই তরুণ। ৬৮ করেন জাকের, হৃদয়ের ঝুলিতে ১০০। একটা সময় মনে হয়েছিলো ১০০ রানের মধ্যে গুটিয়ে যাবে বাংলাদেশ ইনিংস। কিন্তু জাকের ও হৃদয়ের মরিয়া লড়াই তাদের পৌঁছে দিলো ২২৮ রানে।
Read More: শেষ হলো বাবর আজমের রাজত্ব, ওডিআই ব্যাটিং র্যাঙ্কিং-এর শীর্ষস্থানে এখন শুভমান গিল !!
নড়বড়ে ব্যাটিং বাংলাদেশের-

বেশ নড়বড়ে লাগলো বাংলাদেশের টপ-অর্ডারকে। প্রথম ওভারেই মহম্মদ শামির (Mohammed Shami) ইনস্যুইং-এ পরাস্ত হয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। বাম হাতি ওপেনারের ব্যাটের ভিতরের অংশ ছুঁয়ে বল জমা পড়ে কে এল রাহুলের দস্তানায়। দ্বিতীয় ওভারে জ্বলে ওঠেন হর্ষিত রাণা’ও (Harshit Rana)। ফেরান নাজমুল হোসেন শান্তকে। অফস্টাম্পের বাইরে ফাঁদ পেতেছিলেন দিল্লীর তরুণ ফাস্ট বোলার। পা দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাঁর নিয়ন্ত্রণহীন ড্রাইভ জমা পড়ে পয়েন্ট-কভারে দাঁড়ানো বিরাট কোহলির (Virat Kohli) হাতে। ২ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বসেছিলো টাইগারবাহিনী। সপ্তম ওভারে মেহদী হাসান মিরাজকেও ফেরান মহম্মদ শামি। প্রত্যাঘাতের খানিক চেষ্টা করেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। কিন্তু বেশীদূর এগোতে পারেন নি তিনি। অক্ষরের শিকার হন বাম হাতি ব্যাটার। অভিজ্ঞ মুশফিকুরকেও ঐ একই ওভারে আউট করেন ভারতীয় অলরাউন্ডার।
জাকের ও হৃদয় মান বাঁচালেন টাইগারদের-

প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন জাকের আলি অনীক (Jake Ali)। স্লিপে সহজ ক্যাচ যদি ধরতে পারতেন রোহিত শর্মা তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হ্যাট্রিকের মালিক হতে পারতেন অক্ষর প্যাটেল। কিন্তু বল তালুবন্দী করতে পারেন নি ভারত অধিনায়ক। দ্বিতীয় সুযোগ পেয়ে দুর্দান্তভাবে তার সদ্ব্যবহার করলেন জাকের। সঙ্গে পেলেন তৌহিদ হৃদয়কেও (Towhid Hridoy)। শুরুটা মন্থর গতিতে করেছিলেন দু’জনে। ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়ান তাঁরা। নবম ওভারে পঞ্চম উইকেটের পতন হয়েছিলো বাংলাদেশের। ষষ্ঠ উইকেটের জন্য টিম ইন্ডিয়াকে অপেক্ষা করতে হলো ৪৩তম ওভার অবধি। ১৫৪ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন তৌহিদ ও জাকের। ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ এটাই। দুবাইয়ের মাঠে নজির গড়লেন মহম্মদ শামি। জাকেরকে ফিরিয়ে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ছুঁলেন ২০০ উইকেটের মাইলস্টোন।
শতরান হৃদয়ের, চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত-

জাকের আলি আউট হওয়ার পর আরও একবার ধস নেমেছিলো বাংলাদেশ ব্যাটিং-এ। ১২ বলে ১৮ করে ফেরেন রিশাদ হোসেন। খাতা খুলতে পারেন নি নয় নম্বরে নামা তানজিম হাসান সাকিব। আজকের ম্যাচে পঞ্চম বাংলাদেশী হিসেবে শূন্য রানে আউট হন তিনি। এরপর তাস্কিন আহমেদের (Taskin Ahmed) ইনিংসও এগোয় নি ৩ রানের বেশী। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে শেষের ওভারগুলোয় কার্যত একা কুম্ভ হয়ে প্রতিরোধ চালিয়ে গেলেন তৌহিদ হৃদয় (Towhid Hridoy)। করেন কেরিয়ারের প্রথম ওয়ান ডে শতরান। ৪৯.৪ ওভারে ২২৮ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। দুবাইয়ের পিচে এই স্কোর লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ট, মত বিশেষজ্ঞদের। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রত্যাবর্তন সিরিজে হতাশ করেছিলেন শামি। কিন্তু আইসিসি টুর্নামেন্টে ফের জাত চেনালেন তিনি। ৫৩ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ৫ উইকেট। ভারতের হয়ে ৩টি উইকেট হর্ষিতের, জোড়া সাফল্য পেয়েছেন অক্ষর।