CT 2025: বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (CT 2025) অভিযান শুরু করেছিলো টিম ইন্ডিয়া। এরপর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় এসেছিলো ৬ উইকেটের ব্যবধানে। তৃতীয় ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিলো নিউজিল্যান্ড। ফের একবার শেষ হাসি হাসে রোহিত শর্মা’র (Rohit Sharma) দলই। ৪৪ রানে জেতে তারা। সেমিফাইনালে অপেক্ষা করেছিলো অস্ট্রেলীয় চ্যালেঞ্জ। ট্র্যাভিস হেড, স্টিভ স্মিথদের বিরুদ্ধেও থামে নি ভারতের জয়রথ। ৪ উইকেটে জিতে ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করে তারা। রবিবার আরও একবার নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হতে চলেছে ‘মেন ইন ব্লু।’ ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে ‘ফেভারিট’ হিসেবে মাঠে নেমে ১৮০ রানে হারতে হয়েছিলো। এবার আর সেই ব্যাজ চাইছে না ভারতীয় শিবির। বরং সঠিক পরিকল্পনা সাজাতেই ব্যস্ত তারা। তিন তারকার ফর্ম দুশ্চিন্তায় রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্টকে।
Read More: দুরন্ত ছন্দে শ্রেয়স আইয়ার, হারানো সম্মান ফিরে পাচ্ছেন মিডল অর্ডার তারকা !!
শুভমান গিল-

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (CT 2025) শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন শুভমান গিল (Shubman Gill)। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১০১* রানের ইনিংস খেলেছিলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষেও তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিলো ৪৬। কিন্তু গত দু’টি ম্যাচে চূড়ান্ত হতাশ করেছেন টিম ইন্ডিয়ার তরুণ ওপেনার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ খেলায় ২ করে সাজঘরে ফিরেছিলেন তিনি। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও সুবিধা করতে পারেন নি। বেন ডোয়্যারস্যুইসের নির্বিষ ডেলিভারি স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হয়েছিলেন ৮ রানের মাথায়। ফাইনালে যদি ব্যর্থ হন তিনি তাহলে নিঃসন্দেহে চাপ বাড়বে ভারতীয় দলের উপর। ইতিপূর্বে দুটি আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছেন শুভমান (Shubman Gill)। রান পান নি একটিতেও। ২০২৩-এর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দুই ইনিংসে করেছিলেন ১৩ ও ১৮। বিশ্বকাপ ফাইনালে করেন ৪। খেতাবী যুদ্ধে তাঁর পরিসংখ্যান’ও কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে টিম ম্যানেজমেন্টের।
রোহিত শর্মা-

অধিনায়ক রোহিতকে (Rohit Sharma) নিয়েও রয়েছে দুশ্চিন্তা। দীর্ঘসময় ধরে ফর্মের সাথে কার্যত যুদ্ধ চালাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি কটকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে শতরান করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (CT 2025) সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেন নি হিটম্যান। এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টে চার ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে যথাক্রমে ৪১, ২০, ১৫ ও ১৮। প্রায় প্রত্যেকটি ম্যাচেই ঝড়ের গতিতে ইনিংস শুরু করেও বেশীক্ষণ টিকতে পারেন নি তিনি। কখনও ইয়র্কার সামলাতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন। আবার কখনও স্যুইপের লোভ সামলাতে না পেরে প্রতিপক্ষ স্পিনারকে উপহার দিয়েছেন উইকেট। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে যদি বড় ইনিংস খেলার ফর্মূলা খুঁজে বার করতে না পারেন অধিনায়ক, তাহলে সমস্যা বাড়বে ভারতের উপর। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাওয়ার-প্লে’তে এক বা দুই উইকেট খোয়ানো নিতে পারে নির্ণায়ক ভূমিকা।
কুলদীপ যাদব-

দুবাইয়ের মন্থর পিচে স্পিন অস্ত্রেই বাজিমাত করতে চাইছে ‘মেন ইন ব্লু।’ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ থেকেই তাই চার স্পিনারের স্ট্র্যাটেজি নিয়েছেন কোচ গৌতম গম্ভীর। একাদশে রাখছেন অক্ষর প্যাটেল, রবীন্দ্র জাদেজা, বরুণ চক্রবর্তী, কুলদীপ যাদব’কে। প্রথম দু’জন বোলিং-এর পাশাপাশি ব্যাটিং ও ফিল্ডিং-এও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। বরুণের রহস্য স্পিন’ও ইতিমধ্যেই কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (CT 2025)। ব্যতিক্রম বলা যেতে পারে কুলদীপ যাদবকে (Kuldeep Yadav)। বাম হাতি চায়নাম্যান বোলারের থেকে প্রচুর প্রত্যাশা ছিলো ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের। উইকেটশিকারী হিসেবে সুনাম রয়েছে তাঁর। কিন্তু এখনও বিশেষ অবধি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে দেখা যায় নি তাঁকে। চলতি টূর্নামেন্টের চার ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে থেকেছে উইকেটশূন্য। যদি ফাইনালেও দাগ কাটতে না পারেন কুলদীপ, তাহলে চিন্তায় পড়তে পারে ভারত।