CT 2025: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (CT 2025) হাইভোল্টেজ সেমিফাইনালে আগামীকাল মুখোমুখি ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। দুই দলই এখনও পর্যন্ত খেতাব জিতেছে দুই বার করে। তৃতীয় সাফল্যের পথে এক ধাপ এগোনোর লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে তারা। খাতায়-কলমে এই সেমিফাইনালে ফেভারিট টিম ইন্ডিয়াই (Team India)। গ্রুপ পর্বে সবক’টি ম্যাচ জিতেছে তারা। এছাড়া দুবাইয়ের মাঠে একটানা খেলার সুবিধাও রয়েছে রোহিত-কোহলিদের। পক্ষান্তরে বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার দুটি ম্যাচ। লাহোর থেকে সেমিফাইনালের জন্য তড়িঘড়ি দুবাই উড়ে আসতেও হয়েছে তাদের। চাপ যে রয়েছে তা মানছেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ‘ফেভারিট’ ভারতের বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত সোনালী জার্সিধারীরা। হাড্ডাহাড্ডি দ্বৈরথে স্টিভ স্মিথ, মার্নাস লাবুশেনদের (Marnus Labuschagne) প্রধান বাজি হতে চলেছেন তিন জন ক্রিকেটার।
Read More: IPL 2025: রাহানের হাতেই নাইটদের নেতৃত্ব, পৌনে ২৪ কোটির ভেঙ্কটেশও পেলেন গুরুদায়িত্ব !!
ট্র্যাভিস হেড-

অস্ট্রেলীয় ওপেনার ট্র্যাভিস হেড’কে (Travis Head) টিম ইন্ডিয়ার ত্রাস বললে খুব ভুল হবে না। কেনিংটন ওভালে ২০২৩-এর টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের (WTC) ফাইনালে তাঁর শতরান খেতাব কেড়ে নিয়েছিলো ভারতের হাতের মুঠো থেকে। ঐ বছরই আহমেদাবাদের মাঠে ৯২০০০ ভারতীয় সমর্থককে চুপ করিয়ে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নিয়েছিলেন হেড (Travis Head)। আরও একটি শতরান করেছিলেন তিনি। বাম হাতি তারকা জ্বলে উঠেছিলেন মাসখানেক আগেই বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতেও। ভারতের বিরুদ্ধে তিন ফর্ম্যাট মিলিয়ে ৩২ ম্যাচে তাঁর ব্যাটিং গড় ৪৫-এর কাছাকাছি। শতরান ৪টি, অর্ধশতক ৬টি। মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (CT 2025) সেমিফাইনালেও যদি ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন তিনি, তাহলে ভারতের চিন্তা যে বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। যেনতেন প্রকারেণ হেড’কে প্রথম দশ ওভারের মধ্যে সাজঘরে পাঠানোর লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবেন রোহিত শর্মা’রা (Rohit Sharma)।
জশ ইংলিস-

উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জশ ইংলিস’কে (Josh Inglis) নিয়েও চিন্তায় থাকতে পারে টিম ইন্ডিয়া। অনবদ্য ছন্দে রয়েছেন তিনি। সদ্যই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেকে শতরান করেছেন ডান হাতি ব্যাটার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও (CT 2025) ঝড় তুলেছেন ইতিমধ্যে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অ্যালেক্স ক্যারিকে সঙ্গে নিয়ে অনবদ্য পার্টনারশিপ করেছিলেন তিনি। তাঁর অপরাজিত শতরানে ভর করেই বাটলার-ডাকেটদের ছুঁড়ে দেওয়া ৩৫২ রানের লক্ষ্য সহজেই পেরিয়ে গিয়েহে অস্ট্রেলীয় শিবির। স্পিনের বিরুদ্ধে বেশ সাবলীল ইংলিস (Josh Inglis)। গলের ঘূর্ণি পিচেও ১০০’র বেশী স্ট্রাইক রেট বজায় রেখে ব্যাট করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ফলে দুবাইয়ের মন্থর বাইশ গজেও অক্ষর-বরুণদের আক্রমণে এনে তাঁকে দমিয়ে রাখা হয়ত সহজ হবে না। যদি মঙ্গলবার ছন্দ খুঁজে পান তিনি, তাহলে একা হাতেই ম্যাচ জেতাতে পারেন অস্ট্রেলিয়াকে।
অ্যাডাম জাম্পা-

ভারতের বিরুদ্ধে ক্যাঙারুবাহিনীর তৃতীয় ‘তুরুপের তাস’ হতে পারেন অ্যাডাম জাম্পা (Adam Zampa)। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাইশ গজ বেশ মন্থর। গতকাল নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ভারতের বরুণ চক্রবর্তী। স্পিন সহায়ক পিচে ঘাতক হতে পারেন জাম্পা। বিশেষ করে বিরাট কোহলিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য জাম্পাকে ব্যবহার করতে পারেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। লেগস্পিনের বিরুদ্ধে কোহলি যে সমস্যায় পড়েন তা বর্তমান সময়ে ক্রিকেটদুনিয়ার ওপেন সিক্রেট। কেরিয়ারে ১১ বার তিনি আউট হয়েছেন ইংল্যান্ডের আদিল রশিদের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আবরার আহমেদ বেশ চাপে ফেলেছিলেন তাঁকে। এমনকি বাংলাদেশ ম্যাচেও লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনকেই উইকেট ছুঁড়ে এসেছিলেন কোহলি। মঙ্গলবার’ও লেগস্পিনের ফাঁদই তাঁর জন্য প্রস্তুত করতে পারে অস্ট্রেলিয়া।