ভারতে আইপিএলের (IPL 2025) মতো টুর্নামেন্টের জনপ্রিয়তা ক্রিকেট মহলে প্রভাব ফেলেছে। গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বেসরকারি টুর্নামেন্টের সংখ্যা। দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যে তরুণ ক্রিকেটারদের তুলে আনার জন্য একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হচ্ছে। তবে প্রতিটি বেসরকারি লিগ রাজ্যে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এবং বিসিসিআইয়ের (BCCI) কড়া নজরদারিতে আয়োজন করা সম্ভব হয়না। ফলে অনেক সময়ই বিভিন্ন অপ্রত্যাশিত ঘটনা খবরে উঠে আসে। এবার কাশ্মীরে আয়োজিত এক ক্রিকেট লিগে অংশগ্রহণ করতে এসে বিপাকে পড়লেন ক্রিস গেল (Chris Gayle) থেকে সাকিব আল হাসানরা (Sakib Al Hasan)।
Read More: মিনি নিলামের আগেই নতুন অধিনায়ক ঘোষণা কলকাতার, কেএল রাহুল আসছেন দায়িত্বে !!
অদ্ভুত পরিস্থিতিতে গিল-সাকিব-

গত ২৫ অক্টোবর কাশ্মীরের শ্রীনগরে শুরু হয়েছিল হেভেন প্রিমিয়ার লিগ (Heaven Premier league) নামে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। আয়োজিত এই ক্রিকেট লিগের আয়োজক ছিল মোহালির যুব সোসাইটি। কাশ্মীরের ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিক মানচিত্র তুলে আনাই প্রধান লক্ষ্য ছিল বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন। তারা তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেল, বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান, নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল (Marntin Guptill),
দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির (Imran Tahir), ইংল্যান্ডের মঈন আলী (Moeen Ali)’এর মতো ক্রিকেটারদের নিয়ে ভারতে নিয়ে এসেছিলেন। এই তারকা ক্রিকেটারদের বিভিন্ন দলে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছিল। হেভেন প্রিমিয়ার লিগের ফাইনাল ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল ৮ নভেম্বর। কিন্তু তার আগেই হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়। আয়োজকরা কিছু না জানিয়ে পালিয়ে যায়। এর ফলে হোটেলে দীর্ঘক্ষণ গেল, সাকিবদের আটকে পর্যন্ত রাখা হয়েছিল।
সামনে এল ভয়াবহ অভিজ্ঞতা-

হেভেন প্রিমিয়ার লিগের কর্মকর্তারা ক্রিকেটারদের এবং হোটেলের টাকা না দিয়ে চম্পট দেয়। এর ফলে প্রায় ৪০ জন ক্রিকেটাররা হোটেলে আটকে পড়েন। টাকা না পাওয়ায় হোটেলের কর্তৃপক্ষ ক্রিকেটারদের ঘরে চাবি দিয়ে বন্দী করে রাখেন। এই রকম খবর সামনে আসতেই হইচই পড়ে গেছে। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ইংল্যান্ডের আম্পায়ার মেলিসা জুনিপার (Melissa Juniper) সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সামনে আনেন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,“হঠাৎ করে লিগের আয়োজকরা টাকা না দিয়ে পালিয়ে যায়। খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক মেটানো হয়নি। এর ফলে আমাদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। প্রথমে সবকটি রুমের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর আলোচনার মাধ্যমে শর্তসাপেক্ষে হোটেল কর্তৃপক্ষ আমাদের ছাড়তে রাজি হন।” দ্যা রেসিডেন্সি হোটেলের এক কর্তা এই বিষয়টি ঘটেছে বলে মেনে নিয়েছেন।