ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (IPL) ফাইনাল ২৯ মে আহমেদাবাদে খেলা হবে। এ জন্য প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে (Narendra Modi Stadium) খেলা ফাইনাল ম্যাচের আগে ঝাড়খণ্ডের ছৌ নৃত্য পরিবেশিত হবে। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে, সেরাইকেলা-খরসাওয়ানের ইছাগড় ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম চোগা-র বাসিন্দা প্রভাত কুমার মাহতো ১০ সদস্যের দলের সাথে পারফর্ম করবেন।
নিজের শিল্পের জাদু ছড়িয়েছেন দেশের পাশাপাশি বিদেশেও
মঙ্গলবার, ২৪ মে প্রভাত তার দল নিয়ে আহমেদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা হন। অভিনয়ে রয়েছেন প্রভাত কুমার মাহাতো, সুচাঁদ মাহতো, জগদীশ চন্দ্র মাহতো, শ্রাবণ গোপ, সীতারাম মাহতো, রামদেব মাহতো, সদানন্দ গোপ, গণেশ মাহাতো, ললিত মাহতো এবং মন্তু মাহাতো। প্রভাত কুমার মাহাতো গ্রামের ছৌ দল নিয়ে শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে তার দল নটরাজ কলা কেন্দ্র গঠন করে। নিজের শিল্পের জাদু ছড়িয়েছেন দেশের পাশাপাশি বিদেশেও। তার দল ভুটান, তাইওয়ান, হংকং, দুবাই সহ অনেক দেশে ছৌ নৃত্য পরিবেশন করেছে। বেশিরভাগ খ্যাতি এসেছে গণেশ, পরশুরাম পাঠ, মহিষাসুর বধ, অভিমন্যু পাঠ, জাম্ববতী বিবাহ, কৃষ্ণ লীলা, হিরণ্যকশ্যপ বধ, সাঁওতাল বিদ্রোহ, বিরসা মুন্ডা এবং চুহাদ বিদ্রোহের মহান নায়ক রঘুনাথ মাহাতোর পাঠ থেকে।
প্রভাত কুমারের দল বিসিসিআই থেকে ফোন পেয়েছে
কয়েকদিন আগে, প্রভাত কুমার মাহাতো আইপিএলে ছৌ নাচ করার জন্য বিসিসিআই (BCCI) থেকে ডাক পান। এর পরে মঙ্গলবার, মাহতো ১০ সদস্যের দল নিয়ে আহমেদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পুরো দলের যাতায়াত ও বাসস্থান বিসিসিআই নিজেই বহন করবে। দলটি এখানে মানভূম ছৌ উপস্থাপন করবে। তথ্য অনুযায়ী, ছৌও অনেক ধরনের হয়। সেরাকেলা ছৌ একটি ১২০০ বছরের পুরানো পৌরাণিক শিল্প। এটি রাজপরিবারের পূর্বপুরুষের নৃত্য ছিল। ১৯৬০ সালে, সরাইকেলার রাজা উদিত নারায়ণ সিংদেব চৈত্র উৎসবের মাধ্যমে এই শিল্পকে নতুন উচ্চতা দেন। আজ ছৌ নাচ সারা বিশ্বে বিখ্যাত। বিশেষ গুণের কারণে ছৌ তার আন্তর্জাতিক পরিচিতি তৈরি করেছে। আইপিএলের কথা বলতে গেলে, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত প্রথম কোয়ালিফায়ারে, নতুন দল গুজরাট টাইটান্স (Gujarat Titans) রাজস্থান রয়্যালসকে (Rajasthan Royals) হারিয়ে তাদের জায়গা নিশ্চিত করেছে। এখন ২৯ মে ফাইনাল খেলতে যাবে দলটি। রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে গুজরাট টাইটান্স।