বিশ্বকাপ চলাকালীন বোর্ডের অফিসিয়াল প্রটোকল লঙ্ঘনকারী খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ব্যবস্থা নিচ্ছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (SL)। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড বুধবার অলরাউন্ডার চমিকা করুণারত্নেকে টি-২০ বিশ্বকাপের সময় খেলোয়াড়দের চুক্তির বেশ কয়েকটি নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাসপেন্ড করেছে। সেই সঙ্গে প্রায় ৪ লক্ষ্য টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়া এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কাকে চ্যাম্পিয়ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এই অলরাউন্ডার। টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন করুণারত্নে। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার (৯ উইকেট) পর তিনি শ্রীলঙ্কার হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিতে সফল হন। একইসঙ্গে ৬ ম্যাচে ৬৬ রানও করেন তিনি। করুণারত্নে শ্রীলঙ্কার হয়ে ১৮টি ওয়ানডে ও ৩৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। সব মিলিয়ে তিনি নিয়েছেন মোট ৩৭টি উইকেট।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট এই ব্যবস্থা নেয়
তিন সদস্যের প্যানেলের ‘শৃঙ্খলামূলক তদন্ত’ শেষে এসএলসির কার্যনির্বাহী কমিটি এই শাস্তি ঘোষণা করে। পাশাপাশি তাকে পাঁচ হাজার ডলার জরিমানাও করা হয়েছে। এসএলসি থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতি অনুসারে, “করুণারত্নের লঙ্ঘনের গুরুতরতার পরিপ্রেক্ষিতে, তদন্ত কমিটি এসএলসি কার্যনির্বাহী কমিটিকে সুপারিশ করেছে যে খেলোয়াড়কে ভবিষ্যতে এমন না করার জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।” এর পাশাপাশি এমন শাস্তি দেওয়া উচিত যা তার ক্রিকেট কেরিয়ারে খুব একটা প্রভাব ফেলবে না।
গুনাথিলাকার পর নির্বাসিত হওয়া দ্বিতীয় খেলোয়াড়
অস্ট্রেলিয়ায় সদ্য সমাপ্ত টি-২০ বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে তিন উইকেট নিয়েছিলেন ২৬ বছর বয়সী এই তারকা। তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ তিনি স্বীকার করেছেন। করুণারত্নে হলেন দানুশকা গুনাথিলাকার পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় যিনি অস্ট্রেলিয়ায় টি-২০ বিশ্বকাপ চলাকালীন খারাপ আচরণের জন্য নির্বাসিত হয়েছেন। গুনাথিলাকাকে তার সম্মতি ছাড়াই এক মহিলা বন্ধুর সাথে যৌন সম্পর্ক করার জন্য দল থেকে বাইরের পথ দেখানো হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করেছে। এখন জামিন পেলেও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড তাকে নিষিদ্ধ করেছে।