ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে খেলা তৃতীয় টেস্ট ম্যাচের পিচ নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে। পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচটি শেষ হয়েছে মাত্র দুই দিনের মধ্যে। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে দুটি সেশনে ১৭টি উইকেট পড়েছিল। তবে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট এবং রোহিত শর্মা পিচটি নিয়ে ডিফেন্ড করেছেন। প্রাক্তন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কারও এই পিচটি নিয়ে ইতিবাচক কথা বলেছিলেন এবং বলেছিলেন যে এটি এমন একটি পিচ যা উইকেট বাঁচানোর জন্য খেলতে হবে।
আবার অনেকেই আছেন, যার মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন ইংরেজ ক্রিকেটার ডেভিড লয়েড, যারা স্বয়ং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের কাছে দাবি তুলেছে বাজে পিচ নিয়ে। তবে এই পিচটি আসলে ‘খারাপ’ কিনা তা নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা নিয়ে আবারও একটি প্রশ্ন ওঠে, আদৌ কি এতে আইসিসি কোনও ব্যবস্থা নেবে? আসুন জেনে নিই আইসিসির নিয়ম কী বলে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) একটি পিচকে ‘ব্যাড পিচ’ হিসাবে বর্ণনা করে যেখানে বল এবং ব্যাটের মধ্যে কোনও সমকক্ষ লড়াই থাকে না কিংবা অসমান বাউন্স থাকে। তবে আহমেদাবাদ পিচে এগুলির মতো কিছুই ছিল না। প্রথম এবং দ্বিতীয় ইনিংসে রোহিত শর্মা মারাত্মক ব্যাটিং করেছিলেন, ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে পিচটি খুব খারাপ ছিল না, যতটা সমালোচিত হচ্ছে। যদি পিচটি খারাপ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে তবে পিচটি ১২ মাস ধরে সমস্ত রকম খেলা থেকে নিষিদ্ধ রাখতে হবে।
দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলার পিচ (অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম) অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে ওয়ানডে খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর সেই সময় অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের পিচে অসম বাউন্স ছিল। যার পর ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়। নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার তৃতীয় টেস্ট ম্যাচে টিম ইন্ডিয়া ইংল্যান্ডকে ১০ উইকেটে পরাজিত করে। এই জয়ের সাথে ভারতীয় দল চার ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়েছে।