টিম ইন্ডিয়ার শ্রেষ্ঠ স্যুইং বোলারদের তালিকায় উপরের দিকেই নাম থাকবে ভুবনেশ্বর কুমারের (Bhuvneshwar Kumar)। ওয়ান ডে ও টি-২০, দুই ফর্ম্যাটেই কেরিয়ারের প্রথম ওভারে উইকেট নেওয়ার বিরল রেকর্ড রয়েছে তাঁর। ২১টি টেস্ট, ১২১টি একদিনের ম্যাচ ও ৮৭টি টি-২০তে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ভুবনেশ্বর। ঝুলিতে রয়েছে ২৯৪টি আন্তর্জাতিক উইকেট। গত দশকের প্রায় গোটাটা জুড়েই ভারতের জার্সিতে দাপিয়ে খেলেছেন উত্তরপ্রদেশের পেসার। তবে ২০২২-এর টি-২০ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে তাঁর ব্যর্থতা সমালোচনার মুখে ফেলেছিলো ভুবনেশ্বরকে (Bhuvneshwar Kumar)। ঐ বছরই নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগে নজর কাড়া পারফর্ম্যান্সের পরেও আর ফেরানো হয় নি তাঁকে। বন্ধই থেকে জাতীয় দলের দরজা। বর্তমানে ৩৫ ছুঁয়েছে তাঁর বয়স। এখনও কি সম্ভব কামব্যাক? প্রশ্নের জবাব দিলেন ভুবনেশ্বর স্বয়ং।
Read More: এশিয়া কাপের আগেই স্বস্তি, ধর্ষণের মামলা থেকে মুক্তি পেলেন এই তরকা ক্রিকেটার !!
প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে অকপট ভুবি-

দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার (Bhuvneshwar Kumar)। আইপিএলের (IPL) মেগা নিলামে ১০.৭৫ কোটি টাকা খরচ করে তাঁকে দলে সামিল করেছিলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB)। ১৪ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। বেঙ্গালুরুর প্রথম ট্রফিজয়ে বড় ভূমিকা ছিলো তাঁর। ইউ পি টি-২০ লীগেও পেয়েছেন সাফল্য। লক্ষ্ণৌ ফ্যালকনসের জার্সিতে ৮টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। মাত্র ৬.৭৬ ইকোনমি রেটে তুলে নিয়েছেন ৯টি উইকেট। ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সত্ত্বেও কেন জাতীয় দলে জায়গা হয় না তাঁর? কেন তাঁর কথা ভাবেন না নির্বাচকেরা? মাঝেমধ্যেই সেই প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন ভুবনেশ্বরের (Bhuvneshwar Kumar) অনুরাগীরা। সম্প্রতি এই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলেন ক্রিকেটতারকা স্বয়ং। দৈনিক জাগরণ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অজিত আগরকারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটির কোর্টেই বল ঠেলেছেন তিনি।
জাতীয় দলে সুযোগ পাবেন কিনা পাবেন না তা নিয়ে আর ভাবতে চান না ভুবনেশ্বর কুমার (Bhuvneshwar Kumar)। বল হাতে সাফল্য ছিনিয়ে নেওয়াই যে তাঁর একমাত্র লক্ষ্য তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “নির্বাচকেরা আপনাকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। আমার কাজ মাঠে নিজের ১০০ শতাংশ দেওয়া আর আমি সেটাই করছি।” ঘরোয়া ক্রিকেটে ফোকাস করতে চান ভুবি। বলেছেন, “ইউ পি (টি-২০) লীগের পর যদি রাজ্য দলের হয়ে (সৈয়দ) মুস্তাক আলি, রঞ্জি অথবা একদিনের ফর্ম্যাটে সুযোগ পাই, সেখানেও নিজের সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করব।” “একজন শৃঙ্খলাবদ্ধ বোলার হিসেবে আমার ফোকাস রয়েছে ফিটনেস ও লাইন-লেন্থের উপর। আপনি যত ভালোই পারফর্ম করুন না কেন, কখনসখনও ভাগ্য আপনার পক্ষে থাকে না,” আক্ষেপের আভাস মিলেছে তাঁর গলায়।
বোর্ড সভাপতির কাছে ভুবির প্রত্যাশা-

মেয়াদ ফুরিয়েছে রজার বিনি’র (Roger Binny)। দিনকয়েকের মধ্যেই ঘোষিত হবে বিসিসিআই-এর নয়া সভাপতির নাম। ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসন পাওয়ার দৌড়ে রয়েছেন রাজীব শুক্লা (Rajeev Shukla)। সহ-সভাপতি পদ থেকে উত্তরণ হতে পারে তাঁর। তিনি মসনদে বসলে উত্তরপ্রদেশের ক্রিকেটারদের জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা কি বাড়বে? প্রশ্ন করা হয়েছিলো ভুবনেশ্বর কুমার’কে (Bhuvneshwar Kumar)। পেস তারকা গুরুত্ব দিয়েছেন ‘পারফর্ম্যান্সের’ উপরেই। জানিয়েছেন, “আপনার পারফর্ম্যান্সটাই চূড়ান্ত। কেউ যদি ধারাবাহিকভাবে ভালো ক্রিকেট খেলে চলে তাহলে তাঁকে বেশীদিন উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। যদি নির্বাচিত নাও হও তাহলেও নিজের ১০০ শতাংশ দিয়ে যাও। বাকিটা নির্বাচকদের হাতে। হ্যাঁ, রাজীব শুক্লা সভাপতি হলে প্রতিভাকে উপেক্ষা করা কঠিন হবে।”