নব্বইয়ের দশকের শেষ পর্যায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাব হয় হরভজন সিংয়ের।যদিও শুরুতে বিশেষ কিছু করে উঠতে পারেননি তিনি।এমনকি দল থেকে ছিটকে যেতে হয় তাকে।তবে পরবর্তী সময়ে ফের ঘরোয়া ক্রিকেটে সাফলতা তাকে সুযোগ করে দেয় জাতীয় দলে।কিন্তু প্রথম একাদশে সুযোগটা আসে কই ?
পরবর্তী সময়ে বিষয়টিতে পরিবর্তন আসে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে।ভারতীয় ক্রিকেট দলে অধিনায়ক হিসেবে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিলো।তার সময় ভারতীয় দল এক অন্যরুপ পায়।সমাদৃত হয় গোটা বিশ্ব জুড়ে।তার অধিনায়কত্বে নিজেকে আবিষ্কার করেছিলেন হরভজন।হয়ে উঠতে পেরেছিলেন আজকের আমাদের সবার প্রিয় ভাজ্জি।অধিনায়ক থাকাকালীন প্রকাশ্যে একাধিকবার ভাজ্জির হয়ে সুর ধরেছিলেন দাদা।তার আস্থার দাম রেখেছিলেন ভাজ্জি।পরবর্তী সময়ে দাদার দলে হয়ে উঠেছিলেন একজন বিশ্বস্ত সৈনিক।
সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে ক্রমশ জাতীয় দলের প্রথম একাদশের নিয়মিত এবং গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছিলেন ভাজ্জি।তার স্পিনের জালে পর্যদুস্ত হয়েছে বিশ্বের তাবড় ব্যাটসম্যানেরা।ভারতের হয়ে ২০০৭ এর বিশ্বকাপ এবং ২০১১ এর পন্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ জয়ের ক্ষেত্রে পালন করেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
দাদা প্রাক্তন হয়েছেন আজ বেশ কিছু বছর হলো।এইমুহুর্তে তিনি দেশের ক্রিকেটের অন্যতম চালিকাশক্তি।অন্যদিকে ক্রিকেট জীবনের একেবারে সায়াহ্নে এসে পৌঁছেছে হরভজন।দুজনের মধ্যে ক্রিকেটীয় সম্পর্কের অবসান ঘটলেও , পরস্পর শ্রদ্ধা এখনও বজায় রয়েছে।বরাবর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিজের দাদা বলেই মনে করেন ভাজ্জি।আজ তিনি যা কিছু তা সবটুকু দাদার জন্য এমনটাই বলতেই শোনা যায় তাকে।শুধুমাত্র তাই নয়, জীবনের কঠিন পরিস্থিতি ‘তে তার পাশে থেকে যেমন তাকে ভরসা যুগিয়েছেন সৌরভ এজন্য আজীবন কৃতার্থ থাকবেন তিনি দাদার কাছে।
দেখুন ভিডিও