রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথের আগে, এই ‘গরম ম্যাচ’–এর আগের রাতে অপ্রত্যাশিতভাবে গরমের মধ্যে পড়েন ক্রিকেটাররা। ম্যাচের আগের দিন রাতে খেলোয়াড়েররা যখন ঘুমতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন, হঠাৎ করে টিম হোটেলের এয়ার কন্ডিশন মেশিন বিকল হয়ে যায়। ফলে গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হয় ক্রিকেটারদের। শোনা গিয়েছে, এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের আগের রাতে ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা কেউই সেভাবে রাতে একটুও ঘুমাতে পারেননি। আর সেই অবস্থায় রবিবারের ম্যাচে তাঁদেরকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নামতে হল। প্রসঙ্গত, ভারত ওভালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতলে সেটা হতো তাদের তৃতীয় বারের জন্য এই প্রতিযোগিতা খেতাব জয়।বাস্তবে অবশ্য সেটা হয়নি। পাকিস্তানের কাছে রবিবারের হারের ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে ২–৩ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলো টিম ইন্ডিয়া। এদিকে, রবিবারের ওভালে শক্তিশালী ভারতকে প্রতিযোগিতার ফাইনালে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সরফরাজরা পাকিস্তানের হয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতলেন।
শনিবার লন্ডনের তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আদ্রতাও ছিল যথেষ্ট। তার মধ্যে রাতে এসি বিকল হওয়ায় যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয় দলের প্রতিটা খেলোয়াড়দের। শনিবার ক্রিকেটাররা নিয়মমাফিক অনুশীলন সেরে ছিলেন। বলা যেতে পারে, টানা দ্বিতীয়বার ট্রফি ঘরে তোলার লক্ষ্যে কড়া অনুশীলন করেছিলেন কোহলিরা। তার পরে রবিবারের বড় ম্যাচের আগে যখন তারা একটু তাড়াতাড়ি বিশ্রামে যাবেন বলে মনস্থির করে ফেলে। সেটা মাথায় রেখে প্রতিটা ক্রিকেটাররা টিম হোটেলে যে যার ঘরে ঢুকে পড়েন। ঘরে ঢুকে দেখতে পান, ঘরের এসি বিকল হয়ে রয়েছে। কয়েকজন ক্রিকেটার অভিযোগ করেন যে, এসির পাশাপাশি ঘরের ইলেক্ট্রিসিটিও ঠিকঠাক নেই। এই সময় কিছু ক্রিকেটার ছাদে গিয়ে গিয়ে পায়চারি করতে থাকেন। আবার কয়েকজন নিজেদের হোটেলের সামনে গিয়ে একে অপরের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ গল্প করে সময় কাটাতে থাকেন।
কিছুক্ষন পরে লোকজন আসেন এসি সারাতে। প্রায় এক ঘন্টা ৪৫ মিনিট পরে সবকিছু ঠিকঠাক হয়। এবং এসিও নিজের কাজ করতে শুরু করে। আর ক্রিকেটাররা যে যার ঘরে ঢুকে যান ঘুমনোর জন্য। পরে সকালে ক্রিকেটাররা অবশ্য টিম ম্যানেজারকে জানান, রাতে তারা কেউই ভালো করে ঘুমাতে পারেননি। প্রসঙ্গত, রবিবার দশ বছর পরে আইসিসির কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারত খেললো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এর আগে ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল। যেখানে জয় পেয়েছিল ভারত। এর পাশাপাশি আইসিসি টুর্নামেন্টে ‘হেড টু হেড’ লড়াইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩-২ এগিয়ে রয়েছে ভারত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অবশ্য এখনও পর্যন্ত দু’দেশের লড়াইয়ের ফল ২-২। আর এদিন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ১৮০ রানের হেরে সেই ব্যবধান ৩–২ হয়ে যায়।